Category: মুসলিম ইতিহাস

প্রথম ইন্তিফাদা

প্রথম ইন্তিফাদা ছিল ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের পথিকৃৎ। এই প্রথম ইন্তিফাদা চালু থাকে ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ই ডিসেম্বর ইসরায়েলে কাজ শেষে প্রত্যাবর্তনকারী একটি গাড়িকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ট্যাংক দিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন শ্রমিক মারা যান। নিহত শ্রমিকদের জানাযা শীঘ্রই একটি ব্যাপক বিক্ষোভে

পড়ুন বিস্তারিত»

ইয়াকুব ইবনু লাইস

ইয়াকুব ইবনু লাইস আস সাফার – তৃতীয় হিজরী শতাব্দীতে দক্ষিণ-আফগানিস্তানে সালিহ ইবনু নাসর কিনানি নামের একজন মুজাহিদের নেতৃত্বে দরবেশ জামাআতের সদস্যরা একত্রিত হয়েছিল। তখন এ অঞ্চলে খারিজিরা ইরাক থেকে এসে জড়ো হয়ে সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। তারা জনগণের উপর অত্যাচার করে তাদের সম্পদ আত্মসাৎ করতো। এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ

পড়ুন বিস্তারিত»

উসমান রাঃ এর শাহাদাত

উসমান রাঃ এর শাহাদাত – বিদ্রোহীরা মদীনায় এসে শহর অবরোধ করে। তারা মসজিদে নববীতে উসমান রা. কে নামাজ পড়াতে এবং খুৎবা দিতে বাঁধা দিতে লাগলো। জুমার দিন হযরত উসমান রা. মসজিদে নববীতে খুৎবা দিতে উঠলেন। তখন বিদ্রোহীরা হাঙ্গামা শুরু করলো। তারা উসমান রা. এর দিকে পাথর মারতে লাগলো। পাথরের আঘাতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লেন। লোকেরা

পড়ুন বিস্তারিত»

সাবায়ীদের মদীনা আক্রমণ

সাবায়ীদের মদীনা আক্রমণ – হযরত উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা মদীনায় এসে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। মদীনা ছিল চারদিক থেকে বেষ্টিত ইসলামী শহর। তাই মদীনার প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার তেমন প্রয়োজন ছিল না। তাই মদীনাতে তেমন কোনো সেনাবাহিনী থাকতো না। ৩৫ হিজরীর শাওয়াল মাসের শেষের দিকে হাজীর বেশে বিদ্রোহীরা মদীনা থেকে ৪৮ মাইল দূরে ছাউনি ফেললো। কাফেলার সাধারণ

পড়ুন বিস্তারিত»

উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বানোয়াট চিঠি

উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বানোয়াট চিঠি – ৩৫ ‍হিজরীতে সাবায়ীরা মুসলিম উম্মাহর মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বাধানো এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল চারটি। যথা: ১. ইরাক ও মিসরবাসী এবং বনু হাশেমের প্রতি অধিক আগ্রহী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে উসমান রা. এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। এর মধ্যে মদীনার বড় তিন

পড়ুন বিস্তারিত»

সাবায়ীদের ষড়যন্ত্র

সাবায়ীদের ষড়যন্ত্র – ৩৪ হিজরীতে কুফায় অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যায়। তখন কুফার গভর্নর ছিলেন হযরত সাঈদ ইবনে আস রা.। তিনি একটি বিশেষ কাজে মদীনায় আমিরুল মুমিনীন হযরত উসমান রা. এর নিকট আসেন। শহরে গভর্নর না থাকায় দুষ্ট লোকেরা আন্দোলন শুরু করে। তারা হযরত সাঈদ ইবনে আস রা. এর বরখাস্তের দাবী করতে থাকে। তাদের এ

পড়ুন বিস্তারিত»

মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা

মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা – ৩১ হিজরীতে চক্রান্তকারীরা মিসরে তাদের তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। সেখানে তারা এই স্লোগান উঠায় যে, মিসরের গভর্নর হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু সারাহ রা. অযোগ্য ব্যক্তি। মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা এর এই অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে কতিপয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিও বিষয়টি যাছাই-বাছাই না করে ফলাও করতে থাকে। তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ বিন আবু হুজাইফা ও

পড়ুন বিস্তারিত»

খলিফা উসমান ও আবু যর গিফারী এর মাঝে সম্পর্ক

আমিরুল মুমিনীন খলিফা খলিফা উসমান ও আবু যর রা. মধ্যে একটি ঘটনা নিয়ে সমালোচনা হলো, উসমান রা. আবু যর গিফারী রা. কে রাবজা এলাকায় নির্বাসিত করেছিলেন। এ ছাড়াও অনেক ইতিহাসবিদরা ধারণা করে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা শামে গিফারী রা. এর সাঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে প্রভাবিত করে। কিন্তু এটি নিছক ভ্রান্ত চিন্তা। নবীজির হারানো আংটি ও

পড়ুন বিস্তারিত»

শামে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা

ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা. এর ঘটনার পর আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা শামে চলে যায়। সেখানে পৌঁছে সে মুয়াবিয়া রা. এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করতে থাকে। যেন এসব বিরোধ সাহাবায়ে কেরামের মধ্য থেকে শুরু হয়, আর তার উপর যেন সন্দেহ না হয়, এমনটাই চাচ্ছিল সে। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু দারদা রা. এই প্রতারণা ধরে ফেললেন। তখন তিনি

পড়ুন বিস্তারিত»

সাবায়ী ফেতনা ও বিরুদ্ধাচরণ

 হযরত উসমান রা. এর খেলাফতের শেষ ছয় বছরের দিকে সাবায়ী ফেতনা তথা আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার ফেতনা ভালোভাবেই শেকড় গেড়েছিল। ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে টুকরো টুকরো করা এবং গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়াই ছিল তাদের টার্গেট। হযরত উসমান রা. এর গুরুত্বপূর্ণ গভর্নরদের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ তুলতে লাগলো। তারা প্রথমে এই কথা উঠালো যে, হযরত উসমান রা. স্বজনপ্রীতি

পড়ুন বিস্তারিত»

ওয়ালিদ ইবনে উকবা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

হযরত ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা. ছিলেন বনু উমাইয়া পরিবারের একজন বীর সন্তান। তিনি ছিলেন রাসূলের সাহচর্য পাওয়া একজন সাহাবী। ওয়ালিদ রা. হযরত আবু বকর রা. ও উমর রা. এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসক ছিলেন। তাদের নিকট তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। ১২ হিজরীতে পারস্য বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে খলিফা আবু বকর রা. ও সেনাপ্রধান খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.

পড়ুন বিস্তারিত»

উসমান রা. এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

উসমান রা. এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র – মুসলিম উম্মাহর বিজয়যাত্রা ও গৌরবময় ক্রমবিকাশ হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উমর রা. এর যুগ থেকে শুরু করে ‍উসমান রা. এর শাসনকালের ১১ তম বছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই সময়টা ছিল শান্তি ও নিরাপত্তার। সেই সাথে বিজয়যাত্রাও ছিল অব্যাহত। হযরত উসমান রা. একজন শ্রেষ্ঠ শাসকের ভূমিকা পালন করে

পড়ুন বিস্তারিত»
আব্দুর রহমান আল হাসান

আব্দুর রহমান আল হাসান

আমি একজন মুসলিম ও ইসলামিক আলোচক। পড়ালেখা করেছি কওমী মাদ্রাসায়। জেনারেলের বারান্দাতেও মাঝেমধ্যে পা রেখেছি। অবসরে আমি বই পড়তে পছন্দ করি। নতুন কিছু শিখতে, নতুন কিছু জানতে ভালোবাসি। আমার ইচ্ছা, ভালো মানুষ হয়ে সমাজকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বিরত রাখার চেষ্টা করা এবং কুরআনী অমর হওয়া

ভবিষ্যতে কি বিষয়ে লেখা চান, এখানে বলতে পারেন

Scroll to Top