আব্দুর রহমান আল হাসান
শিক্ষার্থী, লেখক, ইসলামিক আলোচক
ধলেশ্বরী নদীর শাখা হিসেবে প্রাচীনকালে বুড়িগঙ্গা নদীর উৎপত্তি হয়। আর এই বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরের গাঁ ঘেষেই গড়ে উঠে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বানিজ্যিক শহর ঢাকা। ব্যস্ততম এই ঢাকা শহরে কোনো এক ভোরে জন্ম হয় আমার
530+
সাব্সক্রাইবার
150+
অনুসারী
12000+
পাঠক

সর্বশেষ লেখাসমূহ

আবিসিনিয়ায় হিজরত
আবিসিনিয়ায় হিজরত- মক্কায় মুসলমানরা কাফেরদের নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য বাদশাহ নাজ্জাশীর দেশে তথা হাবশায় হিজরত করে। প্রায় ৮০ এর অধিক সাহাবী তখন হাবশায় হিজরত করেছিলেন। মক্কার কাফেররা যখন দেখতে পেল, মুসলমানরা তো তাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে তখন তারা নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করলো। মুসলমানরা আবিসিনিয়ায় হিজরত করার পর কাফেররা কুরাইশদের মধ্য হতে বাগ্মী ও বাকপটু

ইহুদিদের তথ্য বাণিজ্য
শুধুমাত্র তথ্য বাণিজ্য করে যে অনেক মুনাফা হাতানো সম্ভব, তা শুধুমাত্র ইহুদিদের মাথাতেই প্রথম এসেছিল। তাদের পূর্বে কোনো জাতি এমনটা করার কল্পনাও করে নি। ইহুদিরা তথ্য বাণিজ্য করে বিভিন্ন জায়গার খবর আগাম পেয়ে যেত। আর তারা সেটি সম্পূর্ণ কাজে লাগাতো মুনাফা লাভের জন্য। ইহুদিদের নিজস্ব একটি পার্লামেন্ট ছিল। যাকে সেনহার্ড্রিন নামে ডাকা হয়। পৃথিবীর সকল

কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা
কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা – মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ গ্রন্থ হলো আল কুরআনুল কারীম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ১৪০০ বছর পূর্বে এই কিতাব নবীজি সা. এর উপর নাজিল করেছেন। রুক্ষ আবহাওয়ায়, বৈরি পরিবেশে, পাষাণ হৃদয়ের মানুষদের উপর এই কুরআন নাজিল হয়েছিল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করেছে এই কুরআন। পাষাণ হৃদয়ের মানুষগুলো

হায়দ্রাবাদ দখলের ইতিহাস
হায়দ্রাবাদ দখলের ইতিহাস – ইংরেজদের নিকট হতে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে হায়দ্রাবাদও স্বাধীন হয়ে যায়। ভারত তখন হায়দারাবাদ দখলের চেষ্টা শুরু করে। হায়দারাবাদের যেসব হিন্দুরা ছিল এবং কংগ্রেস সমর্থকরা ছিল, তারা হায়দ্রাবাদে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। তাদের এসব চক্রান্তের ফলে তখন একটি দল প্রয়োজন ছিল। তখন নবাব বাহাদুর ইয়ার জং ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নামে একটি সংগঠনকে

ম্যাক্রোর বাংলাদেশে আগমন
ম্যাক্রোর হঠাৎ করেই বাংলাদেশে আগমন (১১/৯/২৩)। কোন রাজনৈতিক কারণে এসেছে, তা আমার স্পষ্ট জানা নেই। আমি শুধু স্মৃতির পাতায় ভর করে খানিকটা পেছনে যেতে চাই। ২০২১ সালে করোনা প্রকোপ কমে যাওয়ার পরে ফ্রান্সের এক কার্টুনিস্ট নবীজিকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র তৈরি করে। নবীজিকে নিয়ে এমন জঘন্য কাজ করায় আরব বিশ্বসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ সেসময় ক্ষোভে ফেটে

ভারতের হায়দ্রাবাদ দখলের ষড়যন্ত্র
ভারতের হায়দ্রাবাদ দখল বা ভারতের হায়দ্রাবাদ দখলের ষড়যন্ত্র – ব্রিটিশরা যখন বুঝতে পারলো, উপমহাদেশে তাদের আর রাজত্ব থাকবে না, তখন তারা উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে লাগলো। ব্রিটিশদের সময় উপমহাদেশে কয়েকরকম রাজ্য ছিল। যেহেতু ভারত স্বাধীন হওয়ার আগেই ধর্মীয় দিক বিবেচনায় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তখনও এই উপমহাদেশে
মুসলিম ইতিহাস

ইয়াকুব ইবনু লাইস
ইয়াকুব ইবনু লাইস আস সাফার – তৃতীয় হিজরী শতাব্দীতে দক্ষিণ-আফগানিস্তানে সালিহ ইবনু নাসর কিনানি নামের একজন মুজাহিদের নেতৃত্বে দরবেশ জামাআতের সদস্যরা একত্রিত হয়েছিল। তখন এ অঞ্চলে খারিজিরা ইরাক থেকে এসে জড়ো হয়ে সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। তারা জনগণের উপর অত্যাচার করে তাদের সম্পদ আত্মসাৎ করতো। এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ

উসমান রাঃ এর শাহাদাত
উসমান রাঃ এর শাহাদাত – বিদ্রোহীরা মদীনায় এসে শহর অবরোধ করে। তারা মসজিদে নববীতে উসমান রা. কে নামাজ পড়াতে এবং খুৎবা দিতে বাঁধা দিতে লাগলো। জুমার দিন হযরত উসমান রা. মসজিদে নববীতে খুৎবা দিতে উঠলেন। তখন বিদ্রোহীরা হাঙ্গামা শুরু করলো। তারা উসমান রা. এর দিকে পাথর মারতে লাগলো। পাথরের আঘাতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লেন। লোকেরা

সাবায়ীদের মদীনা আক্রমণ
সাবায়ীদের মদীনা আক্রমণ – হযরত উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা মদীনায় এসে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। মদীনা ছিল চারদিক থেকে বেষ্টিত ইসলামী শহর। তাই মদীনার প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার তেমন প্রয়োজন ছিল না। তাই মদীনাতে তেমন কোনো সেনাবাহিনী থাকতো না। ৩৫ হিজরীর শাওয়াল মাসের শেষের দিকে হাজীর বেশে বিদ্রোহীরা মদীনা থেকে ৪৮ মাইল দূরে ছাউনি ফেললো। কাফেলার সাধারণ

উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বানোয়াট চিঠি
উসমান রা. এর বিরুদ্ধে বানোয়াট চিঠি – ৩৫ হিজরীতে সাবায়ীরা মুসলিম উম্মাহর মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বাধানো এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের মৌলিক উদ্দেশ্য ছিল চারটি। যথা: ১. ইরাক ও মিসরবাসী এবং বনু হাশেমের প্রতি অধিক আগ্রহী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে উসমান রা. এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। এর মধ্যে মদীনার বড় তিন

সাবায়ীদের ষড়যন্ত্র
সাবায়ীদের ষড়যন্ত্র – ৩৪ হিজরীতে কুফায় অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যায়। তখন কুফার গভর্নর ছিলেন হযরত সাঈদ ইবনে আস রা.। তিনি একটি বিশেষ কাজে মদীনায় আমিরুল মুমিনীন হযরত উসমান রা. এর নিকট আসেন। শহরে গভর্নর না থাকায় দুষ্ট লোকেরা আন্দোলন শুরু করে। তারা হযরত সাঈদ ইবনে আস রা. এর বরখাস্তের দাবী করতে থাকে। তাদের এ

মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা
মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা – ৩১ হিজরীতে চক্রান্তকারীরা মিসরে তাদের তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। সেখানে তারা এই স্লোগান উঠায় যে, মিসরের গভর্নর হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু সারাহ রা. অযোগ্য ব্যক্তি। মিসরে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা এর এই অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে কতিপয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিও বিষয়টি যাছাই-বাছাই না করে ফলাও করতে থাকে। তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ বিন আবু হুজাইফা ও
আবু বকর রা. এর পূ্র্ণ জীবনী

তাবুক যুদ্ধ ও আবু বকর
তাবুক যুদ্ধ ও আবু বকর – ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম আরো দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এরইমধ্যে পুরো আরব অঞ্চল ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়। যেই আবরে সামান্য থেকে সামান্য বিষয় নিয়ে যুগের পর যুগ যুদ্ধ চলতো, সেখানে মানবতার লেশ মাত্রও ছিল না, তারা আজ এক পতাকাতলে সমবেত হয়েছে। আরবের দুই পাশেই বিশাল দুই সাম্রাজ্যের

মালেক বিন নুয়াইরা এর সাথে যুদ্ধ
মালেক বিন নুয়াইরা এর সাথে যুদ্ধ – বনু তামিমের গোত্রপতি ছিলেন মালেক বিন নুয়াইরা। রাসূল সা. মৃত্যুর পূর্বে তার নিকট যাকাত উসুল করার জন্য লোক পাঠান। উক্ত লোক যাকাত সংগ্রহ করে ফিরে আসার পূর্বে মালেক বিন নুয়াইরার কাছে সংবাদ পৌছে যে, মুহাম্মাদ সা. ইন্তিকাল করেছেন। তখন মালিক যাকাত দেয়া থেকে বেঁকে বসে। সে বললো, এই

হুদাইবিয়ার দিন আবু বকর
হুদাইবিয়ার দিন আবু বকর – হযরত ইবরাহিম আ. এর সময়কাল থেকেই মানুষ অন্যতম একটি ইবাদত সর্বদা করে আসছে। তা হলো, হজ্জ বা বাইতুল্লাহ যিয়ারত। রাসূল সা. কে কাফেররা মক্কা থেকে বের করে দিল প্রথম হিজরীতে। তিনি মদীনায় সফর করলেন। সেখানে অবস্থান করে মানুষকে দাওয়াত দিতে লাগলেন। এরইমাঝে সংগঠিত হয়ে গেল বদর যুদ্ধ এবং ওহুদ যুদ্ধ।

মুসায়লামাতুল কাজ্জাব এর ফেতনা
মুসায়লামাতুল কাজ্জাব এর ফেতনা – নবীজির জীবদ্দশাতেই নবুয়তের দাবীদাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফেতনাবাজ ছিল মুসায়লামা। সে ছিল বনু হানিফা গোত্রের সদস্য। তার পূর্ণ নাম, মুসায়লামা ইবনে সুমামা ইবনে কাবির ইবনে হাবিব হানাফি। তার ডাকনাম আবু শামাহ। মুসায়লামা জন্মগ্রহণ করে ইয়ামামায়। সেখানেই সে বেড়ে উঠে। ইয়ামামার অবস্থান আধুনিক সৌদি আরবের দক্ষিণ-পূর্ব নজদের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল, বা

আবু বকর রা. এর স্ত্রী-সন্তানগণ
আবু বকর রা. এর স্ত্রী-সন্তানগণ – হযরত আবু বকর রা. ছিলেন মক্কার জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন। তিনি যেমন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ব্যক্তি ছিলেন, তেমনি তার পরিবার-পরিজনও সম্ভ্রান্ত ছিল। তিনি বিয়ে করেছিলেন ৪ টি। তার সন্তান ছিল মোট ছয়জন। তাদের মধ্যে তিনজন ছেলে এবং তিনজন মেয়ে। স্ত্রীদের পরিচয় – আবু বকর রা. ১. কাতিলা বিনতে আবদিল উজ্জা তিনি

মুরতাদদের বিরুদ্ধে আবু বকর রা.
মুরতাদদের বিরুদ্ধে আবু বকর রা. – রাসূল সা. এর ইন্তিকালের পর আরবের অনেক গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়। তাদের এভাবে গণহারে মুরতাদ হওয়ার পেছনে কিছু কারণ ছিল। যেমন: ঈমানের দুর্বলতা, কুরআনের মর্ম সঠিকরূপে অনুধাবন না করতে পারা, জাহিলিয়াতের প্রতি আগ্রহ, গোত্রীয় চেতনা, ক্ষমতার লোভ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি সে সময় ইহুদী এবং খৃষ্টানদের চক্রান্ত

বইকে বন্ধু করুন
ডিভাইস রেখে বইকে আকঁড়ে ধরুন। প্রতিদিন নিজেকে ১% করে উন্নতি করলেও বছরে আপনি ৩৬৫% উন্নতি করতে পারবেন ইনশাল্লাহ
ইসলামিক প্রবন্ধ

কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা
কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা – মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ গ্রন্থ হলো আল কুরআনুল কারীম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ১৪০০ বছর পূর্বে এই কিতাব নবীজি সা. এর উপর নাজিল করেছেন। রুক্ষ আবহাওয়ায়, বৈরি পরিবেশে, পাষাণ হৃদয়ের মানুষদের উপর এই কুরআন নাজিল হয়েছিল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করেছে এই কুরআন। পাষাণ হৃদয়ের মানুষগুলো

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে – পৃথিবীতে সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে কত রকম প্রাণীকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির বয়স ৩০ লাখ বছর। আল্লাহ শুরুতে আদম আ. কে পাঠিয়েছিলেন। এরপর একে একে আরো কত মানুষ পাঠিয়েছেন। মানুষ পাঠানোর এই ধারাবাহিকতা কখনোই শেষ হয় নি। মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতা

কথার আঘাত
কথার আঘাত – বেঁচে থাকার জন্য যেমন আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন তেমনি মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করার জন্য আমাদের কথা বলা প্রয়োজন। মনের ভাব প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো কথা বলা। কথার মাধ্যমে একটি বিষয় যত সহজে বুঝানো যায়, লিখেও ততটা সহজে বুঝানো যায় না। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যবান দিয়েছেন কথা বলার জন্য। যবানের মাধ্যমে আমরা মনের

ধৈর্যধারণের গুরুত্ব
ধৈর্যধারণের গুরুত্ব – লিখেছেন রাসিখ আওয়াব আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা পেশ করবো তা হলো, সবর তথা ধৈর্যধারণের গুরুত্ব, কারণ মানুষের জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য এবং সকল প্রকার সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য যে সকল গুণ আবশ্যক ধৈর্য তথা সবর তাদের মধ্যে অন্যতম৷ সবর তথা ধৈর্যের যে

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য – পৃথিবীতে মুসলিমরা আজ দ্বিধাবিভক্ত। তারা বিধ্বস্ত। তাদের জাগরণ আজ নিস্তব্ধ। ইসলাম শুরুতে এমন ছিল না। পৃথিবীতে এমন এক কঠিন সময়ে এই দ্বীনকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, যখন জাতিগত বিভেদ ছিল তুঙ্গে। মানুষ সর্বদা নিজের বড়াই করতো আর অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করতো। মানুষ নিজের পরিচয় দিত, আমি অমুক গোত্রের, সে অমুক গোত্রের। আমি সাদা

যেই দশটি আমল করলে ফেরেশতারা দোয়া করে
যেই দশটি আমল করলে ফেরেশতারা দোয়া করে – প্রতিনিয়্যত আমরা বিভিন্ন আমল করি। আমাদের আমলের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। ইবাদাতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলা আমাদের বেশ কিছু গিফট দিয়েছেন। এসব গিফটগুলোর মধ্যে একটি হলো অন্যের মাধ্যমে দোয়া করানো। এর মানে অপর কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দোয়া করানো নয়। স্বয়ং ফেরেশতাদের দিয়ে দোয়া করানো। ফেরেশতারা
ভিডিও
Playlist
ফেতনার থাবা

আবু আব্দুল্লাহ শিয়ায়ী কে ছিলেন
আবু আব্দুল্লাহ কে ছিল? – ইয়ামান অঞ্চলকে ইসমাঈলী শিয়া মতবাদের প্রচারকেন্দ্র হিসেবে প্রথম স্থানে ধরা হতো। কারণ, সে সময় ইয়ামান আব্বাসীয় খেলাফতের দৃষ্টি থেকে দূরে ছিল। এখান থেকেই তারা গোপনে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। রুস্তম ইবনে হাওশার নামে এক লোক ইয়ামানে উক্ত সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহন করে। সে তার দলে পারসিকদের টানতে

খারেজী কারা
খারেজী কারা এবং তাদের সংজ্ঞা দিতে দিয়ে অনেক আলেম অনেক রকমভাবে তাদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। তন্মধ্যে, আবুল হাসান আশআরী রহ.বলেন, যারা চতুর্থ খলিফা আমিরুল মুনিনীন আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এবং তার দল ত্যাগ করেছে, তারাই হলো খারেজি। ঈমাম ইবনে হাজাম আন্দালূসী রহ. বলেন, খারেজী বলতে প্রত্যেক এমন সম্প্রদায়কে বুঝায়, যারা চতুর্থ খলিফা আলী

উবায়দুল্লাহ মাহদী
সে উবায়দুল্লাহ মাহদী হলো ইরাকী বংশদ্ভূত একজন ব্যক্তি। ২৬০ হিজরীতে কুফায় জন্মগ্রহন করে সে। জন্মের পর থেকেই সে উত্তর শামে অবস্থান করে। সেখানে তার নাম ছিল, সাঈদ ইবনে আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মায়মূন আল কাদ্দাহ। ১ সালামিয়া শহর সালামিয়া শহরে মৃত্যুবরণ করে আলি বিন হাসান বিন আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন জাফর সাদেক।

নাহরাওয়ানের যুদ্ধ
নাহরাওয়ানের যুদ্ধ – আমিরুল মুমিনীন হযরত আলী ইবনে আবি তালেব রা. খারেজিদের কিছু শর্তে কুফায় থাকতে দিয়েছিলেন। যেগুলো হলো, ১. অন্যায়ভাবে কারো রক্ত ঝরাবে না। ২. সাধারণ জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করবে না। ৩. কোনো মুসাফিরের পথ আটকাবে না। পড়ুন: খারেজিদের কুফায় ফিরে আসা আর যদি খারেজিরা এসব শর্ত মান্য না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধই হবে

শিয়া মতবাদ ও আকীদাগত বিচ্যুতি
শিয়া মতবাদ ও আকীদাগত বিচ্যুতি – শিয়া মতবাদ নিয়ে কলম ধরলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা যাবে। বলা যাবে অনেক কিছু। দিন শেষে তাদেরকে আপনি মুসলিম বলবেন নাকি অমুসলিম বলবেন, তা একান্তই আপনার বিষয়। তবে একটা মূলনীতি হলো, কেউ যদি আল্লাহকে এক বলে স্বীকার না করে এবং নবীজিকে সর্বশেষ বলে স্বীকার না করে তাহলে তাকে কাফের

খারেজীদের সম্পর্কে হাদীস
খারেজীদের সম্পর্কে হাদীস – খারেজীর সম্পর্কে নবীজির থেকে কিছু হাদীস বর্ণিত রয়েছে। তাদের ব্যাপারে তিনি ভবিষ্যদ্বানী করেছেন। তাদের ফেতনা সম্পর্কে সাহাবাদেরকে সতর্ক করেছেন। নিচে দুইটি হাদীস উল্লেখ করা হলো। পড়ুন: খারেজী কারা? এবং তাদের পরিচয় সহীহ বুখারী ৩৬১০ নং হাদীস حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ
প্রবন্ধ পাঠ

ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে না দেয়ায় আত্মহত্যা
ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে না দেয়ায় আত্মহত্যা – পিসির সামনে বসে আছি। আজকে হঠাৎ করেই টুইটার অ্যাকাউন্টে লগইন করলাম। সর্বশেষ কবে টুইটার ওপেন করেছি, তা মনে নেই। বাংলাদেশে টুইটার তেমন একটা চলে না। এখানে অখাদ্য ফেইসবুক খুব চলে। একটা সময় টুইটারে অ্যাকটিভিস্ট হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময় সঙ্গ দেয় নি। আমি পুরোনো পোস্টগুলো এক এক করে

তাওহীদ আল আমালী
তাওহীদ আল আমালী – শাঈখ উল মুজাহিদীন ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ) এর খুৎবার অংশবিশেষ। বিসমিলাহির রহমানির রহীম। যখন আফগানিস্তানে ছিলাম তখন আমি ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, জিহাদের ময়দানে অংশগ্রহণ করা ব্যতীত একজন মানুষের অন্তরে তাওহীদের ভিত্তি মজবুত হতে পারে না। এই হচ্ছে সেই তাওহীদ যার সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলে গিয়েছেনঃ “আমাকে পাঠানো হয়েছে কেয়ামতের

অমুসলিম দেশে বসবাস
অমুসলিম দেশে বসবাস – আল্লাহ তা’আলা সূরা তওবার ৩ নং আয়াতে বলেন, وان الله بريء من المشركين ورسوله এ আয়াতের মাধ্যমে মুসলমান ও কাফেরদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার জন্য চার মাসের সময় দিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দায়িত্বমুক্ত হলে সকল মু’মিন মুসলমানও দায়িত্ব মুক্ত হবেন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

নবজাতকের আর্তনাদ
নবজাতকের আর্তনাদ – বিয়ের পর সর্বপ্রথম সূখ অনুভূতি হয় সন্তানের জন্মের সময়। একজন ব্যক্তির শত দুঃখ-কষ্ট মুছে দিতে পারে তার নিষ্পাপ সন্তানের চেহারা। সন্তানের বিয়োগ ব্যাথায় বাবা-মা শোকে কাতর হয়ে যায়। বাবা-মায়ের বিয়োগ ব্যাথায়ও সন্তানরা কান্না করে। কষ্ট পায়। এই বন্ধন বড়ই সুখের। একটা শিশু তার পরিপূর্ণ সিকিউরিটি পাওয়ার সমাজের নিকট তার অধিকার। সে নিরাপত্তা

শিশুদের শিক্ষা অর্জনে বাবা মায়ের ভূমিকা কতুটুকু?
শিশুদের শিক্ষা – আজকের শিশু, আগামীর ভবিষ্যত। কথাটা সত্য। আজ যেই শিশু জন্ম হয়, অদূর ভবিষ্যতে তার কর্ম দক্ষতায় দুনিয়া উপকৃত হবে। সমাজ উপকৃত হবে। তাই আজকে যদি আপনি শিশুকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই তার চিন্তা-চেতনার দরজা খুলে দিতে পারবেন। তাকে এক নতুন পৃথিবীতে বিচরণের স্বাদ উপভোগ করাতে পারবেন। কিন্তু নির্মম সত্য

জান্নাতি মানুষ এর বিদায়
জান্নাতি মানুষ এর বিদায় – গত মঙ্গলবার তথা সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে আমার হারুন চাচা অসুস্থ হয়ে বাসায় আসেন। তার অসুস্থতা অনেক বেশি। বেশ কিছুদিন ধরেই তার পেট ব্যাথা ও আরো কিছু রোগ ধরেছে তার। আমরা ভেবেছি, তিনি অচিরেই সুস্থ হয়ে যাবেন। আমাদের বাসায় হারুন চাচা শনিবার পর্যন্ত অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকেন। সাথে চাচী ও

একটি সওয়াব অর্জন করতে চান?
আপনার আশেপাশে থাকা অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সহজেই আপনি আল্লাহর নিকট প্রিয় হতে পারেন। তাদের রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ আপনার রিযিক থেকেই দিয়ে রেখেছেন। আপনি কি তাদেরকে তাদের ভাগ দিয়েছেন?