সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে হিজড়াকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে প্রচার

সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে হিজড়াকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে প্রচার – সম্প্রতি বাংলাদেশে কিছু আলেম ও দ্বীনী ভাইদের উদ্যোগে হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মসজিদ তৈরি করা হয়।

যাতে তারা নির্বিঘ্নে ইবাদত করতে পারে। সাধারণত হিজড়ারা বিভিন্ন রকম পোশাক পরিধান করার কারণে আমাদের মসজিদগুলোতে যেতে পারে না।

আমাদের কালচার তাদেরকে মেনে নিতে পারে না। তাদেরকে সহ্য করতে পারে না।

তাই তাদের জন্য আলাদা ইবাদতগৃহ নির্মাণ নিঃসন্দেহে অতি উত্তম একটি কাজ।

দেশে হিজড়াদের নিয়ে আলাদাভাবে মসজিদ নির্মাণ করার পর আমাদের দেশীয় মিডিয়ায় এটি এতটা প্রভাব না ফেললেও বিদেশী অনেক মিডিয়া এই ফলাও করে প্রচার করেছে।

তবে তারা প্রচার করতে গিয়েই হয়েছে বড় জটিলতা।

ট্রান্সজেন্ডার হলো সমকামিতার সমর্থক, অথচ হিজড়াদেরকে তারা ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা বিশ্বে পরিচিত করাচ্ছে।

বাংলাদেশে থাকা অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিরাই এমন উদ্ঘট কাহিনী দেখে অবাক হয়েছেন। বিস্মিত হয়েছেন।

যেই জিনিষটা এখনো অন্যান্য পশ্চিমা দেশেও সম্ভব হয় নি, সেটা বাংলাদেশে কিভাবে ঘটলো!

এমন বিতর্কিত নিউজ শুধু ইউরোপীয় মিডিয়া করেছে, এমনটা হয়। আল জাজিরা ইংরেজি পর্যন্ত ট্রান্সজেন্ডারটাকে হিজড়া হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

তাই এখন এই কথাটাই বারবার সামনে আসছে, কোন মিডিয়া বিশ্বাসযোগ্য? ইহুদিবাদী এই সকল মিডিয়া, ব্যাংকব্যবস্থা উপর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।

আপনাকে আপনার দুনিয়াবী প্রভূদেরকে খুশী করেই সামনে অগ্রসর হতে হবে। পরাজিত মুসলমানরা উত্থানের স্বপ্ন দেখে না। গোলামী তাদের অস্থি-মজ্জায় মিশে গেছে।

উম্মাহ এখন আর খেলাফত নিয়ে ভাবে না। জানে না তাদের সোনালী অতীত। তাই তো সময়ে সময়ে তারা ইহুদি-খৃস্টানদের দাসে পরিণত হয় বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে।

ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া নিয়ে কেন এত জটিলতা?

বহু সেলিব্রেটি, সাংবাদিক ও লেখক মনে করেন ট্রান্সজেন্ডার হলো হিজড়ার ইংরেজি শব্দ।

এমনকি বর্তমান সময়ে গুগল ট্রান্সলেটে হিজড়ার ইংরেজি ট্রান্সজেন্ডার দেখাবে। কিন্তু এটি মারাত্মক ভুল।

হিজড়া শব্দের ইংরেজি হলো, ইন্টারসেক্স। আর এই ইন্টারসেক্স হলো সেই সকল ব্যক্তি, যাদের শারীরিক গঠনে নারী-পুরুষের মিশ্র বৈশিষ্ট্য থাকে।

এটাকে Disorder of sex development (DSD) ও বলা হয়। এমন মানুষদের ক্রোমোসোমের ডিসঅর্ডার বা অমিল কাজ করে।

সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, ২০০০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন এমন ইন্টারসেক্স ব্যক্তি পাওয়া যায়। আর এটি মোট জনসংখ্যার ০.০৫%।

এছাড়া বাকী ৯৯.৯৫% মানুষ হয় পুরুষ অথবা নারী হয়। মানুষের পরিচয় বাইনারি। এখানে কোনো জটিলতা নেই।

সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে হিজড়াকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে প্রচার করা দেশীয় আইন অনুযায়ীও মস্ত বড় অপরাধ।

তাই মিডিয়াগুলো শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযমী হওয়া ‍উচিৎ। মুসলমানদের দৃষ্টিকোণ থেকে যা ইসলাম বহির্ভূত, তা থেকে বিরত না থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মুসলমানরাই তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দিবে ইনশাআল্লাহ

লেখাটি শেয়ার করতে সর্ট লিংক কপি করুন

Scroll to Top