ঈদ উৎসবের গুরুত্ব – পোলাপান নাকি ঈদের আনন্দ পায় না। এটা বড়ই হাস্যকর। হারাম অনুষ্ঠানে আনন্দ উল্লাস করে এলাকাকে মাথায় উঠায়।

অথচ হালাল ঈদ উৎসবে ঘুমিয়ে কাঁটিয়ে আমার বলে,

“সারাদিন ঘুমিয়ে কাঁটলো” “ঈদের বয়স নাই” “ঈদের মজা নাই” ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো হলো অকৃতজ্ঞতা স্বরুপ কথাবার্তা।

ইন্টারনেট ও মোবাইল আমাদের জীবনকে সহজ করে তুললেও আমরা কখনো কখনো আনন্দ উৎসব হিসেবে এটিকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি।

আজকের দিনে এমন অনেককে পাওয়া যাবে, যারা সারাদিন মোবাইল চালিয়ে কাঁটিয়েছে। সারাদিন ভিডিও গেম খেলে কাঁটিয়েছে।

তারা খেলাধূলা করে নি। বন্ধুদের সাথে হালাল আড্ডায় বসে নি। কাউকে শুভেচ্ছা জানায় নি।

এমনকি নিজের ছোট ভাই-বোনের সাথেও খেলাধূলা করে নি। এটা এই সমাজের একটি চরম বাস্তবতা।

আমাদের সামনে ঈদকে উপস্থাপন করা হয় বিতর্কের আড়ালে, আমাদের সামনে ঈদকে উপস্থাপন করা হয় হারাম নাটকের আড়ালে।

আমাদের সামনে ঈদকে উপস্থাপন করা হয় বেহায়াপনার আলোকে।

তাই তো সুন্দর ঈদের ব্যবস্থাপনা দেখতে আমরা বোরিং ফিল করি। হতাশ হই। অন্যমনষ্ক থাকি।

ঈদ আমাদের ধর্মীয় উৎসব। আপনি মিয়া হিন্দুদের দুর্গাপূজায় গিয়ে নাচানাচি করে লিখেন, “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”। তাহলে আজকে আপনার হিন্দু বন্ধুরা কই?

ঈদ আমাদের উৎসব। একান্তই আমাদের উৎসব। ঈদের দিন সুন্দরভাবে কাঁটলে পরবর্তী সময়ে এটির প্রোডাক্টিভিটি আমাদের বহুদূর অগ্রসর করবে ইনশাআল্লাহ।

ঈদের পর আমরা কাজ করে আনন্দ পাব। পড়ে আনন্দ পাব। যদি ঈদে ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব নিয়ে মুখ ফুঁলিয়ে থাকি তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের পাঁয়ে কুড়াল মারছি।

ঈদের দিন আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে একত্রিত হয়ে আড্ডা দেওয়া উচিৎ।

আড্ডায় সমসাময়িক বিভিন্ন, মুসলিম ইতিহাস, ফিতনা ও আরো বিভিন্ন টপিক থাকতে পারে। প্রতিটা ফ্রেন্ড সার্কেলে কিছু জ্ঞানী ছেলে থাকে।

যারা একটু বেশি জানে। তার সাথে কোনো বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে সুষ্ঠুভাবে। এতে উভয়ের লাভ। যে জানে, তার কথার শব্দচয়ন উন্নত হবে। যে জানে না, সে নতুন কিছু তথ্য জানতে পারবে।

ঈদের দিন পরিবারের সবাই মিলে ঘরোয়া উৎসবের আয়োজন করা যায়। খেলাধূলার আয়োজন করা যায়।

কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়। ঈদকে অর্থবহ করে তুলুন। ঈদ আমাদের। একান্তই আমাদের।

ঈদ উৎসবের গুরুত্ব লেখাটি শেয়ার করতে সর্ট লিংক কপি করুন

Scroll to Top