ঈদ উদযাপন করবো কিভাবে?

ইসলামী সংস্কৃতিতে ঈদ উদযাপন – মুয়াজ্জিনের মুখরিত কণ্ঠে ঘুম ভাঙ্গে আমার। তিনি হাইয়্যা আলাস সালাহ্ বলে মানুষকে নামাজের দিকে আহবান করছেন। আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠলাম আমি।

বাসায় এই কয়দিন আমি আর আব্বু ছাড়া কেউ ছিল না।

গতকাল রাতে চাচাতো ভাই জাবের ও যুবায়ের আসলো। আমরা কখনো একত্রে ঈদ উদযাপন করি নি।

তাই এটা ছিল আমাদের জন্য প্রথম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা ফজরের নামাজের জন্য তৈরি হলাম।

আজ কুরবানীর ঈদ। আরবীতে বলা হয় ঈদুল আযহা। এই দিনের ফজিলত ও বরকত অনেক। হযরত ইব্রাহিম আ. এর যামানা থেকেই এর প্রচলন শুরু।

বাংলাদেশের মুসলমানরা সবাই এই দিনে গরু বা ছাগল কুরবানী দেয়। কুরবানী আল্লাহ আমাদের উপর ফরজ করেছেন।

ফজরের নামাজ পড়ে আমরা বসলাম বাসায়। সবাই গল্প করছি। খানিকক্ষণ পর সবাই যার যার মতো ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

আমিও একটা কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করলাম।

কিছুদিন ধরেই আবু বকর রা. এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। লেখালেখির সাথে যুক্ত তো অনেক আগ থেকে।

কিন্তু ধারাবাহিকভাবে লেখালেখিতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছি কিছুদিন আগে। সবেমাত্র ওয়েবসাইট খুলেছি।

প্রথম প্রথম ফাংশনের অনেক কিছুই বুঝতাম না। এখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি। আমি কিছুদিন ধরে ইন্টারনেটে মুসলিম ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম,

বাংলা ভাষায় মুসলিম ইতিহাসটি এতটা নির্ভরযোগ্যভাবে নেই।

অনেক কাঁটছাঁট করা ইতিহাস লেখা হয়েছে। তাই আমি এই কাজে হাত দিয়েছি।

ঈদ উদযাপন

এই লেখায় যা যা থাকছে :

আজকের কাজ

আমি আজকে আবু বকর রা. এর সম্মানিত পিতা হযরত আবু কুহাফা রা. কে নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করলাম।

কিভাবে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন, কিভাবে তিনি জীবন-যাপন করেছেন ইত্যাদি।

এরপর আমরা ঈদের নামাজ পড়ার জন্য সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুল মসজিদে যাই। মসজিদে ঈদের নামায শেষে আমরা ফিরে আসি বাসায়।

আসার পথে দেখলাম, অনেকেই পশু কুরবানী করে ফেলেছে। কেউ বা কুরবানী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা বাসায় এসে নাস্তা করলাম।

এরপর স্বভাবগত ই আমরা যে যার মতো সময় কাঁটাতে লাগলাম। আমাদের গরু কুরবানী করা হয় ঈদের পরের দিন। তাই ঈদের দিন রিল্যাক্স।

দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর চাচাতো ভাই জাবের ও যুবায়ের যার যার গন্তব্যে চলে গেল।

জীবনে এই প্রথম আমরা একত্রে ঈদ উদযাপন করলাম। আর কখনো সুযোগ হবে নাকি সন্দেহ আছে।

সর্বশেষে মহান আল্লাহর নিকট এই প্রার্থনা করে শেষ করি, আল্লাহ যেন আমদের মধ্যে এই বন্ধনকে আজীবন অটুট রাখেন।

আরো পড়ুন

ঈদ উদযাপনের পদ্ধতি ও জিজ্ঞাসা-জবাব

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top