রাস্তার নামকরণ – দৈনন্দিন চলাফেরার জন্য রাস্তা আমাদেরকে ব্যবহার করতেই হয়। রাস্তা ছাড়া একটি সমাজ কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব।

মানুষ নিজের প্রয়োজনে, অন্যের প্রয়োজনে রাস্তা তৈরি করে। রাস্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় মালামাল আনা-নেওয়া করা যায়। নিজেও চলাফেরা করতে সুবিধা হয়।

সমাজ, এলাকা বা রাষ্ট্রের সকল রাস্তারই আলাদা আলাদা নাম থাকে। রাস্তার এসব নামকরণগুলো স্থানীয় নাম, বরণীয় ব্যক্তিদের নামে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অনেক রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে অথবা প্রাকৃতিক বিভিন্ন জিনিষের নামে। এটি প্রতিটা এলাকার আলাদা আলাদা কর্ম।

আমাদের দেশের রাস্তার নামগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা, নেতা, সংসদ সদস্যদের নামে নামকরণ হতে দেখা যায়।

এটি নিয়ে কারো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়, কোনো কোনো আলেম কিংবা ইসলামিক ব্যক্তিত্বের নামেও রাস্তার নামকরণ করা হয়।

আপাতদৃষ্টিতে এটিকেও তেমন কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না। একটি রাস্তার নামকরণ স্থানীয় ব্যক্তিদের ইচ্ছানুযায়ী একজন আলেমের নামে হতেই পারে।

কিন্তু আমাদের দেশের নাস্তিক, বামপন্থী, কমিউনিস্ট ও ইসলাম বিদ্বেষীদের এখানেই শরীরে জ্বালাতন শুরু হয়।

তাদের ভাষ্যনুযায়ী, রাস্তার নামগুলো পতিতা, বেশ্যা, নেশাখোর, নাস্তিকদের নামে হতে পারবে। সমস্যা নেই এতে। কিন্তু কোনো হুজুরের নামে রাখা যাবে না।

গণতান্ত্রিক ধারার এই দৃশ্যকল্পে ইসলামকে সকলেই আউট অব সাবজেক্ট হিসেবেই মনে করে।

এমনকি জাতীয় পাঠ্যপুস্তকেও মানুষের পরিচয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধর্মের কথা উল্লেখ করা হয় নি।

অথচ ধর্ম ছাড়া একজন মানুষ বিকলাঙ্গ। আত্মপরিচয়হীন। স্রষ্টার রহমত থেকে সে বঞ্চিত। অবশ্য আমাদের দেশের নাস্তিকদের এসব রহমতের দরকারও হয় না।

পূর্বে হযরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ., মাওলানা আমীনুল ইসলাম রহ. এর নামে নামকরণ করা রাস্তাগুলোর নাম বাতিল করা হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে তারা ইশারা ইঙ্গিতে এটাই বলেছিল যে, হুজুরদের এই দেশে কি দরকার! মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামকে কেন এই ভারতবর্ষে আমদানী করতে হবে!

তবে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, নবীজির অবমাননাকারী, ধর্ম ব্যবসায়ীদের নামে ঠিকই এখন রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

কারো কোনো আপত্তি নেই। প্রতিবাদ নেই। যেন এটি কোনো সমস্যাই নয়।

হুজুরদের নাম রাস্তার নামে যুক্ত করাটা বড় কথা নয়। নাম কেন সরানো হবে, এটিই হলো আমাদের প্রশ্ন!

Scroll to Top