ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটি কি আদৌ যুক্তি সঙ্গত?

ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটি কি আদৌ যুক্তি সঙ্গত? দেশের সংখ্যালঘিষ্ঠ একটি ধর্মের উৎসবের সময় এখন। যে যার ধর্ম পালন করবে, বাধা দেওয়া হবে না। এমনটাই ইসলামের শিক্ষা।

ইসলাম এসেছিল মূর্তিপূজাকে নস্যাৎ করতে, ইসলাম এসেছিল শিরককে পৃথিবী থেকে মুছে দিতে।

বর্তমানে অনেকে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও সদা শিরকে লিপ্ত।

নবীজি সা. যখন সাফা পর্বতের উপর উঠে মক্কাবাসীকে ডেকে বললেন, হে কুরাইশরা যদি আমি বলি,

এই পাহাড়ের পেছনে একদল সৈন্য আছে।

যারা তোমাদের হত্যা করবে। তাহলে কি তোমরা এই কথা বিশ্বাস করবে? তখন সকলেই বললো, অবশ্যই মুহাম্মাদ। বিশ্বাস করবো।

নবীজি সা. তখন মক্কাবাসীকে বললেন, তাহলে জেনে রাখ, আল্লাহ হলেন একমাত্র ইলাহ।

তিনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। মূর্তিপূজা সম্পূর্ণ গর্হিত একটি কাজ।

তখন মক্কার মুশরিকরা বলাবলি করতে লাগলো, এই জন্যই কি আমাদের ডেকেছিলে তুমি? আমরা আমাদের পূর্বপুরুষকে যেমন পেয়েছি, তেমনি থাকবো।

আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ সা. প্রায় ১৩ বছর মক্কায় এবং ১০ বছর মদীনায় মানুষকে শিরক থেকে মুক্ত করে ইসলামের পথে আহবান করেছেন।

বিদায় হজের দিন কা’বা ঘরে থাকা ৩৬০টি মূর্তিকে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। আজকের মুসলমানের বাচ্চারা এসব জানে না!

দুর্গাপূজা বা অন্য ধর্মের কোনো উৎসব আসলেই একদল রাজনীতিবিদ ও সুবিধাবাদী লোক বলে বেড়ায়, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”।

এটি হলো দেশের একটি রাজনৈতিক স্লোগান। যা প্রথম উদ্ভাবন করেছিল দেশের সরকারদলীয় বড়মাপের একজন ব্যক্তি।

ইসলাম সম্পর্কে যেই রাষ্ট্র প্রধানের নূন্যতম জ্ঞান থাকে, সে এমন অহেতুক কথা বলতে পারে না।

ধর্মীয় উৎসব কখনোই সবার ছিল না। কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ও ইহুদি তো মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা (কুরবানীর ঈদ) ও ঈদুল ফিতরে (রোজার ঈদ) শরীক হয় না।

কোনো অমুসলিম তো মুসলমানদের মতো রোজা রাখে না একমাস। কোনো অমুসলিম তো মুসলমানদের সাপ্তাহিক উৎসব শুক্রবার জুমুআর মসজিদে আসে না!

2

তাহলে কিভাবে উৎসব সবার হয়? বর্তমানে একদল লোক সূরা কাফিরুনের রেফারেন্স টেনে বলে, এখানে বলা হয়েছে, তোমাদের ধর্ম তোমাদের আমাদের ধর্ম আমাদের।

অথচ এই আয়াতের ব্যাখ্যা কেউ ই পড়ে দেখে না। ছোট ব্যাখ্যাটি হলো.

তোমাদের পথ ও পন্থা তোমাদের জন্য (সে পথে চলার পরিণতি তোমাদেরকেই ভোগ করতে হবে)

আর আমার জন্য আমার পথ (যে সত্য পথে চলার জন্য আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ পথ ছেড়ে আমি অন্য কোন পথ গ্রহণ করতে মোটেই প্রস্তুত নই)

যেই ব্যক্তি ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্মে থাকবে সে কখনো জান্নাতের ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে না। আর মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

ইসলাম ব্যতিত অন্য কোনো ধর্মই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। একমাত্র ইসলামই হবে আল্লাহর নিকট মনোনীত ধর্ম। অন্য সকল ধর্ম পরিত্যাজ্য।

Scroll to Top