বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া একত্রিকরণের ষড়যন্ত্র

সম্প্রতি জাগোনিউজ ডট কমের ওয়েবসাইটে ড. মতিউর রহমান সাহেবের একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। যেটিতে খুবই সুকৌশলে বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া জনগোষ্ঠীতে একত্র করে জগাখিচুঁড়ি বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে পাঠকের সামনে।

এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রকাশিত মতামত অনুযায়ী, ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণ আলাদা দুটি জিনিষ।

ট্রান্সজেন্ডার বলা হয় একশ্রেণীর মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের। যারা সমকামিতার মতো বিকৃতি কুরুচিপূর্ণ যৌনব্যবস্থাকে সমর্থন করে।

এছাড়াও ট্রান্সজেন্ডাররা নিজেদের নিকৃষ্ট কামনা-বাসনা পূরণার্থে নিজেকে ছেলে থেকে মেয়ে বা মেয়ে থেকে ছেলে হিসেবে ঘোষণা দেয়।

জাগোনিউজে প্রকাশিত উক্ত লেখায় ড. মতিউর রহমান বলেছেন,

ঐতিহাসিকভাবে, হিজড়ারা দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতিতে বহু শতাব্দী ধরে বিদ্যমান, একটি জটিল ইতিহাস যা আধ্যাত্মিকতা, পৌরাণিক কাহিনী এবং সামাজিক গৌণ ভূমিকার সাথে জড়িত। ঐতিহ্যগতভাবে, হিজড়ারা এই অঞ্চলে বিবাহ এবং সন্তান জন্মদানের পর তাদের অনন্য আশীর্বাদের জন্য স্বীকৃত, যদিও তাদের সামাজিক অবস্থান বৈষম্য এবং প্রান্তিকতায় পরিপূর্ণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’- এর হিসেবে দেশে ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি রয়েছে। তবে, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসেবে সারা দেশে তাদের সংখ্যা লাখের উপর হতে পারে। হিজড়ারা ঢাকাসহ দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরগুলোতে অবস্থান করে। তবে, ঢাকাতেই এদের সংখ্যা বেশি। হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকার ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজড়া সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র পরিচয় স্বীকার করে ’তৃতীয় লিঙ্গ’ বা ট্রান্সজেন্ডার হিসাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে একটি পৃথক লিঙ্গ বিভাগ চালু করে। এই স্বীকৃতি হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তারা ভোট দানের স্বীকৃতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিও পায়।

এখানে লেখক খুবই কৌশলে প্রথমে হিজড়া শব্দ ব্যবহার করে মানুষের মন জয় করতে চেয়েছেন।

এরপর সুকৌশলে বিবিএস এর পরিসংখ্যানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দ ব্যবহার করেছেন।

পরবর্তীতে আবার হিজড়া শব্দ ব্যবহার করেছেন। এমনকি তিনি চাটুকারিতার সাথে ট্রান্সজেন্ডারকে “তৃতীয় লিঙ্গ” বলেও পরিচিত করাতে চাচ্ছেন।

২০২২ সালে বাংলাদেশ আইন মন্ত্রণালয় থেকে ট্রান্সজেন্ডার নামক বস্তাপঁচা সুরক্ষা আইন পাশ হয়েছে। এখন তা সংসদে বিল পাশ হওয়ার অপেক্ষায়।

বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া ও আমেরিকার গোলামরা খুবই কৌশলে শব্দের মারপ্যাঁচে আমাদের বোকা বানিয়ে আইন বাস্তবায়ন করছে।

এমনকি তারা ট্রান্সজেন্ডারদের ডাটা একত্রিকরণ করে ডাটাবেজ তৈরি করেও উদ্যোগ নিতে চাচ্ছে।

যাতে এই বিকৃত রুচির মানুষদের কেউ সামাজিকভাবে হেনস্থা না করতে পারে।

এছাড়াও তারা টিভি, রেডিও, প্রিন্ট মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারের পক্ষে নিজেরা ক্যাম্পেইন করতে বদ্ধপরিকর।

সুতরাং আপনি যদি এখনই এই নব্য মানসিক ভারসাম্যহীন ফেতনা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক না করেন তাহলে অচিরেই তারা আপনার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করবে।

সময় থাকতে নিজে সাবধান হোন। নিজের পরিবারকে সাবধান করুন। আশেপাশের মানুষকেও সাবধান করুন। ফেতনা থেকে বেঁচে থাকুন।

বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া কখনোই এক নয়। দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন জিনিষ। উপরের বাটনে চোখ বুলাতে পারেন।

আরো পড়ুন – বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া পার্থক্য

সমকামি মতাদর্শ কিভাবে এতবড় ইস্যু হলো? ড. সরোয়ার হোসাইন

জন্মগতভাবে কি ট্রান্সজেন্ডার হয় কেউ? ড. সরোয়ার হোসাইন

হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার শব্দের ধোঁয়াশায় দেশে বিপদের ঝুঁকি

বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ প্রবেশের চেষ্টা

রুপান্তরকামিতা ট্রান্সজেন্ডারের আরেক রূপ, পড়ুন

Scroll to Top