পৃথিবীতে আস্তে আস্তে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। এর সাথে বাড়ছে ফিলিস্তিনে শীত। বাংলাদেশে এই নভেম্বর মাস থেকে একটু একটু করে শীত পড়া শুরু হয়।
পৃথিবীর কিছু কিছু অঞ্চলে এখন অনেক বেশিই শীত চলছে। এর মধ্যে আবার কিছু কিছু এলাকায় ও দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে প্রচুর।
এতে শীতে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। শীতের মৌসুমে আমরা সকলেই শীত থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় গাঁয়ে জড়াই।
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মসলুম ফিলিস্তিনিদেরও এই শীতের কাপড় খুব কম।
তাদেরকে তো গণহত্যা করে বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
অসহায় মানুষেরা বাস্তচ্যুত হচ্ছে। তাবু টাঙিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু সেখানেও মিলছে না স্বস্তি।
দখলদার জায়োনিস্ট ইসরাইলিরা এই বাস্তচ্যুত ক্যাম্পগুলোতেও বোমা হামলা করছে।
গাজা উপত্যকা, বাইতে হানুত, বাইতে লাইয়া, রাফাহ, নুসিরাত ক্যাম্পসহ ফিলিস্তিনের সর্বত্র এমন দুরবস্থা বিরাজ করছে।
একদিকে প্রচন্ড বৃষ্টিতে যদিও ফিলিস্তিনিদের পানির চাহিদা পূরণ হচ্ছে, কিন্তু এতে এই শীতের মৌসুমে তারা প্রচন্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছে।
তাদের সকলের নিকট গরম কাপড়ও নেই। নেই জ্বালানীও। বিদ্যুৎ সংযোগ তো সেই ৯/১০ অক্টোবরই বন্ধ করে দিয়েছে জায়োনিস্টরা।
আমরা ফিলিস্তিনিদের থেকে হাজার মাইল দূরে হলেও অন্তরের সম্পর্কের দিক থেকে মোটেও দূরে নই। তারা আমাদের মুসলিম ভাই।
আমাদের হাশর তাদের সাথেই হবে। সেদিন যদি তারা আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে এই বলে যে, হে আল্লাহ! আমরা অভাবগ্রস্থ ছিলাম। কিন্তু তোমরা বান্দারা আমাদের সাহায্য করে নি।
তাহলে আমরা সেদিন কোনো জবাব দিতে পারবো না। আমরা পুরোপুরি ফেঁসে যাব। আমাদের জন্য জাহান্নাম ছাড়া কিছু কল্পনা করা যায় না।
তাই ফিলিস্তিনিদের এহেন খারাপ অবস্থায় আমাদেরকে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা উক্ত এলাকায় কাজ করছে।
তাদের মাধ্যমে আমরা সহায়তা পাঠাতে পারি। One Nation, One Ummah, ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনসহ আরো অনেক সেবা সংস্থা আছে সেখানে।
আমরা তাদের মাধ্যমে সহায়তার পাঠানোর চেষ্টা করতে পারি। এই সম্পদ বৃথা যাবে না ইনশাল্লাহ।
একদিন ১০ গুণ হয়ে এই সম্পদ আমাদের নিকট ফিরে আসবে।
আরো কিছু উপায় – শীতের প্রকোপ বাড়ছে ফিলিস্তিনে
যদি আপনার নিকট ডুয়াল কারেন্সি ডেভিড কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড না থাকে তাহলে আপনি আর রিহলাহ ফাউন্ডেশন কিংবা ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমেও টাকা পাঠাতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
ইচ্ছা করুন। ইনশাল্লাহ উপায় হয়ে যাবে।