ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া পার্থক্য

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এই ইস্যুতে সবাই সুক্ষ্মভাবে একটি ধোঁকা দিচ্ছে। সেটি হলো, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জিনিষ দুটি একত্র করে ফেলা।

দেশের অনেক সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সংক্রান্ত নিউজ প্রচার করে মানুষের মাঝে ব্যাপক বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।

হিজড়া হলো একটি জন্মগত জেনেটিক সমস্যা। হিজড়া কিভাবে হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে,

জন্মের সময় অ্যান্ড্রোজেন রিসিপ্টর নামক একটি জিনে পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের হরমোন তৈরিতে বাধাগ্রস্ত হয়।

যে কারণে তারা জেনেটিক্যালি তথা জন্মগতভাবে পুরুষ হয়েও বাহ্যিকভাবে দেখা যায় মেয়েদের মতো। প্রতি ৫ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জন এমন হতে পারে।

এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণে হিজড়া হতে পারে। কিছু ধরন আছে যেগুলো বয়ঃসন্ধির আগে বিষয়টা বুঝতেই পারে না।

হিজড়া খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। শিশুজন্মের মাত্র ০.০১৮% ক্ষেত্রে হিজড়া নামক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাকী ৯৯.৯৮% ক্ষেত্রে শিশুরা জন্মগতভাবে ছেলে বা মেয়ে হিসেবে জন্মগ্রহণ করে।

অন্যদিকে ট্রান্সজেন্ডারকে কোনো অসুস্থতা বা মানসিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয় না। ট্রান্সজেন্ডারের বাংলা হিসেবে অনেকে হিজড়া শব্দ ব্যবহার করে থাকে।

এটি মারাত্মক ভুল। শব্দের মারপ্যাচে ফেলে মানুষকে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে স্বাভাবিকরণের চেষ্টা করছে এক শ্রেণীর বিকারগ্রস্থ বুদ্ধিজীবীরা।

বাংলাদেশে হিজড়া শব্দ ব্যবহার করে এ দেশে তারা সমকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডারকে সুকৌশলে প্রবেশের চেষ্টা করছে তথাকথিত সুশীলরা।

বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ে ভুলভাল শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে বিপথে নেওয়া হচ্ছে।

বাবা-মায়ের উচিৎ সন্তানকে এই শিক্ষা দেওয়া যে, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া কখনোই এক নয়। দুটি আলাদা জিনিষ।

তথ্যসুত্র

সন্তান প্রতিপালনে এ যুগের চ্যালেঞ্জ। পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬

ট্রান্সজেন্ডার কি ?

কোনো ব্যক্তি নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের দিকে পরিচয় দিলে তাকে ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ বা ট্রান্সজেন্ডার নারী বলা হয়।

ট্রান্সজেন্ডার আর সমকামিতা কি এক জিনিষ ?

বর্তমানে ট্রান্সজেন্ডার আর সমকামিতা একই জিনিষ। এলজিবিটিকিউ এবং অন্যতম আন্দোলন হলো ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু।

Scroll to Top