বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ প্রবেশের চেষ্টা

বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ প্রবেশের চেষ্টা – ট্রান্সজেন্ডার বা ইচ্ছানুপাতিক জেন্ডার পরিবর্তন। পূর্বে একটা সময় ছিল,

যখন মানুষ বিভিন্ন ডাক্তারি থেরাপির মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলে থেকে মেয়ে বা মেয়ে থেকে ছেলে হতো।

কিন্তু সমাজ এখন আরো আপডেট (!)। এখন আর চিকিৎসা লাগে না। কেউ যদি নিজেকে মেয়ে মনে করে বা ছেলে মনে করে তাহলেই সে মেয়ে বা ছেয়ে হয়ে যাবে।

সামাজিক এমন অধঃপতন চিন্তাধারা এতদিন ইউরোপ-আমেরিকাতে ছিল।

সেই চিন্তাধারা এখন সুশীল প্রগ্রতিশীল মানবরূপি হায়নাদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে প্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে আইনগতভাবে এমন কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। এটি সাংবিধানিক আইনেও নেই।

তাই এক শ্রেণীর নষ্ট মস্তিষ্কের বুদ্ধিজীবী এটিকে হিজড়াদের সাথে মিশ্রিত করে গুলিয়ে ফেলছেন।

কিছু উদাহরণে আসি। তাহলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে ইনশাল্লাহ।

উদাহরণ ১.

আপনি একটা মেয়েকে বিয়ে করলেন। সংসারের প্রথম সময় আপনাদের মধ্যে আস্তে আস্তে ভালোবাসা তৈরি হতে লাগলো।

৪/৫ মাস পরে একদিন হঠাৎ আপনার স্ত্রী নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার (অর্থাৎ ছেলে) দাবী করলো। এখন আপনাদের সম্পর্কের কি হবে?

উদাহরণ ২.

আপনার বাবার আপনিসহ ৩ বা ৪ জন সন্তান। এখন আপনারা প্রায় প্রতিষ্ঠিত। আপনি বড় একটি স্থানে জব করছেন।

একেবারে ছোটটা মেডিকেলে বা বুয়েটে পড়ছে। একদিন হঠাৎ আপনার বাবা নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার (অর্থাৎ মেয়ে) দাবী করে বসলো।

এখন আপনাদের এই পরিবারের কি অবস্থা হবে? আপনার মায়ের কি অবস্থা হবে?

উদাহরণ ৩.

আপনার মেয়েকে নতুন বিয়ে দিলেন। মাসখানেক পর আপনার মেয়ের স্বামী আপনার নিকট এসে বললো, তিনি আপনার মেয়েকে ডিভোর্স দিতে চান।

কারণ, আপনার মেয়ে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার (ছেলে) দাবী করে। এছাড়াও তার এক মেয়ে বান্ধবীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক (সমকামিতা) আছে।

আপনি একজন বাবা হয়ে এটাকে কিভাবে মেনে নিবেন?

শব্দের মারপ্যাচ

বর্তমানে অনেক পুরুষ নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার দাবী করে ধর্ষক হচ্ছে। উন্নতবিশ্বে এটি নিয়ে আলাদা তেমন আইন নেই।

২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের জেলখানায় একটা ঘটনা ঘটে। জেলখানায় সাধারণত পুরুষ আর মহিলাদের আলাদা সেল থাকে।

একজন ধর্ষক পুরুষ কয়েদি একদিন নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার মহিলা দাবী করলো।

যেহেতু এটার পক্ষে ফিজিক্যালি কোনো প্রমাণ নেই তাই তাকে নারীদের সেলে রাখা হলো।

এই পুরুষ লোকটি শিশুকামিতা, ধর্ষণ, চুরি ও যৌন নিপীড়নের জন্য দোষী হিসেবে জেলে বন্দি হয়।

ট্রান্সজেন্ডার হয়ে যখন তাকে মেয়েদের সেলে রাখা হলো তখন দেখা গেল সে তার মেয়ে রুমমেটকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়াও অন্য মেয়েদেরকে যৌন নিপীড়ন করেছে।

আমেরিকায় একটি মেয়ে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার (পুরুষ) দাবী করে। কোনো এক অপরাধে তাকে জেলে রাখা হয়। পুরুষ দাবী করায় তাকে পুরুষদের সেলে রাখা হয়।

এরপর নাকি পুরুষরা তাকে ধর্ষণ করেছে। এতে জেল কতৃপক্ষ পড়ে গেছে বিড়ম্বনায়। এমন আরো বহু ঘটনা আছে এই ট্রান্সজেন্ডার ঘটনা নিয়ে।

বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার স্বাভাবিকীকরণ

২০২৩ সালে মাধ্যমিক লেভেলের বইতে একটি গল্প ছিল। একটি মেয়ের নাম শরীফা। কিন্তু তার আগে নাম ছিল শরীফ।

মানে মেয়েটি মূলত আদতে পুরুষ। কিন্তু সে নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার তথা মেয়ে দাবী করে। এরপরই সারা দেশে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর দেখা গিয়েছিল সমকামিদের বিয়ে। আরো অনেক কিছু। বর্তমানে সরকারের অগোচরে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানী এটিকে স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা করছে।

এটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার, প্রেজেনটেশনও করছে। এই জিনিষটি বাংলাদেশে একবার প্রচলিত হলে মানুষ ধর্ষক, লম্পট, নারী খাদক, সমকামী হবে।

এতে আস্তে আস্তে দেশে এইডসসহ আরো বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। আমাদের সন্তান এবং ভাইবোনেরা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত হবে।

এটি কখনোই একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের জন্য কাম্য নয়। একটি কথা চিরসত্য, যারাই সমকামী তারাই ট্রান্সজেন্ডার।

এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন লিখিত “সন্তান প্রতিপালনে এ যুগের চ্যালেঞ্জ” বইটি পড়া যেতে পারে।

লেখক এই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রির অধিকারী। তাই তার এই গবেষণামূলক লেখাটি প্রত্যেক রুচিশীল বাবা-মায়ের পড়ে দেখা উচিৎ।

বইটি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে যে কোনো একটি অনলাইন শপ বেছে নিন।

বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ প্রবেশের
বাংলাদেশে ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ প্রবেশের চেষ্টা
Scroll to Top