ফিলিস্তিনের রক্তক্ষরণ – যুদ্ধেই জন্ম, যুদ্ধেই মৃত্যু! একটি সভ্যতা গড়ে উঠে অনেক ত্যাগ ও মেহনতের ফলে। কিন্তু একটি সভ্যতা ধ্বংস হয় মাত্র কয়েকদিনেই।

জায়োনিস্ট ইসরাইলের সাথে ফিলিস্তিনের বর্তমান যুদ্ধকে আমরা অস্বাভাবিক মনে করলেও ইহুদিরা এমন যুদ্ধ আরো বেশি বেশি চায়।

গত দুই মাসের যুদ্ধে গাজ্জাবাসীর যতটা ক্ষতি হয়েছে, তাদের মনোবল ততটাই বেড়েছে। বহু শিশু এমন ছিল, যুদ্ধের মধ্যেই যাদের জন্ম হয়েছে আবার এই যুদ্ধেই তারা শহীদ হয়েছে।

জীবনের শব্দগাঁথা জানার আগেই তারা আল্লাহর নিকট চলে গেছে। দুনিয়াতে কখনো তারা জানতেও পারে নি, কেন তাদেরকে নিধন করা হয়েছিল!

জায়োনিস্টরা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের অবৈধ রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন দেখছিল প্রায় হাজার বছর যাবৎ।

হার্জেলের দিকনির্দেশনায় ও প্রোটেস্টান্ট খৃস্টানদের সহায়তায় তারা সহজেই এই পথে আরো অগ্রসর হতে পেরেছে।

তাদের স্বপ্ন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেমে যায় নি, এখন তাদের দৃষ্টি মধ্যপ্রাচ্যের আরো বিস্মৃত ভূমির দিকে। তাদের দৃষ্টি কুদস শহরের দিকে।

ইহুদিরা মুসলমানদের পবিত্র ভূমি ও প্রথম কেবলা মসজিদে আকসাকে ভেঙ্গে দিয়ে তারা সেখানে হাইকালে সোলায়মানি নির্মাণ করতে চায়।

তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটা নির্মাণ করতে পারলেই দাজ্জালের আগমন ঘটবে।

এরপর ইহুদিরা শক্তিশালী হবে। খৃস্টানদেরও কিছু কিছু গ্রুপ ইহুদিদের এখানে সমর্থন করে।

যদিও তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। খৃস্টানরা মনে করে, ইহুদিরা হাইকালে সোলায়মানি নির্মাণ করার পর ঈসা আ. এর আগমন ঘটবে।

মুসলমানদের বিশ্বাস কি এই ভূমির ক্ষেত্রে? আল্লাহ তা’আলা কুরআন নাজিলের পর পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী গ্রন্থ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন।

এছাড়াও যুগে যুগে সেই গ্রন্থগুলোতে বানোয়াট ও মিথ্যাচার বক্তব্য দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মুসলমানরা বর্তমানে বাকী থাকা বাইবেলের কোনো অংশকেই বিশ্বাস করে না।

এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। বানোয়াট ও কল্পনার ফুলঝুরি। ইহুদি-খৃস্টানরা মসজিদে আকসা ধ্বংস করার পর বছরের পর বছর বহু প্ল্যান করছে।

এমনকি চলমান এই যুদ্ধে গাজ্জার উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে মুসলমানদের গাজ্জার দিকে দৃষ্টি থাকাবস্থায় তারা জেরুসালেমেও তাদের হীন চক্রান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

এই ফিলিস্তিন আবার মুসলমানদের হবে। তবে এর জন্য ঢালতে হবে অনেক রক্ত। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এই ভূমি আল্লাহ ফিলিয়ে দিবেন।

জিহাদকে এই উম্মাহর জন্য ফরজ করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, যদি তোমাদের নিকট জিহাদের চেয়েও নিজের জীবনকে, ধন-সম্পদকে, পার্থিব চাকচিক্যকে বড় মনে হয়, তাহলে তোমরা আল্লাহর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে। আল্লাহ ফাসেকদেরকে হেদায়েত দেন না।

সূরা তাওবা, আয়াত ২৪ (ভাবার্থ বর্ণনা করা হয়েছে)
Scroll to Top