আল ওয়ালা ওয়াল বারা কাকে বলে

কুরআনী নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলা যাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে বলেছেন, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা আর যাদের সাথে শত্রুতা রাখতে বলেছেন, তাদের সাথে শত্রুতা রাখা। এটাকেই ইসলামী শরীয়াহর পরিভাষায় আল ওয়ালা ওয়াল বারা (الولاء والبراء) বলা হয়।

ইসলামে শত্রুতা রাখতে বলা হয়েছে কাফেরদের সাথে, মুরতাদদের সাথে, মূর্তিপূজকদের সাথে, ইহুদি-খৃস্টানদের সাথে।

আর বন্ধুত্ব রাখতে বলা হয়েছে মুমিনদের সাথে, মুজাহিদদের সাথে। ইসলামে নবীজি সা. এর ইন্তিকালের পর থেকেই অনেকেই অনেকভাবে বিকৃত করতে চেয়েছে।

নিজেদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মতবাদ তৈরি করেছে, তাদের সাথেও শত্রুতা রাখতে হবে। যদিও নামে তারা মুসলমান, কিন্তু কর্মে তারা মুসলমান নয়।

ইসলাম মানেই হলো, আল্লাহর নিকট পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা। আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে মাথা নত না করা। আল্লাহই সার্বভৌমত্বের অধিকারী।

আল ওয়ালা ওয়াল বারা সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য

আল্লাহ তা‘আলা সূরা মুমতাহানার ৪নং আয়াতে বলেন,

قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآَءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ

‘‘তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথীগণের মধ্যে চমৎকার নমুনা রয়েছে। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত করো, তার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করছি। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করা পর্যন্ত তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চির শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশিত হয়েছে’’।

এছাড়াও আরো বেশ কিছু আয়াতে আল্লাহ এই সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। যেমন সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَىٰ أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

‘‘হে ঈমানদারগণ! ইয়াহূদী ও খৃস্টানদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা তো পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করে তাহলে সেও তাদের মধ্যেই গণ্য হবে। অবশ্যই আল্লাহ যালেমদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না’’।

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা’আলা নির্দিষ্ট করে ইহুদি-খৃস্টানদের বন্ধু বানাতে নিষেধ করেছেন।

বর্তমানে যারা ইহুদি-খৃস্টানদের অনুসরণ করে, তাদেরকেই সভ্যতার উত্তরণের পথ মনে করে, তাদেরকে কি মুমিন বলা যায়?

এছাড়াও আল্লাহ সূরা মুমতাহিনা এর ১ নং আয়াতে সমস্ত কাফেরদেরকে বন্ধু বানাতে হারাম করে দিয়েছেন। বলা হচ্ছে,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوا بِمَا جَاءَكُمْ مِنْ الْحَقِّ يُخْرِجُونَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ أَنْ تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِي سَبِيلِي وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِي تُسِرُّونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيل

‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা আমার (আল্লাহর) ও তোমাদের শত্রুদেরকে (কাফেরদেরকে) বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য আগমন করেছে, তারা তা অস্বীকার করছে। তারা আল্লাহর রাসূলকে এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিস্কার করে, এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরল পথ হতে বিচ্যুত হয়ে যায়’’।

আল্লাহ তা’আলা কাফের বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনকেও বন্ধু বানাতে নিষেধ করেছেন। সাহাবীরা বদর যুদ্ধে নিজেদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল।

সূরা তওবা এর ২৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنْ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الإِيمَانِ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা কুফরকে ঈমানের উপর প্রাধান্য দেয়। তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে, তারাই হবে যালেম’’।

কাফেরদের ব্যাপারে আল ওয়ালা ওয়াল বারা

কাফেররা মুসলমানদের চিরশত্রু। তারা কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইবে না। চাই সে যতটাই সভ্য (!) হোক না কেন।

মাঝেমধ্যে কোনো কোনো ক্ষমতাশীল কাফের রাজনৈতিক কারণে মুসলমানদের সমর্থন করে, এটা দেখে আমরা আনন্দে গদগদ হই। আমরা উক্ত কফের ব্যক্তি অতীত ইতিহাস ভুলে যাই।

কাফেরদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক। এই শত্রুতা মানে কাফেরদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদ চালু রাখা।

কাফেরদের নিকট থাকা মুসলিম বন্দিকে মুক্তি করতে মুজাহিদদের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা।

বেশিরভাগ মুসলিম দেশের শাসকদের দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা ইসলাম সম্পর্কে অভিজ্ঞ নয়।

সেই দেশে যেসব আলেমরা ইসলামের বিধান সরকারকে স্বরণ করিয়ে দিতে চায়, সরকার তখন তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার বেশ কিছু বাহ্যিক রূপ আছে। যেগুলো কারো মধ্যে দেখলেই বুঝা যায়, সে কাফেরদের আনুগত্য করছে।

১. পোশাক-পরিচ্ছদ ও কথা-বার্তার স্টাইলে কাফেরদের, মুরতাদদের অনুসরণ করা।[1]

২. কাফেরদের ভূমিতে দাওয়াতী কার্যক্রম ছাড়া বসবাস করা এবং কোনো মুসলিম দেশে সামর্থ্য থাকাবস্থায় হিজরত না করা।[2]

৩. আমোদ-প্রমোদ, ভ্রমণ-বিনোদন, ভোগ-বিলাসের জন্য কাফেরদের ভূমিতে যাওয়া। বিনা প্রয়োজনে কাফেরদের দেশে যাওয়া হারাম।[3]

৪. মুসলিমদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করা। কাফেরদের বিরুদ্ধে কোনো মুসলিম কথা বললে তাকে বন্দী করা। এটি মুরতাদ হওয়ার লক্ষণ।

৫. প্রয়োজন ছাড়া অমুসলিমদের সাহায্য নেওয়া। মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। কাফেরদেরকে বিশ্বস্ত মনে করা।[4]

৬. কাফেরদের ব্যবহৃত দিন-তারিখ, সন, সাপ্তাহিক বার ব্যবহার করা। মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হিজরী সনকে গুরুত্ব না দেওয়া। সেটা ব্যবহার না করা।

৭. কাফের-মুশরিকদের ধর্মীয় উৎসবে শরীক হওয়া। তাদেরকে অভিবাদন জানানো। মুসলিম হয়েও পূজা, ক্রিসমাস ডে ও অন্যান্য বিধর্মীদের উৎসবে যুক্ত হওয়া এবং তাদের অফার গ্রহণ করা।[5]

৮. কাফের, ইহুদি-খৃস্টান, মূর্তিপূজকদের প্রশংসা করা। তাদের সভ্যতাকে উত্তম মনে করা। তাদের ভ্রান্ত কার্যক্রমকেও ভালো ঘোষণা করা।[6]

৯. কাফেদের নামে সন্তানদের নামকরণ করা। কাফেরদের নামের ক্যালিগ্রাফি কিংবা আর্ট ঘটে ঝুলিয়ে রাখা।

১০. কোনো কাফের মারা গেলে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা।[7]

মুমিনদের কিভাবে বন্ধু বানাবেন?

একজন মুসলমান অন্য আরেক মুসলমানকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। এমনটাই কুরআন-হাদীসের দাবী। ইসলাম মুসলমানদের পরষ্পরকে ভাই ভাই হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এক ভাই যেমন ভুল করলে অন্য ভাই ভুল শুধরে দেয়, তেমনি একজন মুসলমান কোনো ভুল কাজ করলে অপর মুসলমানও তার ভুল ধরিয়ে দিবে।

মুমিনদের বন্ধু বানানোর বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন:

১. কাফেরদের ভূমি পরিত্যাগ করে মুসলিম এলাকায় হিজরত করা। মুসলিম ভূমিতে বসবাস করা।

২. নিজের এবং অপর মুসলমানের জান-মালের হেফাজত করা। অপর মুসলমানকে সহায়তা করা।

৩. কোনো মুসলমানের ব্যাথায় ব্যথিত হওয়া। কোনো মুসলমানের আনন্দে আনন্দিত হওয়া।

৪. অপর মুসলমানের কল্যান কামনা করা। কোনো মুসলমানকে ধোঁকা না দেওয়া এবং মুসলমানদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় না নেওয়া। সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা।

৫. প্রত্যেক মুসলমানের সম্মান করা। তাদের মানহানী না করা। তাদের দোষ-ত্রুটি যেখানে সেখানে বর্ণনা না করা।

৬. অপর মুসলমানের সাথে সাক্ষাৎ করা।

৭. অপর মুসলমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। কোনো মুসলমানের ক্রয়-বিক্রয়ের সময় তার পছন্দের মাল আগ বাড়িয়ে ক্রয় না করা। তার দরদামের উপর দরদাম না করা।

৮. দুর্বল, অসহায় মুসলমানদের উপর দয়া না করা।

তাওহীদের ভিত্তির ব্যাপারে আল ওয়ালা ওয়ান বারা

কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর আনুগত্য, আদেশ-নিষেধ বাদ দিয়ে ভৌগলিক সীমানাকে শত্রুতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তি বানিয়ে নেয়, তাহলে এটা ভ্রষ্টতা।

কোনো পীরের অনুসরণ করে এর বাহিরে থাকা মুসলমানদের ব্যাপারে যদি শত্রুতা পোষণ করে তাহলে এটা অজ্ঞতা।

নির্দিষ্ট মাজহাব, নির্দিষ্ট আকীদা, নির্দিষ্ট মতবাদের উপর যদি শত্রুতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তি বানিয়ে নেয়, তাহলে এটাও গুনাহের কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আল ওয়ালা ওয়াল বারা (الولاء والبراء) তথা শত্রুতা ও বন্ধুত্ব হবে শুধুমাত্র তাওহীদের ভিত্তিতে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, নবীজির আদেশ-নিষেধের ভিত্তিতে।

মাজহাবগত ইখতিলাফ, রাজনৈতিক, সামাজিক, আকীদাকেন্দ্রিক ইখতিলাফের ভিত্তিকে মূল ধরে কখনোই শত্রুতা পোষণ করা উচিৎ নয়।

যে আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূরে সরে গিয়ে কাফেরদের অনুকরণ করে কিংবা কাফেরদের অনুসারীদের প্রশংসা করে, তার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিৎ।

আরো পড়ুন

তাওহীদ আল আমালী – শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এর বক্তব্য

বন্ধুত্ব রাখা ও শত্রুতা পোষণ করার নীতিমালা – ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান

আল ওয়ালা ওয়ান বারা এর ভিত্তি কি – আলী হাসান উসামা হাফিঃ

তথ্যসুত্র

[1] সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪০৩১ । এছাড়াও কাফেরদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্য, তাদের অভ্যাস, ইবাদত, পথ-পদ্ধতি ও আখলাক-চরিত্রের সাদৃশ্য গ্রহণ হারাম।

যেমন দাড়ি কামিয়ে ফেলা, মোচ লম্বা করা, বিনা প্রয়োজনে তাদের ভাষায় কথা বলা, পোশাক-পরিচ্ছদ, পানাহার এবং অন্যান্য বিষয়ে কাফেরদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হারাম।

[2] সূরা নিসা। আয়াত ৯৭-৯৯

[3] তবে চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে কাফেরদের দেশে ভ্রমণ করা বৈধ।

এমনি অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করা ব্যতীত মানুষের কল্যাণার্থে যেসব বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

ঐসব বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনার্থেও অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করা বৈধ।

এসব প্রয়োজনে অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করা জায়েয। প্রয়োজন শেষ হলেই মুসলিম দেশে ফিরে আসা আবশ্যক।

[4] সূরা আলে-ইমরান। আয়াত ১১৮-১২০ এবং সূরা মায়েদা: ৫১

[5] সূরা ফুরকান। আয়াত ২৫:৭২। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ বলেছেন যে, আল্লাহর বান্দাদের গুণাবলী হলো, তারা কাফেরদের ঈদ-উৎসবে উপস্থিত হয় না।

[6] সূরা ত্বহা। আয়াত ১৩১। উপরোক্ত কথার অর্থ এ নয় যে, মুসলিমগণ কাফেরদের থেকে বিভিন্ন পেশা শিক্ষা করা, বৈধভাবে অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করা এবং যুদ্ধনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তিশালী হওয়ার উপায়-উপকরণ সংগ্রহ করবে না; এ সব বিষয়ে তাদের থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।

[7] সূরা তাওবা। আয়াত ১১৩

Scroll to Top