কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত – পৃথিবী হঠাৎ একদিন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে যাবে। আকাশ, ভূমন্ডল, গ্যালাক্সি, সৌরজগত, অতিনবতারা, গ্রহানু সব ধুলিৎসাৎ হয়ে যাবে।

হযরত ইস্রাফিল আ. এর শিঙ্গা ফুৎকারের মাধ্যমে দুনিয়ার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। মহাবিস্ফোরণের আগে দুনিয়া যেমন ছিল, হয়তো আবার তেমন হয়ে যাবে।

এরপর ইস্রাফিল আ. দ্বিতীয়বার সিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবেন। মানুষ তখন যার যার কবর হতে উঠতে থাকবে। যেখানে তার লাশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে তার পুনরুত্থান ঘটবে।

কেয়ামত সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বলেছেন। আল্লাহ মানুষকে অনাবিল সুখের জান্নাতের সংবাদ দিয়েছেন। আবার দুঃখ-কষ্টভরা জাহান্নামের সু-সংবাদও দিয়েছেন।

সূরা আরাফের ১৮৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ السَّاعَۃِ اَیَّانَ مُرۡسٰهَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُهَا عِنۡدَ رَبِّیۡ ۚ لَا یُجَلِّیۡهَا لِوَقۡتِهَاۤ اِلَّا هُوَ ؕ ثَقُلَتۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ لَا تَاۡتِیۡکُمۡ اِلَّا بَغۡتَۃً ؕ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ کَاَنَّکَ حَفِیٌّ عَنۡهَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُهَا عِنۡدَ اللّٰهِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ

“তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করে, ‘তা কখন ঘটবে’? তুমি বল, ‘এর জ্ঞান তো রয়েছে আমার রবের নিকট।

তিনিই এর নির্ধারিত সময়ে তা প্রকাশ করবেন। আসমানসমূহ ও যমীনের উপর তা (কিয়ামত) কঠিন হবে। তা তোমাদের নিকট হঠাৎ এসে পড়বে।

তারা তোমাকে প্রশ্ন করছে যেন তুমি এ সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকট আছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।”

এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, কেয়ামতের ব্যাপারে বিস্তারিত কেউই জানে না। এর জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার নিকটই রয়েছে।

তিনিই ভালো জানেন, কবে কেয়ামত হবে। কবে পুনরুত্থান ঘটবে। কবে মানুষের হিসাব-নিকাশ ঘটবে। কবেই বা মানুষের আমলনামা দেয়া হবে।

সূরা মুমিনূনের ১৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تُبۡعَثُوۡنَ

“অতঃপর কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে।”

যারা মানুষকে পুনরায় উত্থিত করা হবে বলে বিশ্বাস করেন না, তাদের জন্য দলীল হিসেবে কুরআনের এই আয়াতই যথেষ্ঠ।

সেদিন মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে। তাদের কর্মের হিসাব নেয়া হবে। দুনিয়াতে তারা কি ভালো কাজ করেছে,

অথবা কি মন্দ কাজ করেছে, সব আল্লাহ তা’আলা তাদের সামনে তুলে ধরবেন। তারা তাদের কর্মের অস্বীকার করতে পারবে না।

অস্বীকার করলে আল্লাহ তাদের যবান বন্ধ করে দিবেন। তাদের হাত-পা তখন কথা বলবে। তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য দিবে তাদের বিরুদ্ধে।

আজকাল অনেকের কাজ কর্ম দেখলে মনে হয়, তাদের যেন মৃত্যু হবে না।

কত রাজা-বাদশাহ্, ক্ষমতাধর, স্বৈরাচারী শাসক পৃথিবীতে ছিল, তাদের আজ নাম-নিশানাও নেই।

আলেকজান্ডার থেকে নিয়ে সুলতান আব্দুল হামিদ পর্যন্ত অনেক রাজা-বাদশাহ পৃথিবীকে সদা প্রকম্পিত রেখেছে।

তাদেরকে আজ কে মনে রেখেছে?

সূরা আলে ইমরানের ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اِنَّمَا تُوَفَّوۡنَ اُجُوۡرَکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ فَمَنۡ زُحۡزِحَ عَنِ النَّارِ وَ اُدۡخِلَ الۡجَنَّۃَ فَقَدۡ فَازَ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ

“প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ‘অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে।

সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফলতা পাবে। আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী।”

আয়াতের শুরুতেই আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, মৃত্যু নিশ্চিত প্রতিটি প্রাণের। কেউ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারবে না।

মৃত্যুর পর শুরু হবে আরেক জীবন। যেই জীবনের শুরু হবে মৃত্যুর মাধ্যমে কিন্তু এই জীবনের কোনো শেষ থাকবে না।

ইস্রাফিল আ. শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার পর মানুষ তাদের কবর ও মৃত্যুবরণের স্থান হতে উঠতে থাকবে। তাদের দেহ নতুন করে সৃষ্টি করা হবে।

তাই মৃত্যুর পর যদি কেউ দেহকে ধ্বংস করে ফেলে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আল্লাহ তাকে নতুন দেহ দিয়ে কেয়ামতের দিন উত্থিত করবেন।

কেয়ামতের বিভীষিকাময় দিনে সফল হবে তারাই, যারা জান্নাতলাভ করবে।

যারা জাহান্নাম থেকে পরিত্রান পাবে। যাদের মিযানের পাল্লা ভারি হবে।

দুনিয়া তো মানুষের জন্য সামান্য সময়ের ধোঁকার সামগ্রী।

এই দুনিয়ায় আল্লাহ ক্ষমতার মাধ্যমে, সম্পদের মাধ্যমে, মর্যাদার মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন।

যদি আপনি এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তাহলে আপনার জন্য বরাদ্দ রয়েছে চির শাস্তির জাহান্নাম। -কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

সূরা কাহফের ১০৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّهِمۡ وَ لِقَآئِهٖ فَحَبِطَتۡ اَعۡمَالُهُمۡ فَلَا نُقِیۡمُ لَهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَزۡنًا

‘তারাই সেসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে।

ফলে তাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজনের ব্যবস্থা রাখব না’।

মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। এই কথাটা কেউ শুধু শুধু বলে না। আল্লাহ মানুষের জন্য এত সুন্দর করে পৃথিবীর বিভিন্ন নেয়ামত সৃষ্টি করেছেন।

কিন্তু মানুষ আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করে বলে, এসব তো প্রাকৃতিক নিয়মে হয়েছে। আজকাল কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে?

তখন সে বলে, মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে।

আমি বিজ্ঞানের অবদানকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু আপনার জবাব তো এমন হতে পারতো,

পৃথিবী আল্লাহ কুদরতিভাবে সৃষ্টি করেছেন। তবে মনে হয়, আল্লাহ মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।

তাহলে তো এই কথার দ্বারা আপনার আল্লাহর বড়ত্বও স্বীকার করা হলো। আবার বিজ্ঞানের থিউরিও বলা হলো। একটা বিষয় তো পুরোপুরি নিশ্চিত যে,

বিজ্ঞানের কোনো তথ্যই পরিপূর্ণ সত্য নয়। প্রতিটি তথ্যই পরিবর্তিত হতে পারে। খোদ মাধ্যাকর্ষণের তথ্যও অবস্থাভেদে পরিবর্তন হয়।

অনেকেই আংশকা করে থাকেন, একটা সময় হয়তো নিউটনের সুত্রগুলো, আইনিস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্যও অকার্যকর হিসেবে সাব্যস্ত হতে পারে।

আপনি যদি মন থেকে আল্লাহর নিদর্শন সমূহ স্বীকার না করেন, তাহলে আল্লাহ আপনার কোনো ভালো কাজ গ্রহন করবেন না।

আপনার প্রতিটি আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে। কেয়ামতের কঠিন মুহুর্তে আপনাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া হবে।

বলা হবে, তুমি তো আমার নিদর্শনকে স্বীকার করো নি, তোমার বাপ-দাদা মুসলিম ছিল বিধায় তুমিও মুসলিমের পোশাক পরিধান করেছ।

তোমাকে দুনিয়াতে মানুষ মুসলিম বলেছে। তুমি নামাজ পড়েছ, যেন লোকে তোমাকে নামাজী বলে।

তোমাকে তো তারা অনেক বড় নামাজী মনে করতো।

আজ আমার কাছে তোমার কোনো প্রতিদান নেই। দূর হয়ে যাও, তোমার জন্য জাহান্নাম অবধারিত। – কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

সূরা বাকারার ১৭৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡتُمُوۡنَ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ یَشۡتَرُوۡنَ بِهٖ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ۙ اُولٰٓئِکَ مَا یَاۡکُلُوۡنَ فِیۡ بُطُوۡنِهِمۡ اِلَّا النَّارَ وَ لَا یُکَلِّمُهُمُ اللّٰهُ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ لَا یُزَکِّیۡهِمۡ ۚۖ وَ لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

“কিতাব হতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, যারা এটা গোপন করে এবং এর বিনিময়ে স্বল্প মূল্য গ্রহণ করে,

এরা নিজেদের পেটে একমাত্র আগুন ভক্ষণ করে, ওদের সাথে আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন কথা বলবেন না এবং ওদেরকে পবিত্রও করবেন না।

তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”

প্রতিটি যামানায় আল্লাহ মানুষকে সংশোধনের জন্য নবীর ওয়ারিছ হিসেবে আলেমদের নিযুক্ত করে থাকেন। একজন আলেম মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে।

কিন্তু অনেক আলেম ক্ষমতা, লোভ-লালসা, খ্যাতি ও সম্পদের আশায় আল্লাহ যা বিধান হিসেবে নাযিল করেছেন,

তা মানুষের নিকট হতে গোপন করে এবং এর বিনিময়ে দুনিয়ার তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, কেয়ামতের দিন তাদের প্রতিদান হবে জাহান্নাম।

যখন কোনো ভূ-খন্ডের জন্য জিহাদ ফরজ হয়, আর কোনো আলেম যদি তাদেরকে জিহাদে যেতে নিরুৎসাহিত করে,

তাহলে ইসলামের ফরজ বিধান লঙ্ঘন করার কারণে সে পথভ্রষ্ট হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

আজকাল দেখা যায়, অনেক আলেম সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বেদআত এবং কু-সংষ্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না।

আমাদের শোক দিবস

শেখ মুজিব মুসলিম ছিলেন। একজন মুসলিম মারা গেলে তার জন্য সর্বোচ্চ তিনদিন শোক পালন করা যায়। কিন্তু তিনি মারা গেছেন প্রায় ৪৬ বছর হয়ে গেল।

অথচ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেশে শোক পালন করা হয়। যার কোনো ভিত্তি না কুরআনে আছে, না হাদীসে আছে।

যদি মুসলমানদের জন্য শোক পালন করা জায়েজ হতো, তাহলে তো আমাদের হযরত আবু বকর রা. এর মৃত্যুতে শোক পালন করা আবশ্যক ছিল।

কারণ, তিনি শাসনভার গ্রহণ না করলে মুরতাদরা ইসলামকে ধ্বংস করে ফেলতো।

যদি কারো শোক পালন করা আবশ্যক হতো তাহলে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিক রহ. এর জন্য শোক পালন করা দরকার ছিল।

কারণ, তার শাসনকালে মুসলিম বিশ্বের সীমানা ভারতবর্ষ থেকে স্পেন পর্যন্ত বিস্মৃত ছিল।

তিনি যদি আরো কয়েক বছর জীবিত থাকতেন তাহলে হয়তো আজ প্যারিস ও লন্ডনে মুসলিমদের জয়জয়কার থাকতো।

কারো যদি শোক পালন করতে হয়, তাহলে হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. এর মৃত্যুতে শোক পালন করা আবশ্যক ছিল। কারণ,

তিনি যেমন আমাদের ইলমের লাইনে পথপ্রদর্শক ছিলেন তেমনি রাজনৈতিক ক্ষেত্র ও ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক।

আমরা তো আজ কখনো খলিফা আবু বকর, খলিফা ওমর, খলিফা ওসমান খলিফা আলী, খলিফা হাসান, আমির মুয়াবিয়া,

আমিরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের, আমিরুল মুমিনীন ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল মালিক, আমিরুল মুমিনীন হিশাম বিন আব্দুল মালিক,

আমিরুল মুমিনীন ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ, আমিরুল মুমিনীন হারুনুর রশীদ, সুলতান মালিক শাহ, সুলতান আল্প আরসালান,

সুলতান ওসমান বিন আরতুগ্রুল, সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ, সুলতান আব্দুল হামিদ ও হযরত আবু হানিফা, হযরত শাফেয়ী, হযরত মালেক,

হযরত আহমাদ ইবনে হাম্বল, হযরত ইবনে তাইমিয়া, হযরত আশরাফ আলী থানবী,

হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর মৃত্যুতে শোক পালন করি না। এমনকি আমরা অনেকে হয়তো তাদের মৃত্যু তারিখও জানি না।

তাহলে এমন বেদআত ও পরিত্যাজ্য কাজকে যদি কোনো আলেম বৈধ বলে, তাহলে উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী তা ফায়সালা কি হবে, ভেবে নিন।

সুনানে তিরমিজী শরীফের ৩৩৩৩ নং হাদীসে উল্লেখ আছে,

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন,

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُ رَأْىُ عَيْنٍ فَلْيَقْرَأْ ‏(‏ إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ‏)‏ و ‏(‏إِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ ‏)‏ وَ ‏(‏إذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

কিয়ামতের দৃশ্যাবলী যে লোক চাক্ষুষভাবে প্রত্যক্ষ করতে উৎসাহী সে যেন “সূরা তাকবীর”, “সূরা ইনফিতার” ও “সূরা ইনশিকাক” এ তিনটি সূরা পাঠ করে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে কেয়ামতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে রক্ষা করুন। আর আমাদের হক্ব পথে থাকার তওফিক দান করুন।  – কেয়ামত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

আরো পড়ুন

মালেক বিন নুয়াইরা এর সাথে যুদ্ধ

সর্বপ্রথম কুরআন সংকলনের উদ্যোগ

আবু বকর রা. এর স্ত্রী-সন্তানগণ

তাবুক যুদ্ধ ও আবু বকর

মদ হারাম হওয়ার আয়াত

Abdur Rahman Al Hasan
Scroll to Top