কেন এত গুম হয় বাংলাদেশে

কেন এত গুম হয় বাংলাদেশে – গুম হওয়া বাংলাদেশে এখন একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। যে কেউ যে কোনো মুহুর্তে গুম হয়ে যেতে পারে।

নাগরিক ইস্যু যেমন সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি গুম করাটাও সরকারের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস খুবই পিচ্ছিল। এখানে কখনো কেউ ভালো থাকতে পারে না বা দেশকে ভালো রাখতে পারে না।

১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট যখন সেনা অফিসার বিদ্রোহ করে শেখ মজিবুর রহমানকে হত্যা করে।

শেখ মুজিবের শাসনামলে গুম হয়েছিল অনেক ব্যক্তি।

যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সাংবাদিক জহির রায়হান। বাংলাদেশের গুমের জনক বলা যায় শেখ মুজিবকে।

বাংলাদেশ জন্মের প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশে মানুষ গুম হয়।

যেমনভাবে একজন সাধারণ জনগণ গুম হতে পারে, তেমনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও গুম হতে পারে।

এখন কথা হলো, এই গুম কেন করা হয়? হিসাবটা খুবই সোজা। বাংলাদেশে যত রাজনৈতিক দল আছে, তারা সর্বদাই ক্ষমতায় এসে বিরোধী দলের উপর আগে প্রতিশোধ নেয়।

তারপর মন চাইলে দেশের কিছুটা উন্নতি করে। আর সর্বদাই সরকারদলীয় ব্যক্তিরা বিরোধী দলকে এমনভাবে উপস্থাপন করে, যেন তারা চোর-বাটপার ছিল।

আর এই বিরোধী দলে যদি কোনো নেতাকর্মী থাকে, যে উক্ত সরকারদলীয় দলের জন্য হুমকিস্বরুপ। তাহলে তৎক্ষণাত তাকে তারা গুম করে ফেলবে।

গুম করার পর কি করবে তার উক্ত সরকারই ভালো জানেন। বেশি জনমত নড়েচড়ে উঠলে একসময় তাকে হুমকি দিয়ে একসময় তাকে ছেড়ে দিবে।

অন্যথায় তাকে তারা গুম অবস্থায়ই মেরে ফেলবে। এটাই বাংলাদেশের চিরায়িত নিয়ম।

আর যদি উক্ত গুম হওয়া ব্যক্তি কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয় তাহলে ‍তার গুম হওয়ার কারণ ভিন্ন। তাকে জঙ্গী, উগ্রবাদী, জিহাদী বলে গুম করবে।

2

যদি কোনো ইসলামিক ব্যাক্তি এতটা জনপ্রিয় নয়, তবে তার কথা গনতন্ত্র এবং জায়োনিজমের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ তাহলে তাকে গুম করে ফেলবে।

এখন অনেকেই বলবে,  বাংলাদেশে জায়োনিজম আসলো কোথা থেকে? বাংলাদেশ জন্মের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলাম ইসরাইলের নিকট বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে আবেদন করেছিল।

এই দেশের এলিট শ্রেণীর সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক বহু পুরোনো।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশীদের উপর নজরদারি করার জন্য পেগাসাস নামক স্পাইওয়্যার ক্রয় করেছে ইসরাইলের নিকট হতে।

একটা কথা মনে রাখবেন। ইসরাইল ইহুদীরা শুধু ফিলিস্তিনই দখল করে নি। তারা এই বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের প্রতিটি মাথাকে দখল করে রেখেছে।

আপনি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবেন অমনি আপনার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে যাবে।

তাই বলে কি আপনি তাদের শয়তানী মতবাদ থেকে জনগণকে বাধা দিবেন না? অবশ্যই দিবেন।

এটা আপনার ঈমানী দায়িত্ব। তবে যতুটুকু সেফটিতে থাকা যায়। আর নিজ পরিবারকে সর্বদা এই কথা শিক্ষা দিবেন, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী আর আখেরাত চিরস্থায়ী।

তাহলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আপনি কখনো গুম হলে তারা এতটা ভেঙ্গে পড়বে না। আপনার জন্য তারা জায়নামাজে বসে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে।

আর ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ায় এটাই যথেষ্ঠ। এর পাশাপাশি তারা তার খোঁজ তৎপরতাও চালাবে। কারণ একটা কথা মাথায় রাখবেন।

সরকার যাকে টার্গেট করে, তাকে সে যেভাবেই হোক ফাঁসিয়ে দিবে। এটাই তাদের চিয়ায়িত নিয়ম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top