ইহুদি-বিদ্বেষ বলতে ইহুদি জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈরিতাকে বোঝানো হয়ে থাকে। এ ধরনের বিদ্বেষের মধ্যে ব্যক্তিগত ঘৃণা থেকে শুরু করে এমনকি জাতিগত ঘৃণাও পড়ে। ইংরেজিতে এটাকে বলে, এন্টি-সেমিটিজম Anti-Semitism । যার অর্থ হলো, সেমিটিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ।
এন্টি-সেমিটিজম ইহুদি-বিদ্বেষ কি?
ইহুদিদের আরেক নাম হলো সেমিটিক। আর ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক ধারণা পোষণ করাকে অ্যান্টি সেমিটিজম বা এন্টি-সেমেটিক বলা হয়।
আর যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে এই ধারণা পোষণ করে, তাকে বলা হয় অ্যান্টি সেমাইট।
পড়ুন: এন্টি সেমেটিক নিয়ে বিস্তারিত অজানা তথ্য
আমাদের এশিয়াতে বা সূদুর আফ্রিকাতে এটা এতটা প্রচলিত না হলেও ইউরোপ ও আমেরিকাতে এটা রীতিমতো হইচই এর ব্যাপার।
প্রশাসনিক দপ্তর থেকে নিম্নস্থরের ব্যক্তি পর্যন্ত এই সম্পর্কে অবগত। ইহুদীরা এমনভাবে একটা কমান্ড পরিচালনা করছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর।
যখন সেই ব্যক্তিই ক্ষমতায় আসুক আর যেই দল থেকেই আসুক, ইহুদিদের বিরুদ্ধে কেউই কোনো কথা বলবে না।
ইহুদিদের মূল লক্ষ্য হলো জেরুসালেম। ইহুদিরা জানে, হাজার বছরের পুরোনো এই ভূমি ইসরাইল রাষ্ট্রের পূর্ণ ভিত্তি স্থাপন এত সহজ নয়।
আজ যদি কোনো দেশ ইহুদিদের বিরুদ্ধে আইন পাশ করে, ইহুদিদের বিরুদ্ধে একজোট হয়, আগামীকাল থেকে দেখবেন, পত্রিকা, চ্যানেলে শুরু হবে ইহুদের মায়াকান্না।
ইহুদিদের ফিলিস্তিন দখল
১৯৪৮ সাল থেকে ইহুদিরা ফিলিস্তিন ভূমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে তারা এই লক্ষ্যে তখন থেকেই অগ্রসর।
ইহুদিরা ফিলিস্তিন ভূমিতে সর্বদা মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। বর্তমানে এই নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে এই জায়োনিস্টরা।
জায়োনিস্ট কাকে বলে?
উনবিংশ শতাব্দিতে ইহুদিদের মাঝে এই জায়োনিজম চিন্তাধারার বিস্তার ঘটে।
কেতাবি ভাষায় জায়োনিস্ট বলা হয় তাদেরকে, যারা মনে করে ইহুদিদের ফিলিস্তিনে বসবাস করা আবশ্যক এবং ফিলিস্তিন ইহুদি রাষ্ট্র হবে।
এই জায়োনিজম চিন্তাধারা শুধুমাত্র ইহুদিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ইহুদি লেখকদের লেখার মাধ্যমে এই চিন্তাধারা অন্যান্য ধর্মের ব্যক্তিদেরকেও গ্রাস করে।
তাই বলা হয়ে থাকে, জায়োনিস্ট হতে হলে তাকে ইহুদি হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আর সে নাস্তিক হলেও সমস্যা নেই।
পড়ুন: ফিলিস্তিন ছাড়া কোন দেশগুলো ইহুদিরা দখল করতো?
জায়নিস্টরা বিশ্বাস করে যে, ফরাসি কিংবা জার্মান ও অন্যান্য জাতির যেমন যথাক্রমে ফ্রান্স ও জার্মানির মতো নিজস্ব রাষ্ট্রের প্রয়োজন।
তেমনি ইহুদিদেরও তাদের পূর্বপুরুষদের জন্মভূমিতে তাদের নিজস্ব দেশ গঠনের অধিকার রয়েছে। জায়নিস্টদের দাবি ছিল,
ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদীর পূর্ব তীর পর্যন্ত জায়গাটি ইহুদিদের ঐতিহাসিক বাসভূমি এবং এখানে ইহুদিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার দিতে হবে।