জায়োনিস্ট ইসরাইলের লাগাতার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৯,৪৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৩,৬০০ এর বেশি।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা রিপোর্ট করছে যে গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে 51 ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
শুক্রবার গাজা অঞ্চলের তিনটি হাসপাতালে ইসরাইল বিমান হামলা করে। আশ শিফা হাসপাতালের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সের উপর বোমা নিক্ষেপ করে জায়োনিস্টরা।
এতে প্রায় ১৫ জন শহীদ হয়েছে এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও ইসরাইল গাজা অঞ্চলের একটি স্কুলে হামলা করে। এতে ২০ জন লোক শহীদ হয়।
ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশেপাশে আবারও আঘাত হেনেছে। সেইসাথে নুসিরাত এবং বুরেইজ ক্যাম্পের আবাসিক বাড়িগুলিও।
গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৩৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে।
বন্দি আছে কয়েকশত। আহত হাজারের কাছাকাছি।
পড়ুন: গাজায় বর্তমান করুণ অবস্থা ও হিজবুল্লাহর আপডেট
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম গাজা শহরের আল-নাসের শিশু হাসপাতালের প্রবেশদ্বার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে রাতারাতি দখলদারিত্ব ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৪১ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে জায়োনিস্টরা।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে UNRWA পরিচালিত স্কুলে হামলা করে দখলদার ইসরাইল। পূর্বেও এখানে আরো তিনবার হামলা করেছিল।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে এটি তৃতীয় বড় হামলা, তবে গাজা জুড়ে অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা কখনও থামেনি।
প্রায় ৪০,০০০ মানুষ আল-শিফা হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছে, কিন্তু হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ এবং গির্জাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
লোকেরা যে কোনও সময় ইসরায়েলি হামলার জন্য অপেক্ষা করছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়া আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে ও ৫২ জন আহত হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, গাজায় চলমান বোমাবর্ষণে নিহত হাজার হাজার শিশু ছাড়াও ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অন্তত ৪১ শিশু নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুবই উদ্বিগ্নজনক। এই হামলা কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলা মুশকিল।