আমেরিকা আবিষ্কার ও ইহুদীদের ভিশন

আমেরিকা আবিষ্কার ও ইহুদীদের ভিশন – আমেরিকা কে আবিষ্কার করেন? প্রশ্ন করলেই কলম্বাসের নাম সবার আগে বলা হয়। কেন বলা হয়, প্রথম আমেরিকায় পা রাখার কারণে?

না। বরং ইহুদীদেরকে আমেরিকা ভূখন্ডে নিয়ে যাওয়ার কারণে। ইহুদীরাই কলম্বাসের খ্যাতি বাড়িয়ে দেয়। তাকে প্রথম আবিষ্কারক হিসেবে ফলাও করে প্রচার করতে থাকে।

তাহলে প্রথম আবিষ্কারক কারা? এখানেই আসে ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। কোন সেই ব্যক্তি, যে কিনা কলম্বাসের আগেও আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল?

মুসলমানদের আমেরিকা আবিষ্কার

হঠাৎ একজন মুসলিম নৌবিজ্ঞানীর লিখিত বই স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। খা-রিদাতুল আজায়িব নামক আরবী গ্রন্থটি ল্যাটিন অনুবাদও বের হয়।

গ্রন্থটির লেখক হলেন ইবনুল ওয়ার্দি রহ. (মৃত্যু-১৩৯৪ খ্রি.)। স্পেনিশ নৌবাহিনীতে ইবনুল ওয়ার্দির প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

ইউরোপের মানুষ তখন আটলান্টিকের যে অঞ্চলকে মনে করতো জ্বীন-ভূতের এলাকা, মনে করতো সেখানে আছে আগুন আর আগুন, কেউ বা সেটাকে নরক হিসেবে বিশ্বাস করতো।

নৌবিজ্ঞানী ইবনুল ওয়ার্দি রহ. উক্ত গ্রন্থে সমুদ্রের সেই দুর্গম অঞ্চলকে উন্মোচন করলেন। তিনি উক্ত বিষয়ের আলোচনার শিরোনাম দেন, অন্ধকার সমুদ্র তথা পশ্চিম আটলান্টিক সম্পর্কিত অধ্যায়।

হিজরীর প্রথম শতকেই মুসলমানরা ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন দুর্গম স্থানে গমন করেছেন। সমুদ্র পাড়ি দিয়েছেন। মরুভূমি অতিক্রম করেছেন।

বিখ্যাত ওয়ার্ল্ড বুলেটিন পত্রিকায় ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারী সংখ্যায় Muslim scholar discovered America 500 years before Columbus শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেখানে বলা হয়, আমেরিকার আবিষ্কারক কলম্বাস নন। একজন মুসলিম মনিষী আমেরিকা আবিষ্কার করেন। মার্কিন ইতিহাসবিদ এস ফ্রেডরিক স্টার তার হিস্ট্রি টু ডে নামক নিবন্ধে দাবী করেছেন,

সারা দুনিয়ার মানুষ এতদিন স্প্যানিশ নাবিক কলম্বাসকেই আমেরিকার আবিষ্কারক হিসেবে জেনে এসেছেন। তবে আমেরিকার মূল আবিষ্কারক হলেন মধ্যযুগের মুসলিম ভূগোলবিদ আবু রায়হান আল বেরুনি।

তবে আবু রায়হান বেরুনি স্বশরীরে আমেরিকা গিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট করেন নি লেখক। তবে তিনি ভৌগলিকভাবে নির্ভূল আমেরিকার বর্ণনা দেন।

আবু রায়হান আল বেরুনি গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল, মানচিত্রাঙ্কন বিদ্যা, জ্যামিতি ও ত্রিকোণিমিতিতে দক্ষ ছিলেন। তবে বেরুনি সেসময় স্বশরীরে আমেরিকায় না গেলেও পরবর্তীতে সেখানে অনেকেই গিয়েছেন।

আমেরিকা অভিমুখে প্রথম অভিযাত্রা হয় মুসলিম আন্দালুসের (মুসলিম শাসনামলের স্পেন) থেকে। সেসময় খাশখাশ ইবনে সাঈদ (৮৭১-৯৫৭ খ্রি.) যাত্রা করেন স্পেনের ডেলভা বন্দর থেকে।

খাশখাশ রহ. এর আমেরিকা অভিযান

স্পেনের ডেলভা বন্দর থেকে ৫০০ বছর পর কলম্বাসও আমেরিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সমুদ্রের অজানা স্থান পাড়ি দিয়ে বিপুল সম্পদ নিয়ে আন্দালুস তথা স্পেনে ফিরে আসেন খাশখাশ।

লোকেরা তো ধরে নিয়েছিল, তিনি মারা গেছেন বা হারিয়ে গিয়েছেন। সে সময় খাশখাশের সফর কাহিনী উল্লেখ করেন আবুল হাসান আলি আল মসউদী নামক একজন পর্যটক।

গ্রন্থটির নাম ছিল, মুরুজযুযাহাব ওয়া মায়াদিনুল জাওহার (the meadows of gold and queries of lewels) । এই গ্রন্থটি লিখিত হয় ৯৪০ সালে।

খাশখাশ তখন জীবিত। তার কীর্তি অবলোকনকারী মানুষ তখন অনেক। স্পেনসহ মুসলিমবিশ্বে বইটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

মাসউদী এই অভিযানের উল্লেখ করন আটলান্টিক সক্রান্ত আলোচনায়। তিনি সেখানে মহাসাগরের স্বচ্ছ বর্ণনা দিয়েছেন।

অন্ধকার সমুদ্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। কলম্বাসের ডায়েরিতেও আমরা এর উল্লেখ পাই। মাসউদী বইটিতে একটি মানচিত্র অঙ্কন করেন।

তা আফ্রিকার উল্টেদিকে (বর্তমানে যেখানটায় আমেরিকা)। এরপর সেখানে লিখেন, অজানা অঞ্চল এটি। খাশখাশের সাফল্যের পর আমেরিকা অভিমুখে আরো কিছু নাবিক রওয়ানা হন।

৯৯৯ সালে আটলান্টিক পাড়ি দেন ইবনে ফররুখ নামে আরেকজন নাবিক। তিনি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এলাকায় অবতরণ করেন।

ইবনে ফররুখ আমেরিকার উপকূলে জ্যামাইকাতেও যান। সে বছরই আবার আন্দালুসে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আরো অনেক আফ্রিকান মুসলমান আমেরিকাতে গিয়েছে।

তেরোশত শতকের এমন অনেক ঘটনা পাওয়া যায়। সেখানে আমেরিকা যাওয়া এবং সেখানে বার্বারদের (মরক্কোর একটি মুসলিম জাতি) উপস্থিতি পাওয়া যায়।

ঝেংহি এর আমেরিকা অভিযান

এমনকি কলম্বাসের ৭১ বছর আগে একজন চাইনিজ মুসলিমও আমেরিকায় ভ্রমণ করেন। যার নাম ঝেংহি (znchg He).

ঝেংহি চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে দক্ষ নাবিক সংগ্রহ করেন। এরপর নৌ-অভিযান শুরু করে সফলভাবে আমেরিকায় পৌঁছতে সক্ষম হন।

১৪১৮ সালে ঝেংহি একটি বিশ্ব মানচিত্র অঙ্কন করেন। এতে ছিল আমেরিকার অনেকগুলো অঞ্চল এবং সাথে ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের বিবরণ।

এই মানচিত্রটি পরবর্তীতে সাবেক ব্রিটিশ সাবমেরিন কমান্ডার গিবন মেনজিস লিখিত 1421: the year china discoverd america গ্রন্থটি হাতে পাওয়ার পর।

প্রথাগত ইতিহাসকে এটি বড় একটি ঢাক্কা দেয়। ২০০৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস ঝেংহির সমুদ্র অভিযান ও মানচিত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

(উপরোক্ত লেখাগুলোর সাথে যুক্ত করে দেয়া লিংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো ভিজিট করে আরো তথ্য আরোহণের অনুরোধ রইলো)

কলম্বাসের আমেরিকা ভ্রমণ – আমেরিকা আবিষ্কার ও ইহুদীদের ভিশন

ইতিহাস আমাদের গিলিয়েছে, আমেরিকা আবিষ্কার করে ক্রিস্টোফার কলোম্বাস। তবে এটা শেখায় নি, কাদের সহায়তায় এই দেশের সন্ধান পান।

ইহুদীদের একটি অংশ সর্বদাই প্রযুক্তিগতদিক ও তথ্যজ্ঞানের দিক থেকে এগিয়ে ছিল। তারা ম্যাপ, কম্পাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান ইত্যাদি বহু আগেই আবিষ্কার করে।

এ জন্য সমুদ্র অভিযানে তারা ছিল খুবই দক্ষ জাতি। প্রতিটি দেশের নৌবাহিনীতে ইহুদীদের আলাদা কদর ছিল সামগ্রিকভাবেই।

১৪৯২ সালের ২ আগষ্ট ইহুদীদেরে ৩ লাখ অধিবাসীকে স্পেন থেকে নির্বাসিত করে ইসাবেলা প্রশাসন।

ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ ৩ আগষ্ট কলম্বাস একদল নাবিককে নিয়ে পশ্চিম সমুদ্রে বেড়িয়ে পড়ে।

কলম্বাস বারবার স্বীকার করেছেন যে, ইহুদীদের সাথে তার সখ্যতা ছিল। তার অভিযানের পরিকল্পনা প্রথমে তাদেরকে জানাতেন।

স্পেনের রাণী ইসাবেলার ঘনিষ্ঠ তিনজন ইহুদী উপদেষ্টা ছিল। ওই সময়টাতে স্পেনের অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল। বানিজ্যে লাভ কম হচ্ছিল বিধায় কোষাগার খালি হতে থাকে।

আশেপাশের দেশ থেকে ধার দেনা করে দেশ চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! ইহুদীরা তখন সুক্ষ্মভাবে এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিল যে, নতুন ভূমি আবিষ্কার করতে পারলে হুড়হুড় করে সম্পদ আসবে।

মানুষ এটা বিশ্বাস করা শুরু করলো। একটা সময় রাণী ইসাবেলাও এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য হলেন। সে সময় কলম্বাস কয়েকবার রাণীর নিকট ফান্ড চেয়েছিল অভিযানের জন্য।

রাণী ভাবলেন, যদি নতুন ভূমি পাওয়া যায় তাহলে আর মন্দ কি! তাই তিনি নিজের স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেন।

সেসময় লুইস ডি সেনটাগাল (ইসাবেলার ইহুদী উপদেষ্টা ও ভ্যালেন্সিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী) অভিযানের আগেই অর্থের আবেদন করেন।

রাণী তখন ১৭ হাজার ইউরোপীয় স্বর্ণমুদ্রা দেন তাকে। বর্তমানে প্রায় ২ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার ১৭২ টাকা প্রায়।

এটি ছিল অভিযানের সম্পূর্ণ খরচের চেয়েও অনেক বেশি। অভিযানে কলম্বাসের সঙ্গী হিসেবে আরো ৫ জন ইহুদী ছিল।

তারা হলো, লুইস ডি টোরেস, মারকো, বার্নাল, অ্যালান্জো ডি লাকাল ও গিবরিল সানচিজ।

অভিযানের সময় লুইস ডি টোরেস কিউবাতে নেমে তামাক চাষ শুরু করেন। আর রাতারাতি তামাক শিল্পের সম্রাট বনে যান।

কলম্বাসের অভিযান পরবর্তী সময় – আমেরিকা আবিষ্কার ও ইহুদীদের ভিশন

আমেরিকা অভিযানের ফলে রাণী ইসাবেলা যেই সম্পদের স্বপ্ন দেখেছিল, দেখা গেল তার কিছুই হয় নি। উলটো অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছিল।

শেষমেষ বিভিন্ন ভেজালে পড়ে কলম্বাসের স্থান হয় জেলখানায়। এবার ইহুদীরা একচেঁটিয়াভাবে আমেরিকা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে।

মূলত তাদের ধোঁকাবাজির কারণে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার কোথাও তারা থাকতে পারছিল না।

কিছুদিন পর পর তাদেরকে বের করে দেয়া হচ্ছিল।

তাই তারা এমন একটা ভূমির সন্ধান করছিল, যেখান থেকে তাদের আর বের হতে হবে না।

জেরুজালেম উদ্ধার না হওয়ার পর্যন্ত সেটাই হবে তাদের আবাসভূমি।

সে সময় তারা দক্ষিণ আমেরিকায় যাত্রা করে। এরপর তারা নিউইয়র্কে যাত্রা করে। কিন্তু সেখানকার গভর্নর ইহুদীদেরকে নিউইয়র্কে থাকার অনুমতি দেয়।

ইহুদীরা এটা আগেই অনুমান করেছিল। তাই তারা সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছিল আগেই। শেষে কিছু শর্তের বিনিময়ে তারা নিউইয়র্কে থাকার অনুমতি পায়।

যথা: ডাচ কোম্পানীতে ইহুদীদের সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। সরকারি চাকুরিতে তারা অংশ নিতে পারবে না।

পাইকারি শিল্পসহ সকল ধরনের বাণিজ্যিক কাজ থেকে বিরত থাকবে।

পড়ুন: ইহুদী নেটওয়ার্ক ও অতীতকালে তারা

ইহুদীরা তখন বুঝতে পারলো, তাদেরকে কোনাঠাসা করা হচ্ছে। তাই তারা নতুন ব্যবসায়িক পদ্ধতি অবলম্বন করতো।

তারা পুরাতন কাপড় সংগ্রহ করে বিক্রি করা শুরু করলো। মুহুর্তের মধ্যেই পুরাতন কাপড়ের বাণিজ্যে হইচই শুরু হয়ে গেল।

সকলেই তো অবাক। পুরাতন কাপড়ও বিক্রি হয়! ইহুদীরাই প্রথম ফেলে দেয়া নষ্ট পণ্যের বানিজ্য শুরু করে।

ইহুদীদের আধিপত্য বিস্তার – আমেরিকা আবিষ্কার ও ইহুদীদের ভিশন

একটা সময় ইহুদীদেরকে নিউইয়র্ক বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। তারা তো এটা পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেছে।

দলবেধে ইহুদীরা এখানে আসতে থাকে। আস্তে আস্তে নিউইয়র্ক ঘনবসতিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়।

অন্য ব্যবসায়ীদেরকে এই বন্দর ব্যবহারের জন্য ইহুদীদেরকে কর দিতে হতো।

তারা গর্ব করে বলতো, এটা হলো নিউ জেরুজালেম।

ইহুদীরা একটা সময় আরো সম্পদের লোভে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মালামাল উদ্ধারের ধারণা দেয়। এটাকে তারা গুপ্তধন বলতো।

ইহুদীদের মনে কখনোই দেশপ্রেম ছিল না। তাদের নিকট মুনাফাই ছিল প্রধান ছিল।

আমাকে যতক্ষণ মুনাফা দিবা ততক্ষণ তুমি আমার নিকট সম্মানিত। মুনাফা দিবা না তো তোমার খবর আছে, এমন নীতিতে তারা বিশ্বাসী।

অনেকেই আমেরিকাকে খ্রিষ্টান দেশ বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। কিন্তু তারা শুধু বাহ্যিকটাই দেখে। অভ্যন্তরে দেখে না।

আমেরিকায় বড় বড় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই মালিক ইহুদী। অথবা দেখা যাবে, ইহুদীদের শেয়ার অনেক বেশি। তারা দুনিয়ার তাবৎ ব্যবসায় সফল হয়েছে।

শুধুমাত্র একটা জায়গায় তারা সফলতা পায় নি। সেটা হলো কৃষি শিল্প। ইহুদীরা কখনোই কায়িম শ্রমের কাজ করতে পারে না।

তারা পরজীবী হয়ে থাকে। অন্যের সম্পদ ভোগ করেই তারা বাঁচে।

সারা বছর তারা জ্যান্টাইলদের বা প্যাগানদের ফলানো ফসল নিয়ে বাণিজ্য করবে। কিন্তু নিজে কখনোই ক্ষেতে নামবে না।

কেউ কেউ বলে থাকে, তাদের জন্মই হয়েছে বাণিজ্যের জন্য। এ জন্যই তো ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের ব্যাকুলতা।

কারণ, ফিলিস্তিন হলো ইউরোপ ও এশিয়া ও আফ্রিকার বাণিজ্যিক দরজা।

যে এই ভূমি নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই হবে তিন মহাদেশের সম্পদের মালিক। তাহলে কেন এত বড় সুযোগ ছেড়ে দিবে পাপিষ্ঠ ইহুদীরা?

তথ্যসুত্র

আমেরিকা মুসলমানদের আবিষ্কার, মুসা আল হাফিজ, কালান্তর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৪১-৯৮

সিক্রেট অব জায়োনিজম, হেনরি ফোর্ড, গার্ডিয়ান, পৃষ্ঠা ২৩-২৮

Scroll to Top