হৃদয়ে ফিলিস্তিনের ব্যাথা কিভাবে উপশম হবে?

হৃদয়ে ফিলিস্তিনের ব্যাথা কিভাবে উপশম হবে, তা কি আপনার জানা আছে? কিভাবে তাদের অসহায় অবস্থা ভুলতে পারি? কোনো পদ্ধতি কি আছে?

আপনি কি কখনো পিতার কাধে সন্তানের লাশ নিজ চোখে দেখেছেন? হয়তো দেখেন নি তেমন একটা। আর দেখলেও খুব কম।

কিন্তু আপনার আমার মুসলিম ভাই ফিলিস্তিনিরা এই দৃশ্য প্রতিঘন্টায় দেখছে। প্রতিদিন দেখছে। ছোট ছোট সন্তানদের নিথর দেহ পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে।

কিংবা ধ্বংসস্তুপে অথবা রাস্তার কোণে। নবজাতক শিশুটি তার জন্ম সনদ পাওয়ার আগেই কবরের বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে।

অসহায় পিতার কাঁধে একই সাথে সন্তান ও সন্তানের মায়ের লাশ। তিনি নিজের শোক সামলে উঠতে না উঠতেই হয়তো খবর পান, তার আরেক আত্মীয় মারা গেছে বা আহত হয়েছে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

মজলুমদের আর্তনাদ বন্দি হয়ে আছে গাজার চারপাশে। তাদের বের হওয়ার রাস্তা নেই। আবদ্ধ চারিদিক। খাবার নেই, পানি নেই, জ্বালানী নেই ও বিদ্যুৎও নেই।

হাসপাতালগুলো রুগিকে জায়গা দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেবা দিতে পারছে না ঠিকমতো। ডাক্তারদের অসহায় চাহনি বলে দেয়, তারা অপারগ।

গাজার একটি হাসপাতালের ডাক্তার বলেছিলেন, এখানে যতটা না মানুষ বোমা হামলায় মারা যায়, তার থেকে বেশি মারা যায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে।

গতকালকের (২১ নভেম্বর ২০২৩) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহীদের সংখ্যা ১৪,১২৮ জন।

যার মধ্যে ৫,৮৪০ এর বেশি শিশু এবং ৩,৯২০ জন নারী।

এছাড়াও ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৮০০ এরও বেশি।

যার মধ্যে ৪,৫০০ জনের বেশি শিশু এবং মহিলা রয়েছে।

আহত কত জন সেটা আর নাই বা বললাম। আহত এত বেশি হচ্ছে যে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই পরিসংখ্যান করতে হিমশিম খাচ্ছে।

জায়োনিস্টরা স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, হাসপাতাল, চলন্ত অ্যাম্বুলেন্স, বাস্তুহারা মানুষদের উপর আক্রমণ করছে। এই আক্রমণ কবে বন্ধ হবে, জানা নেই।

তবে এটা যুদ্ধ বিরতির যুক্তি হবে অচিরেই। এটি মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়েছে। এর দ্বারা ৪ দিনের যুক্ত বিরতি হবে বলে বলা হয়েছে।

2 – হৃদয়ে ফিলিস্তিনের ব্যাথা কিভাবে মুছে যাবে?

তবে শঙ্কার বিষয় হলো, এই সংবাদ আসার পর ইসরাইলিরা আরো বেশি করে আক্রমণ শুরু করেছে। ভাবখানা এমন যে,

চুক্তি হওয়ার আগে যতটা মানুষকে মেরে ফেলা যায় আর যতজনকে বন্দি করা যায়। তারা আহত মানুষদেরকেও বন্দি করে নিয়ে যাচ্ছে।

ইসরাইলিরা সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত কতজনকে বন্দী করেছে, তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। প্রতিদিনই তারা মানুষকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।

তুফানুল আকসা নামক এই যুদ্ধ আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কারা মুসলমানদের শত্রু আর কারা মুসলমানদের বন্ধু!

কারা মুসলমানদের বিপদে সাহায্য করে আর কারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।

মুনাফিকের ন্যায় আচরণ করে। এদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে ইনশাল্লাহ।

আজকে আল জাজিরাকে গাজার সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০০ জনের বেশি শহীদ হয়েছে গাজা উপত্যকায়।

দখলদাররা ৩ দিন ধরে ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতাল ঘেরাও করে রেখেছে। উত্তর গাজা উপত্যকায় ৮০,০০,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি কঠোর পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।

পড়ুন নতুন কিছু

বেলফোর ঘোষণা কিভাবে হয়?

নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিন একদিন মুক্ত হবে!

প্রথম ইন্তিফাদা সংগ্রামের ইতিহাস

লেটার অব আমেরিকা কি?

Scroll to Top