হামাসের নিকট হতে বন্দীদের মুক্তি; এক অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত

হামাসের নিকট হতে বন্দীদের মুক্তি – গাজ্জা উপত্যকায় মিসর আর কাতারের মধ্যস্থতায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে বন্দী বিনিময় করা হয় অনেক। বর্তমানে আরো ২ দিন বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিরতি।

এই চুক্তিতে ছিল, হামাস ৫০ জন ইসরাইলি বন্দীকে ছেড়ে দিবে। বিনিময়ে ইসরাইল ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করে দিবে।

পরবর্তীতে হামাস চুক্তির বাহিরেও বেশ কিছু বিদেশী নাগরিককেও মুক্তি দিয়ে দেয়। পাশাপাশি এই যুদ্ধ বিরতিতে গাজ্জায় ত্রানের ট্রাকগুলো প্রবেশ করে।

প্রায় ৪৮দিন চলমান এই তুফানুল আকসা যুদ্ধে ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হন। আহত রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি।

বিপরীতে ইসরাইলের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের মারা গেছে ৩৭৪ জনের বেশি।

সর্বোচ্চ হতে পারে ১৫০০। এই যুদ্ধে হামাসের বড় বড় ৪ জন কমান্ডার শহীদ হন।

এছাড়াও ইসরাইলি বোমা হামলার ফলে গাজ্জার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়ংকর দৃশ্য আছে গাজ্জাতে।

তারপরও হামাস তাদের ইহুদি বন্দীদের সম্মান করেছে। তাদেরকে আদর-যত্ন করে রেখেছে। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও তাদের রক্ষা করেছে।

কিন্তু বিপরীতে ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দীদের সাথে কেমন আচরণ করেছে, তা তো সরেজমিনে সকলেই দেখেছে। কারা আল্লাহর প্রকৃত বান্দা, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

গতকাল মুক্তিপ্রাপ্ত একজন ইহুদি মা তার মেয়ের ব্যাপারে লিখেছেন,

আমার মেয়ে বন্দী থাকা অবস্থায় নিজেকে গাজ্জার রাণী মনে করতো। সে হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ইসলাম বন্দীদের সাথে কখনোই নির্মম আচরণ করতে শেখায় না। পশ্চিমাদের দাসেরা, নির্লজ্জ জায়োনিস্টরা কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের ভূমির উপর দখলদারিত্ব কায়েম করে আছে।

তারা এই ভূমিতে নিজেদের বলে দাবী করে আসছে। এক ইহুদি সাংবাদিক একবার ইসরাইলের প্রথম প্রেসিডেন্ট ড. ওয়াইজম্যানকে বলেছিল,

ফিলিস্তিন কিভাবে ইহুদিদের ভূমি হয়? উত্তরে ওয়াইজম্যান বলেছিল, কারণ, পূর্বে এই ভূমি ইহুদিদের ছিল। ইহুদিরা এখানে ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে।

তখন উক্ত ইহুদি সাংবাদিক বললো, তাহলে তো স্পেনও মুসলমানদের। কারণ, সেখানে তারা ৬০০ বছর রাজত্ব করেছে।

ড. ওয়াইজম্যান তখন অস্বীকার করে বললো, ‍মুসলমানরা দখলদার ছিল।

উক্ত ইহুদি সাংবাদিক বললেন, তাহলে বর্তমানে আপনারা যেটা করছেন, সেটা কি দখলদারিত্ব নয়?

ড. ওয়াইজম্যান পরবর্তীতে আর কোনো জবাব দিতে পারেন নি। দেওয়ার কথাও নয়।

হামাসের নিকট হতে বন্দীদের মুক্তির ভিডিও

Scroll to Top