বুনো উল্লাসে নতুন বছরের বার্তা

বুনো উল্লাসে নতুন বছরের বার্তা – প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বরের রাত হলো একটি আতঙ্কের নাম। ইংরেজরা এই দেশ থেকে বহু আগে বিতাড়িত হলেও তাদের দোসররা ও আদর্শ বাস্তবায়নকারীরা এদেশে এখনো আছে।

সভ্যতার নামে অসভ্যতা আর রুচিশীলতার নামে বিকৃত রুচি বাস্তবায়ন করা হলো তাদের প্রধান কাজ। তাদের নিকট পশ্চিমা সভ্যতা হলো শ্রেষ্ঠ আদর্শ।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যখন একজন মুসলমানের সন্তান নিজের আদর্শ ভুলে গিয়ে কাফের-মুশরিকদের আদর্শ বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লাগে তখন তাকে কি মুমিন বলা যায়?

গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের গাজ্জায় ইসরাইলি দখলদারিত্ব চললেও তা এতটা বাহ্যিকভাবে আমরা বুঝতে পারি নি যে, কতটা আতঙ্কে থাকে ফিলিস্তিনিরা।

৩১শে ডিসেম্বরের রাতে যুবকদের বুনো উল্লাস আমাদেরকে যেন যুদ্ধের আগাম বার্তা দিয়ে গেল।

বছরের শেষ দিন যখন একজন মুসলিমের থাকার কথা ছিল জায়নামাজে তখন সে আছে বাসার ছাদে বা মাঠে আতশবাজি ফুঁটানো নিয়ে।

গত বছর একটি শিশু মারা গিয়েছিল এই আতশবাজির শব্দে।

এই বছর ২০২৪শেও আরো এক শিশু মারা গেল। যদিও আরো অনেকেই হয়তো মারা গেছে, আমরা খবর পাই নি।

শিশুটির নাম জানা যায় নি। বাবা-মায়ের সংসারে সে দীর্ঘ ৮ বছর পর ঘর আলো করে এসেছিল।

তার বাবা-মায়ের ৮ বছরের প্রতীক্ষা, ৮ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছিল এই শিশুটিকে দেখে।

এই আনন্দে শিশুটির বাবা তার এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছিল। এই ৩১শে ডিসেম্বরে শিশুটি ছিল ২/৩ মাসের বাচ্চা।

রাতের এই পৈচাশিক বুনো উল্লাসে সে আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই বাচ্চাটির মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা?

এছাড়াও ঢাকাসহ আরো বিভিন্ন শহর ও শহরতলীতে অনেক পশু-পাখি আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি করে। কত পাখি মারাও যায়।

ইসলাম আমাদেরকে কি এটি শিক্ষা দিয়েছে? গেগরিয়ান পঞ্জিকা কখনোই মুসলমানদের ছিল না। মুসলমানরা শুধুমাত্র প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করে।

মুসলমানদের নিজস্ব পঞ্জিকা হলো হিজরী তারিখ। এটি কবে যায় কবে আসে, কেউ কি বলতে পারে? আজকে হিজরী কত তারিখ এটিই বা কয়জন জানেন?

মুসলমানরা কেন পরাজিত, এটি বুঝার জন্য পিএইচডি করা লাগে না।

এই উদাহরণ দিয়েই স্পষ্ট বুঝা যায়। আমরা কি মানুষ হবো না? বা মুমিন হবো না?

Scroll to Top