যেবছর নবীজির চাচা আবু তালিব মৃত্যুবরণ করেন, সেই একই বছর হযরত খাদিজা রাঃ এর মৃত্যু হয়। এজন্য এই বছরটিকে শোক-দুঃখের বছর বলা হয়।

নবুয়তের দশম বর্ষের রমজান মাসে হযরত খাদিজা রা. মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার বয়স ছিল ৬৫ বছর। নবীজি সা. এর বয়স ছিল ৫০ বছর।

হযরত খাদিজা রা. এর মৃত্যু নামাজ ফরজ হওয়ার পূর্বেই হয়।

ইমাম বাইহাকী রহ. বলেন, আবু তালিবের মৃত্যুর তিনদিন পর খাদিজা রা. মারা যান। তবে বর্ণনাটি অপ্রসিদ্ধ।

নবীজি সা. এর উপর নামাজ ফরজ হয় মেরাজের রাতে। তখন থেকেই উম্মতের উপর নামাজ ফরজ হয়। আর মেরাজ সংগঠিত হয়েছিল আরো পরে।

হযরত খাদিজা রা. ছিলেন নবীজির সুখ-দুঃখের সাথী। যখন সকল মানুষ নবীজিকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছিল, তখন খাদিজা নবীজিকে সাহস দিয়েছেন।

সর্বপ্রথম খাদিজা রা. নবীজি সা. এর উপর ঈমান আনেন। এজন্য নবীজি সা. সর্বদা খাদিজার বদান্যতা স্বরণ করতেন।

সহীহ বুখারীতে আয়েশা রা. এর একটি হাদীস বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন,

খুওয়াইলিদের কন্যা খাদিজা রা. এর বোন হালাহ্ একদিন নবীজি সা. এর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

তখন তার কণ্ঠস্বর শুনে নবীজির হযরত খাদিজা রা. এর কথা মনে পড়ে গেল।

তখন নবীজি সা. বললেন, এ যে হালাহ্ এসেছে।

আমি তখন বললাম, আপনার কি হলো যে, আপনি রক্তিম চোয়াল বিশিষ্ট কুরাইশী এক বুড়ীর কথা বারবার স্বরণ করছেন।

সে তো কবেই মারা গেছে। তার উত্তম বিকল্প আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।

আমার এই মন্তব্য শুনে রাসূল সা. এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে গেল।

তখন নবীজি সা. বললেন, আল্লাহ আমাকে তার বিকল্প দেন নি। সে তো এমন এক মহিলা ছিল,

যখন সবাই আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তখন সে আমাকে সত্যবাদীরূপে গ্রহণ করেছে।

মানুষ যখন আমাকে কেবল বঞ্চনা দিয়েছে, তখন সে আমাকে তার সম্পদ দিয়ে সহায়তা করেছে।

আমার অন্যান্য স্ত্রী যেখানে আমাকে সন্তান দানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে তার মাধ্যমে আল্লাহ আমাকে সন্তান দিয়েছেন।

তথ্যসুত্র

আর রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ১২৪

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৪০-২৪৬

খাদিজা রা কত বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন

হযরত খাদিজা রা. ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন

খাদিজার মৃত্যুর সময় নবীজির বয়স কত ছিল

হযরত খাদিজা রা. এর মৃত্যুর সময় নবীজি সা. এর বয়স ছিল ৫০ বছর

খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যু কত সনে?

নবুয়তের দশম হিজরীতে রমজান মাসে হযরত খাদিজা রাঃ মৃত্যু বরণ করেন

Scroll to Top