যা ঘটেছে যা ঘটছে যা ঘটবে – প্রথমেই কিছু প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি। পরাশক্তিগুলো কেন কখনো নিজের দেশে যুদ্ধ বাধায় না? কেন তারা নিজেদের দেশ থেকে বহু দূরে যুদ্ধের ফ্রন্ট খুলে? কেন তারা পক্সিওয়ার করে?
পৃথিবীতে কত প্রকারের জাতি আছে? এই প্রশ্নের উত্তরটা যদিও জটিল, তারপরও একটা হিসাব কষা যায়।
১. কিছু জাতি হলো পা চাটা স্বভাবের। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য দুই পরাশক্তির মধ্যে যেকোনো একটাতে যোগদান করে। কিন্তু স্বার্থ শেষ হলে মূহুর্তেই দল বদল করে।
২. কিছু জাতি হলো খানিকটা ক্ষমতাধর। টাকা-পয়সা আছে। বিশ্বে অবদান আছে। তারা সাধারণত কোনো একটি পরাশক্তির দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
৩. কিছু জাতি আছে, যারা কোনো এক পরাশক্তির নিকটে অবস্থান করে বিধায় সেই দলে যোগদান করে। আবার শত্রুতার কারণে বিপরীতটাও ঘটে।
এভাবে আরো অনেকগুলো প্রকার বের করা যায়। পৃথিবীতে একটা সময় বৃটেন পরাশক্তি ছিল। ফ্রান্স ছিল।
এই দুই দেশ পাশাপাশি হলেও তারা যুদ্ধের জন্য ভূমি খুঁজে নিত আফ্রিকা কিংবা উপমহাদেশে। কেন?
বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ কি? আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন? কেন কিছুদিন পর পর বিভিন্ন উপজাতিরা বিদ্রোহ করে? তারা এই অস্ত্রের সাপ্লাই কোথায় পায়? কেন তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া হয়?
বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে ত্রান নিয়ে প্রবেশ করে আন্তর্জাতিক NGO গুলো।
জাতিসংঘ, রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ সহ আরো অনেক সংস্থা। তারা কি শুধুমাত্র কোনো দেশে ত্রান বিতারণ কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকে নাকি আরো কিছু কাজ করে?
বলা হয়ে থাকে, যেখানে পরাশক্তিদের সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে পারে না সেখানে পরাশক্তিদের গোলাম NGO প্রবেশ করে। কারণ, এটিতে কেউ সাধারণত বাধা দেয় না।
2
একটা ঘটনা বলি। ভেনেজুয়েলায় একবার সরকারবিরোধী আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করা হয়। সরকারদলীয়রা ছিল পশ্চিমাদের বিরোধী। তবে চীনঘেঁষা।
তাই দেখা যায়, পশ্চিমারা সরকারবিরোধীদের জন্য মায়াকান্না শুরু করে। পশ্চিমারা তখন ভেনেজুয়েলাতে নিজেদের এজেন্ট প্রবেশ করাতে চেয়েছিল।
যাতে মানুষকে উস্কে দেওয়া যায়। কিন্তু তা সম্ভব হয় নি।
শেষ রক্ষা হিসেবে ছিল পোষ্য NGO গুলো। এরা বিভিন্ন ত্রান, ঔষধ, পোশাক নিয়ে ভেনেজুয়েলাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু এটি সেই দেশের সরকার আগেই বুঝতে পেরেছিল।
তাই তারা এই সকল এনজিওদের প্রবেশের অনুমতি দেয় নি। এখন কিছু প্রশ্ন আনি।
রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবিরে আন্তর্জাতিক NGO রা সেবার আড়ালে আসলে কি করে?
ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবিরগুলোতে কেন ইসরাইল মধ্যস্থতা হিসেবে NGO দের বেছে নেয়? সেখানে তারা সেবার আড়ালে আর কি করে?
ভারতের সেভেন সিস্টার্সে কিভাবে এত এত মানুষ খৃস্টান হয়ে গেল? সেখানে তো কোনো পাদ্রী এসে ধর্মের দাওয়াত দেয় নি। বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে এত মানুষ কিভাবে খৃস্টান হচ্ছে?
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন পরাশক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? এটির চাহিদা কেন এত বেশি? হঠাৎ হঠাৎ দেশে বিভিন্ন দলীয় প্রতাপশালীদের অপকর্ম ফাঁস হয় কেন?
কেন আদর যত্ন করে পোষা শাহাবাগীদের একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দিল সরকার? বর্তমানে এত বেশি হিন্দু ছেলে-মেয়েদের হাতে লাল ফিতা দেখা যায় কেন?
ভারত ও চীন। বাংলাদেশের নিকটতম থাকা দুই শক্তি। যেকোনো একদিকে দেশ ঝুঁকে পড়লে অপর দেশ নাখোশ হয়। এক্ষেত্রে সরকার কিভাবে ব্যালেন্স করে?
আরো অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে কারিম শাওন লিখিত “ যা ঘটেছে যা ঘটছে যা ঘটবে ” লিখিত বইটিতে।
বহুল প্রচারের উদ্দেশ্যে বইটির পিডিএফ প্রকাশ করে দিয়েছে লেখক নিজেই। পড়তে পারেন আপনিও। হার্ডকপি খুব সম্ভবত পাওয়া যায় না।