বাংলাদেশে জাতিসংঘের অফিস এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা – দেশে মানবাধিকার বিষয়ক অফিস খুলতে ইচ্ছুক জাতিসংঘ।
এমনকি এটার জন্য বাংলাদেশের উপর জেনেভা বড় ধরণের চাপপ্রয়োগ করছে।
শুরুতে যদিও সরকারপক্ষ বলেছিল, তারা এর অনুমতি দিবে না। কিন্তু ১৭ ঘন্টার ব্যাবধানে তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
জাতিসংঘকে মানবাধিকার বিষয়ক অফিস খুলতে অনুমতি দিতে চাচ্ছে সরকার।
এনজিও সরকার এবং পশ্চিমা পাপেট সরকার যে এমন অনুমতি দিবে, তা অনুমেয় ছিল।
মানবাধিকার বিষয়ক এই অফিস কোনো দেশে খোলা মানে তাদের দেশটা অস্থিতিশীল পর্যায়ে আছে অথবা তারা ভঙ্গুর অর্থনীতি অথবা দেশে যুদ্ধ চলমান।
বাংলাদেশে এর কোনোটাই এখন নেই। আমরা যদি একটু নজর দিয়ে দেখি, কোন দেশগুলোতে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার অফিস আছে।
তাহলে দেখতে পাই, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, গুয়েতেমালা, গায়েনা, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেঙিকো, নাইজার, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন।
উপরোক্ত এই দেশগুলোতে হয় যুদ্ধ চলমান অথবা ভঙ্গুর অর্থনীতি তাদের কিংবা গৃহযুদ্ধ চলমান।
পূর্বেও জাতিসংঘ শ্রীলঙ্কাকে প্রচণ্ড চাপ দিয়েছিল তাদের দেশে কান্ট্রি অফিস খুলতে। কিন্তু তারা নত হয় নি।
এখন কথা হলো, কেন তারা বাংলাদেশে মানবাধিকার অফিস খুলতে চায়।
আপাতত সম্ভাব্য ৪টা উত্তর মাথায় আসছে, মিয়ানমার-আরাকান, কোল্ড ওয়ার ২.০, পার্বত্য চট্টগ্রাম, এলজিবিটি।
এছাড়াও গুপ্ত আরো অসংখ্য কারণ থাকতে পারে। মিয়ানমারের দ্বন্দ্ব সফল হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেগে উঠবে পুরোপুরি।
কারণ, উপজাতিদের অনেক আত্মীয় সেভেন সিস্ট্রার্স ও মিয়ানমারে থাকে। অথবা স্বাধীন হওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। পূর্বেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা চেষ্টা করেছিল।
এরপর আমেরিকা-চায়নার কোল্ড ওয়ার শুরু হবে এই ভূমিকে ঘিরে। ভারত ইন্দন যোগাবে পুরোপুরি। মাঝখানে বলির পাঠা হতে হবে বাঙালী মুসলমানদের।
সিরিয়া অথবা লিবিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এই দেশে। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা আছে অনেক।
এটা একদিনে ঘটবে না। আস্তে আস্তে ঘটবে। হয় ১০ বছর অথবা ২৫ বছর অথবা ৫০ বছর পরে হলেও ঘটবে।
উল্লেখযোগ্য যে, হিন্দুত্ববাদী ভারত বাংলাদেশকে তাদের অংশ মনে করে এবং ওপেন থ্রেড দেয়। এটা ইগনোর করার জিনিষ নয়।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার
বিশ্বের সমস্ত কুফফার ও মুনাফিকদের মিলনমেলা হলো এই জাতিসংঘ।
বিশ্বে খেলাফত ধ্বংসের পর গ্লোবাল ভিলেজের নাম করে এবং শান্তির নাম করে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ।
এই সংগঠনের প্রধান হলো কুফফার প্রধান দেশগুলো। মুসলিম দেশগুলোর সেখানে বিন্দুমাত্র অধিকার নেই। এমনকি জাতিসংঘকে একটি স্বৈরাচার দেশের সাথে তুলনা দেওয়া যায়।
প্রধান সদস্য দেশগুলো যদি কখনো একটা ভেটো দেয় তাহলে সাথে সাথে বাতিল হয়ে যায় উক্ত আদেশ-নিষেধ।
এই প্রধান দেশগুলো হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীন।
প্রতিটা দেশের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক মারাত্মক খারাপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তো এখন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চলমান মুসলিম উম্মাহর সাথে।
এছাড়াও ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে এই দেশের মুখোশ ভালোভাবেই উম্মোচিত হয়েছে।
ফ্রান্স ছিল আরেক শয়তান রাষ্ট্র। যারা উত্তর আফ্রিকা এবং মিশরে সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করেছিল এবং উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।
যুক্তরাজ্য বা ইংরেজদের সাথে তো আমাদের বহু পুরোনো হিসাব-নিকাশ বাকী আছে। খেলাফত ধ্বংসের মূল হোতা তারা।
ভারতবর্ষে উপনিবেশ কায়েম করে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সালতানাত ভারতবর্ষকে পঙ্গু করে দিয়েছে তারা। জায়োনিস্টদের ফিলিস্তিনে নিয়ে গেছে এই ইংরেজরা।
রাশিয়া তো আরেক হুবাল। এককালের পরাশক্তি ছিল। পূর্বের নাম সোভিয়েত ইউনিয়ন। প্রায় ৫টা মুসলিম দেশ তারা দখল করে রেখেছিল।
এছড়াও আফগানিস্তানে হামলা করার দুঃসাহস করেছিল। আল্লাহ এই মাটিতে তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আর চীন তো তাদের এত বড় মানচিত্রের অর্ধেকই দখল করা। এছাড়াও তাদের দেশের প্রায় ১৭% ভূমি মুসলমানদের দেশ ছিল এককালে।
এখন পর্যন্ত তারা তা দখল করে রেখেছে। শিনজিয়াং বা পূর্ব তুর্কিস্তান। এই ভূমিতে তারা মুসলমানদের উপর এমন অত্যাচার করছে, যা বহির্বিশ্ব জানেই না!
এই হলো জাতিসংঘের আসল চেহারা। এরপর আসি মানবাধিকার নিয়ে।
এক্ষেত্রে চিরসত্য হলো, বিশ্বে আজ পর্যন্ত কোথাও মানবাধিকার পরিপূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় নি। আর এটা হবেও না।
এগুলো শুধু জেনেভা কনভেশন বানিয়ে কিছু মুখস্ত বুলি ছাড়া কিছুই নয়।
একজনের কাছে যা মানবাধিকার অপরজনের কাছে তা বিদ্রোহ। তাই আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে বড় সংশয় আছে।
আমাদের সমাধান একমাত্র ইসলামে। আমাদের সমাধান একমাত্র শরীয়াহ অনুশাসনে। এছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। থাকার কথাও নয়।
সংবাদ হেডলাইন
ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খুলতে চায় জাতিসংঘ
ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়
বাংলাদেশে জাতিসংঘের অফিস খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনের অফিস, যেসব বিষয় হতে পারে চ্যালেঞ্জ
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের দপ্তর ঢাকায় এখনই হচ্ছে না
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় হবে: উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ
লেখাটি শেয়ার করতে সর্ট লিংক কপি করুন