নারী তুমি …. – নারীরা হলেন মায়ের জাতি। তারা সৃষ্টি না হলে এই পৃথিবী, আলো-বাতাস, পাহাড়-পর্বত কোনো কিছুই আমাদের দেখা হতো না।
তাদের অবদান এবং তাদের দীর্ঘ নয় মাস কষ্টের ফলেই আমরা এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পেয়েছি। তারা হলেন সম্মানিত।
তাদের সম্মান করা, তাদের মর্যাদা দেয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ এই নারীদের আবেগপ্রবণ এবং ভিন্ন শারীরিক গঠনে সৃষ্টি করেছেন।
পাশাপাশি আল্লাহ পুরুষদেরও সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ এবং মহিলা, বেঁচে থাকার জন্য দুজন দুজনার একান্তই প্রয়োজন। তবে সেটা বৈধভাবে। আর সেই বৈধতা ই হলো বিয়ে।
বিয়ের মাধ্যমে পুরুষ এবং নারী দু’জন দু’জনের জন্য হালাল বা বৈধ বলে গণ্য হবে। আল্লাহ তায়ালার নিকট মনোনীত ধর্ম হলো, ইসলাম।
আর ইসলামই নারীকে তার প্রাপ্ত অধিকার দিয়েছে। ইসলাম নারীদের সম্মান করতে শিখিয়েছে। বেগানা মহিলার দিকে দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করেছে।
কিন্তু আমাদের আধুনিক সমাজ আমাদের কি শিক্ষা দেয় ? এই আধুনিক সমাজ বলে, নারী পুরুষ সমান।
এই সমাজ একজন পুরুষ একজন নারীর হাত ধরে পার্কে ঘুরতে উৎসাহিত করে। এই আধুনিক সমাজ পুরুষদের বলে, নারীরা হলো ভোগের বস্তু।
আর নারীদের বলে, তোমরা অবাধে চলাফেরা করো। তোমার যত ইচ্ছে করে, ছোট কাপড় পরিধান করো।
তুমি তোমার শরীর প্রদর্শন করো। দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়!
বর্তমানে সমাজে সর্বস্তরের মানুষ যেগুলো দেখে, তা সিনেমা এবং নাটক।
এই সিনেমা এবং নাটকে একজন নারীকে কিভাবে পণ্যের মত ব্যবহার করা হয়, সে বিষয়ে বিজ্ঞ পাঠক-পাঠিকারা নিশ্চয়ই ভালো জানেন।
মানব সমাজের মাঝে থেকে শালীনতার পর্দা উঠিয়ে নিয়েছে হায়েনারুপি, মিষ্টি বুলির অধিকারী নারী খাদকরা।
তারা নারীদের মানুষ বলে গণ্য করে না। তাদের নিকট নারীরা হলো ভোগের বস্তু কিংবা ক্ষুধা মেটানোর খাবার।
তারা তো আর এভাবে নারীদের বের করতে পারতো না। তাই বিভিন্ন মিষ্টি বুলি দিয়ে বের করে।
অশ্লীল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নারীদের ছোট ছোট কাপড় পরে শরীর প্রদর্শন করতে উৎসাহিত করে। কিন্তু এটাই নারীদের জাহান্নামে যাওয়ার টিকেট।
হাদীসে বর্ণিত আছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ ثَلاَثَةٌ قَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمْ اَلْجَنَّةَ مُدْمِنُ الخَمْرِ وََالعَاقُّ وَالدَّيُوْتُ الَّذِيْ يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ.
ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি আল্লাহ তা’আলা জান্নাত হারাম করেছেন। (১) সর্বদা মদপানকারী, (২) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান ও (৩) পরিবারে বেপর্দার সুযোগ দানকারী ব্যাক্তি। (নাসাঈ, হাদীস নং ২৫৬৩। মিশকাত, হাদীস নং, ৩৬৫৫)