জাতীয়তাবাদ কি

জাতীয়তাবাদ কি – এককালে পৃথিবীতে রাজারা শাসন করত। তাদের রাজ্যের সীমানা হতো বিভিন্ন রকম। কোনোটি ছোটো, কোনোটি বড়ো, কোনোটি ২/৩ মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত। তবে এনলাইটেনমেন্টের পর ধীরে ধীরে রাজাদের ক্ষমতা কমতে থাকে এবং নতুন শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

এনলাইটেনমেন্টের পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থার ভিত্তি গঠনে সেক্যুলারিজম, লিবারিলিজম, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর আইনের ক্ষেত্রে হিউম্যানিজম চিন্তাধারা প্রাধান্য পায় এবং জাতীয় পরিচয় ও সংহতির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদ (ন্যাশনালিজম) শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রগুলোর মাধ্যমে পুরো পৃথিবীব্যাপী এক অদৃশ্য দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। সীমান্তের ওপাশের ওরা আমাদের কেউ না – এই একটি চিন্তাধারা সর্বদা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে যদি আমার ধর্মীয় ভাইও থাকে, তারপরও সে হয়ে ওঠে আমার ঘৃণার পাত্র।

জাতীয়তাবাদ কি ? জাতীয়তাবাদ মানে মানবতাকে কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ করে ফেলা। জাতীয়তাবাদ মানে সীমানার এপারের মাটি ‘সোনা’, আর ওপারের মাটি কেবলই মাটি। এটি হলো এমন এক বিষ, যা আমরা সর্বদা মাথায় নিয়ে ঘুরছি।

একজন ব্যক্তি কোথায় জন্ম হবে, এটি ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে নেই। মহান আল্লাহর ফয়সালা এটি। আমাকে আল্লাহ বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন বলে আমি বাঙালি। যদি আমাকে এই দেশে না পাঠিয়ে আফ্রিকার কোনো দেশে পাঠাতেন, কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশে পাঠাতেন তখন সেই জাতির ভিত্তিতেই আমার পরিচয় গড়ে উঠত।

অনেক জাতি নিজেদের মহান হিসেবে মনে করত। তারা তাদের জাতিকে নিয়ে গর্ব করত। যেমন অ্যাডলফ হিটলার বিশ্বাস করতেন যে তথাকথিত “আর্য জাতি,” বিশেষত জার্মানরা, জন্মগতভাবে অন্য সকল জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং তাদেরই বিশ্ব শাসনের অধিকার রয়েছে।

হিটলারের পতন ঘটলেও জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারার পতন ঘটে নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে একজাতি অন্য জাতির উপর, একদেশ অন্যদেশের উপর হামলা করেছে জাতের বড়াই করে।

তাই তো জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাশিয়া চেচনিয়া ও ইউক্রেনের উপর, চীন উইঘুরদের উপর, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের উপর, আমেরিকা দক্ষিণ আমেরিকানদের উপর, সার্বরা বসনিয়ান মুসলমানদের উপর, মধ্যপ্রাচ্যে কুর্দিদের উপর, ভারতে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে চলছে।

দেশপ্রেমের অন্ধত্ব

আমরা জাতীয়তাবাদ দ্বারা দেশপ্রেমকে বুঝিয়ে থাকি। অথচ দেশপ্রেম জিনিসটা কি, সেটাই আমরা ভালোমতো বুঝতে পারি না।

আমরা প্রত্যেকে যে-ই ভূমিতে জন্মেছি, আজীবন সেই ভূমির প্রতি, সেই মাটির প্রতি একটা অদৃশ্য টান থাকে।

এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মাটির পরিধি কতটুকু? এই ভূমির পরিমাণ কতটুকু? এটা আপেক্ষিক বিষয়।

আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ ﷺ পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মেছেন। মক্কী সাহাবিদের জন্মও এই মক্কায়।

হিজরতের পর যখন নবীজি ﷺ সাহাবীদেরকে নিয়ে মদীনায় গেলেন তখন নতুন এই ভূমি ছিল উনাদের জন্য ভিনদেশ।

এটি তাদের জন্মভূমি নয়। তাই হিজরতের পর মক্কী সাহাবিদের কেউ কেউ জন্মভূমি মক্কা নিয়ে কবিতা আবৃতি করতেন।

আল্লাহর রাসুল ﷺ তাদের এই কাজ থেকে নিষেধ করেননি। কিন্তু আজকের মানচিত্রের দিকে তাকান, মক্কা আর মদীনা একই দেশের অন্তর্ভুক্ত।

সৌদি আরবের দুইটা জেলা ধরা যায়। এখনকার সৌদিয়ানদের নিকট এই দুটি এলাকাই স্বদেশের অন্তর্ভুক্ত। তারা উভয়টাকেই নিজের জন্মভূমি মনে করে।

চলুন, আমরা আরও আগে ফিরে যাই। উমার রা. এর খিলাফত আমলে আফগানিস্তান থেকে ফিলিস্তিন পর্যন্ত মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল।

তখন এই পুরো ভূমির মুসলমানরা এক দেশের অধিবাসী ছিল। সর্বশেষ উসমানি খিলাফতের অধীনেও এই পবিত্র ভূমি ছিল।

যদিও উসমানিদের রাজধানী ছিল সুদূর ইস্তাম্বুলে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের পরিধির ভিত্তিতে ‘দেশপ্রেমের পরিধিও বাড়ছে-কমছে।

আজকের ভারত এককালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। তখন তাদের রাজ্যের ভিত্তিতেই তাদের দেশপ্রেম নির্বাচিত হতো।

মুসলমানরা আসার পর পুরো ভারতবর্ষ এক শাসকের অধীনে আসলো। দেশপ্রেমের পরিধিও বৃদ্ধি পেল।

এককালে বাংলা অঞ্চল দ্বারা যে-ই সুবিশাল ভূমিকে বোঝানো হতো, আজকের সময় সেটাকে বোঝানো হয় না।

আজকের বাংলাদেশিদের দেশপ্রেমে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বিহারের জন্য ‘প্রেম’ নেই। আবার যখন এই ভূমি মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়েছিল তখন পাকিস্তান ছিল আমাদের স্বদেশ।

পাকিস্তানের জন্য দেশপ্রেমও ছিল এ দেশের মানুষের অন্তরে। পরে যখন ক্রমাগত অত্যাচার, নিপীড়নের কারণে দেশ দুই ভাগ হয়ে গেল তখন পাকিস্তান হয়ে গেল আমাদের জাতের শত্রু।

উঠতে-বসতে পাকিস্তানিদের গালি দিচ্ছি। যেন পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত লোক তারা!

ইসলামের দৃষ্টিতে জাতীয়তাবাদ

জন্মভূমির প্রতি টান থাকা দোষণীয় নয়। কিন্তু জন্মভূমির আড়ালে জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা হলো পাশ্চাত্যের অন্যতম একটি বিষ।

এর আড়ালে বৈধতা দেওয়া হয় খুন-গুম, হত্যা ও যুদ্ধকে। খিলাফাত ধ্বংসের পর মুসলিমবিশ্বে কুফফাররা এই জাতীয়তাবাদকে চাপিয়ে দেয়।

তারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য বাদ দিয়ে স্বদেশ প্রেমের ভিত্তিতে শত্রু ও বন্ধু নির্ণয় করা শিক্ষা দেয়।

এই জাতীয়তাবাদ চিন্তাধারা এসেছে ইউরোপ থেকে। আর ইসলাম এটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।

ইসলামে জাতীয়তাবাদকে বলা হয় ওতনিয়্যাহ, কওমিয়্যাহ বা আসাবিয়্যাহ। প্রতিটা পরিভাষাই কাছাকাছি অর্থের।

জাতীয়তাবাদ বা স্বদেশ প্রেমের কারণে দেখা যায় নিজ দেশের সকলকে নিজের ভাই হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হয়।

অথচ একটি দেশের সকল অধিবাসী মুসলিম থাকে না। হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদি-খ্রিষ্টানও উক্ত দেশে বসবাস করে।

তারাও দেশের নাগরিক। নিজের দেশের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা বা জাতীয়তাবাদের অনুসরণ ইসলামের অন্যতম মূলনীতি ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’ থেকে বিচ্যুত করে দেয়।

মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে ‘শুধুমাত্র মুমিনদেরই পরস্পর ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[1] একজন মুসলমানের নিকট তাওহীদের সাক্ষ্য দেওয়া সকল ভূমিই এক মর্যাদার।

যেই ভূমিতে মুয়াজ্জিন “আল্লাহু আকবার, হাইয়া আ’লাস সলাহ” বলে দৈনিক ৫ বার আহ্বান করেন, সেই ভূমি মুসলমানদের অতি আপন।

উম্মাহর জাতীয়তাবাদ!

পৃথিবীর যে-ই প্রান্তেই একজন মুসলিম যদি নির্যাতন-নিপীড়ন, দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হন তাহলে সকল মুসলমানদের জন্যই তার ব্যথা অনুভব করা উচিত।

কারণ, মুসলমানরা পারস্পরিক দয়া, ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের দিক থেকে এক দেহের মতো। দেহের কোথাও আক্রান্ত হলে পুরো দেহেই সেই ব্যথা অনুভব হয়। 

এ ছাড়াও হাদিসে আছে, মুমিনগণ পরস্পরের জন্য একই প্রাচীরের ইটের মত একে অপরের থেকে শক্তি লাভ করে থাকে। 

অন্য হাদিসে এসেছে, একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, সে তার ওপর অত্যাচার করতে পারে না আবার তাকে ধ্বংসের মুখেও ঠেলে দিতে পারে না। 

শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ আল-উসাইমিন রহ. বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, শহিদরা আল্লাহর নিকটবর্তী স্থানে থাকবে। তাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম পুরস্কার। এখানে ওই সকল ব্যক্তিদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যারা খাঁটি দেশপ্রেম কিংবা জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে লড়াই করে। আবারও বলছি, খাঁটি দেশপ্রেম![2]

ইসলামে কোনো জাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়নি। আল্লাহর নিকট দ্বীন ইসলাম ছাড়া আর কোনো কিছুই গ্রহণযোগ্য হবে না। নবীজি ﷺ বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন,

হে লোকসকল! নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক কেবলমাত্র একজন। তোমাদের পিতাও কেবলমাত্র একজন। মনে রেখ! আরবের জন্য অনারবের উপর, অনারবের জন্য আরবের উপর, কৃষ্ণকায়ের উপর শ্বেতকায়ের এবং শ্বেতকায়ের উপর কৃষ্ণকায়ের কোন শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নেই। শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা আছে তো কেবল তাকওয়ার কারণেই। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহকে ভয় করে।[3]

অন্য হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে,

عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ، قَالَ: لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ، وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ، وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ

জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসাবিয়্যাতের দিকে ডাকে বা গোত্রের দিয়ে আহবান করে লোকদেরকে সমবেত করে সে আমার দলভুক্ত নয়। আর ঐ ব্যক্তিও আমাদের দলভুক্ত নয় যে আসবিয়্যাতের ভিত্তিতে যুদ্ধ করে এবং সেও নয় যে আসাবিয়্যাতের উপর মারা যায়।[4]

عَنْ بِنْتِ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ، أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَاهَا، يَقُولُ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا الْعَصَبِيَّةُ؟ قَالَ: أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلَى الظُّلْمِ

ওয়াসিলাহ ইবনুল আসকা’ (রাঃ)-এর কন্যা সূত্রে বর্ণিত। তিনি তার পিতাকে বলতে শুনেছেন. আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আসাবিয়্যাত (পক্ষপাতিত্ব) কি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার কওমকে অত্যাচার করার জন্য সহযোগিতা করলে।[5]

وَعَن أُبيِّ بن كعبٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ: «مَنْ تَعَزَّى بِعَزَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَعِضُّوهُ بِهَنِ أَبِيهِ وَلَا تُكَنُّوا

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, যেই ব্যক্তি জাতীয়তাবাদ তথা আসোবিয়্যাহর জাহেলী আহবানের দিকে মানুষকে ডাকে সে যেন তার পিতার লজ্জাস্থান কামড়ে ধরে পড়ে আছে (তাকে ছাড়তে চাইছে না)। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, “এবং একথাটি লুকিয়ে রেখো না (অর্থাৎ বলার ক্ষেত্রে কোনো লজ্জা বা অস্বস্তিবোধ করো না)।[6]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ، إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ، وَفَخْرَهَا بِالْآبَاءِ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ، وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ،

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ তোমাদের জাহিলী যুগের মিথ্যা অহংকার ও পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে (জাতীয়তাবাদের পাল্লায় পড়ে নিজ জাতির ব্যাপারে) গর্ব করার প্রথাকে বিলুপ্ত করেছেন। মু’মিন হলো আল্লাহভীরু আর পাপী হলো দুর্ভাগা।[7]

আমরা জানতে পারলাম, জাতীয়তাবাদ কি ! অতএব ইসলামের জাতীয়তাবাদের নামে, স্বদেশপ্রমের নামে অন্তরে জাহেলি চিন্তাধারা লালন করার কোনো সুযোগ নেই।

মনে রাখতে হবে, সমস্ত মুসলিম ভূখণ্ডগুলো আমাদের স্বদেশ। পৃথিবী যে-ই প্রান্তেই তাওহীদের আওয়াজ পৌঁছেছে, সেটি আমাদের সকলের ভূমি।

যে-ই ভূমি এককালে আমাদের অধীনে ছিল আর এখন কুফফারদের অধীনে আছে, সেই ভূমিও আমাদের ভূমি।

যেমন আন্দালুস (স্পেন ও পর্তুগাল), ভারত, রাশিয়া, চীন, বলকান অঞ্চল আমাদের অধীনে ছিল একটি সময়।

আজ তা কুফফারদের অধীনস্থ। এককালে এখানে তাওহীদের বাণী উচ্চারিত হতো। আজ তা বিরানভূমি।

আমরা যদি আবার জাগ্রত হই তাহলে আমাদের হারানো ভূমি আবার আমরা ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

ফুটনোট – জাতীয়তাবাদ কি

[1] সূরা হুজরাত, আয়াত ১০

[2] ما منظور الدين نحو قضية الوطنية؟

[3] আইয়ামে তাশরীক্বের ২য় দিনের ভাষণ

[4] সুনানে আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং ৫১২১

[5] সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১১৯

[6] মেশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং ৪৯০২

[7] সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১১৬

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top