ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে শিক্ষক বহিষ্কার – সমাজের অন্যতম একটি মারাত্মক ব্যাধি হলো, নিজেকে নিয়ে নিজে সন্দেহে পতিত হওয়া।
বিশ্বে সমকামিতার আড়ালে যেই ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে, সেটির নামে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ।
একজন পুরুষ কোনো প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র অগোছালো কিছু চিন্তার কারণে নিজেকে মেয়ে বলে দাবী করছে।
আবার একজন নারী কোনো প্রমাণ ছাড়াই নিজেকে পুরুষ বলে দাবী করছে।
সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ দুইভাগে বিভক্ত। ১. পুরুষ ২. নারী। পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে পারে না। নারী সন্তান জন্ম দিতে পারে।
পুরুষের হায়েজ বা মাসিক হয় না। নারীর হায়েজ বা মাসিক হয়। পুরুষের স্তন থাকে না। নারীর স্তন থাকে। পুরুষের যৌনাঙ্গ ও নারীর যৌনাঙ্গ সম্পূর্ণ আলাদা।
পৃথিবীর সৃষ্টির এত বছর পার হওয়ার পরও কেউ এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস করে নি।
হযরত লুত আ. এর সময়ে সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
সেই সমকামিতা পৃথিবীতে বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই ইউরোপ-আমেরিকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
সেই ভূখন্ডের সীমানা পার হয়ে এশিয়া, আফ্রিকাতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশে সমকামী ব্যক্তিদের শাস্তির বিধান বলা আছে ধারা ৩৭৭ এ।
কিন্তু এরপরও প্রশাসনের প্ররোচনায় ও বিভিন্ন ফান্ড পেয়ে এই দেশে সমকামিতার মতো জঘন্য মতবাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে সরাসরি সমকামিতা মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা খুবই ভয়ঙ্কর কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে পূর্বে কয়েকজন নিহত হয়েছে।
তাই ২০১৩ সালের পর থেকে অসাধু লোকেরা হিজড়া শব্দের আড়ালে নিজেদের কার্যক্রম চালানো শুরু করে।
হিজড়া আর ট্রান্সজেন্ডার একত্রিত করে বর্তমানে এই সমকামিতার পাঠ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের।
মানুষ গড়ার কারিগর – একশ্রেণীর শিক্ষকরা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত হয়ে এই সমাজেও বিকৃত যৌনাচার বাস্তবায়নের মিশনে নেমেছে।
তাই বলে ভালো মানুষরা কখনোই চুপ করে থাকতে পারেন না। তারা আওয়াজ তুলেছেন। সমাজের এই ভাইরাসকে নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে শিক্ষক বহিষ্কার করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলাতায়নে জাতীয় শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে অনেক শিক্ষকরাই বর্তমানে চলমান নতুন এই ট্রান্সজেন্ডার ভাইরাসের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়েল খন্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব স্যার এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের প্রতিবাদস্বরুপ ৭ম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক শিক্ষা বইয়ের “শরিফার গল্প” শিরোনামে ট্রান্সজেন্ডার মতদর্শ প্রচারের লেখাটি ছিঁড়ে ফেলেন।
এই ঘটনার পরেরদিন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
এই ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আরো বহু আগ থেকেই মানুষকে সতর্ক করে আসছেন ড. সরোয়ার হোসাইন স্যার। তাকে পূর্বে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিদায় দেওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতা করছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে খুবই সুক্ষ্মভাবে ষড়যন্ত্র করে ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা, নারীবাদ প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
নারীবাদ তো আগে থেকেই ছিল। এখন সমকামিতাকে হিজড়ার আড়ালে, ট্রান্সজেন্ডারের আড়ালে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে।
ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কথা বললে আরো অনেক শিক্ষকের হয়তো চাকুরি যাবে। অনেক সচেতন ডাক্তারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও এই ইস্যুতে এক চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া যাবে না।
বর্তমানে কিছু কিছু ডাক্তার ও গবেষক মিথা বুলি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছে যে, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া একই জিনিষ। দুটোতে কোনো পার্থক্য নেই।
অথচ ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত আছে। এই ধ্রুবসত্য টাকার কাছে, ডলারের কাছে হেরে যায়।
প্রিয় ভাই-বোন, সাবধান হোন। নিজের ঈমান বাঁচান। পরিবারের ঈমান বাঁচান। সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।
নিজ স্থান থেকে নিজে সোচ্চার হোন। প্রতিবাদ করুন। যেভাবে সম্ভব সেভাবে প্রতিবাদ করুন।
লেখালেখি, ভিডিও, ওকালতি, প্রশাসন কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম। যেটাই আপনাকে হাতে থাকুক সেটা দিয়েই প্রতিবাদ করুন।
যদি এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আগামী ১০০ বছর দেশের মানব সম্পদ হ্রাস পাবে।
মানসিক বিকৃত একটি সমাজ তৈরি হবে, যাদেরকে আল্লাহ হয় আযাবের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিবেন অথবা এইডস বা অন্যান্য মহামারি দিয়ে ধ্বংস করে দিবেন।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, ক্যাম্পাস, হল, অফিস-আদালতসহ সকল স্থানে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করুন। অন্যায়কে বয়কট করুন। ইনশাআল্লাহ তারা বিতাড়িত হবেই।