জিহাদ সম্পর্কিত আয়াত ও হাদিস – জিহাদ হলো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মহান আল্লাহর ফরজ বিধান এবং পৃথিবীতে সত্যের বাণী পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম। জিহাদের বিষয়ে কুরআন-হাদীস ও ফিকহের কিতাবে যা বর্ণিত আছে, সেগুলোকে আমরা এক মলাটে তথা এক পেজে আনার চেষ্টা করেছি বাংলাভাষী মানুষদের জন্য। বর্তমানে জিহাদ নিয়ে অনেকে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। কেউ
হিজাব বা বোরকা হলো নারীদের অবয়ব ঢেকে রাখার মাধ্যম। এর মাধ্যমে নারীরা নিজেকে পর-পুরুষ থেকে হেফাজতে রাখবে। নিজেরা নিরাপদ থাকবে। কিন্তু পর্দার এই উপায়টিকেই যখন সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম হয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় বোরকার ফাঁদ বা হিজাব ট্র্যাপ। বর্তমানে হাতেগোনা খুব অল্প নারীরাই আছেন, যারা একমাত্র শরীয়াহর নিয়ম পালনার্থে বোরকা পরিধান করেন। অধিকাংশ নারী
কুরআনী নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলা যাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে বলেছেন, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা আর যাদের সাথে শত্রুতা রাখতে বলেছেন, তাদের সাথে শত্রুতা রাখা। এটাকেই ইসলামী শরীয়াহর পরিভাষায় আল ওয়ালা ওয়াল বারা (الولاء والبراء) বলা হয়। ইসলামে শত্রুতা রাখতে বলা হয়েছে কাফেরদের সাথে, মুরতাদদের সাথে, মূর্তিপূজকদের সাথে, ইহুদি-খৃস্টানদের সাথে। আর বন্ধুত্ব রাখতে বলা হয়েছে মুমিনদের
রিজিক কি নির্ধারিত – মানুষের জীবনে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে যতটা না পেরেশান থাকতে হয়, অন্য কোনো কাজে বোধহয় এতটা পেরেশান কেউ হয় না। প্রতিদিন তিনবেলা বা দুবেলা কিংবা অন্তত একবেলা খাবার যেন আমাদের লাগেই। এছাড়া আমরা শরীরের শক্তিমত্তা হারাতে পারি। দুর্বলতা আমাদের গ্রাস করে নিবে। রিযিক নিয়ে এত পেরেশানী কখনো কখনো আমাদেরকে আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূরে
আল্লাহকে কেন ভুলে যাই আমরা – আল্লাহ আমাদের কত ভালোবাসেন। কত মুহাব্বত করেন। কত যত্ন করেন। এরপরও আমরা আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত। আমাদেরকে বারবার বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি সতর্কবার্তা পাঠান। এরপরও আমরা তা উপেক্ষা করে হারাম কাজে লিপ্ত হই। অশ্লীল-অশালীন কাজে গা ভাসিয়ে দেই। মনে করি, হয়তো কোনো সমস্যা নেই। আসলে আমরা বর্তমানে আল্লাহকে ভয় করি না।
হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব রহ. বলেন, হযরত ওমর রাঃ এর অমূল্য ১৮টি বাণী রয়েছে। যেগুলো প্রতিটি নিয়ে আলাদা আলাদা গবেষণা করা যায়। বাণীগুলো যথাক্রমে, ০১। যে তোমার কোনো জিনিসের ক্ষেত্রে আল্লাহর অবাধ্যতা করে, তোমার দেওয়া তার সবচেয়ে উত্তম শাস্তি হলো, ওই জিনিসের ক্ষেত্রে তার অবাধ্যতার সমপরিমাণ তুমি আল্লাহর আনুগত্য করবে। ০২। তুমি তোমার অপর ভাইয়ের
বাইয়াত কত প্রকার – বাইয়াতের গুরুত্ব ইসলামে অনেক বেশি। কালিমায়ে তাইয়্যেবা পড়ার মাধ্যমেই আল্লাহর আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেই। আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে খালদুন রহ. (১৩৩২-১৪০৬ খ্রি./৭৩২-৮০৮ হি.) বলেন, বাইয়াত বা বাইআত মানে হলো আনুগত্যের উপর চুক্তি করা। বাইয়াত বা বাইআত গ্রহণকারী তার আমীরের নিকট নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ক্ষমতা সোপর্দ করবে। উক্ত বিষয়গুলোতে সে আমীরের বিরোধিতা
যাকাত হিসাব ২০২৩ – যাকাত প্রত্যেক সচ্চল মুসলমানের জন্য ফরজ। যাদের নিকট নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তা হিসাব করে যাকাত দিতে হয়। ২০২৩ সালে আপনি কতুটুকু যাকাত দিবেন, সেটির হিসাব দেখবো আমরা এখানে। যাকাতের রেট নির্ধারণ করা হয় দুইভাবে। ১. সাড়ে ৫২ ভরি রুপা। ২. সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ। এই দুইটির বর্তমান বাজারমূল্যের সাথে মিলিয়ে
আল্লাহকে ভয় করা একজন ঈমানদার মুমিন-মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। যেই আল্লাহ আমাদের লালন-পালন করছেন, আমরা তার আনুগত্য করবো, তার বড়ত্ব বর্ণনা করবো, এটাই ঈমানের দাবী। যেই ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে না, সে যা ইচ্ছা করতে পারে। দুনিয়াতে সে কোনো বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত হয় না। যেমনটা আমরা কাফের-মুশরিকদের ক্ষেত্রে দেখতে পাই। যেই ব্যক্তি আল্লাহকে মানে না, আল্লাহর
কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা – মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিপূর্ণ গ্রন্থ হলো আল কুরআনুল কারীম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ১৪০০ বছর পূর্বে এই কিতাব নবীজি সা. এর উপর নাজিল করেছেন। রুক্ষ আবহাওয়ায়, বৈরি পরিবেশে, পাষাণ হৃদয়ের মানুষদের উপর এই কুরআন নাজিল হয়েছিল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করেছে এই কুরআন। পাষাণ হৃদয়ের মানুষগুলো
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে – পৃথিবীতে সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে কত রকম প্রাণীকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির বয়স ৩০ লাখ বছর। আল্লাহ শুরুতে আদম আ. কে পাঠিয়েছিলেন। এরপর একে একে আরো কত মানুষ পাঠিয়েছেন। মানুষ পাঠানোর এই ধারাবাহিকতা কখনোই শেষ হয় নি। মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতা
কথার আঘাত – বেঁচে থাকার জন্য যেমন আমাদের অক্সিজেন প্রয়োজন তেমনি মনের ভাব পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করার জন্য আমাদের কথা বলা প্রয়োজন। মনের ভাব প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো কথা বলা। কথার মাধ্যমে একটি বিষয় যত সহজে বুঝানো যায়, লিখেও ততটা সহজে বুঝানো যায় না। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে যবান দিয়েছেন কথা বলার জন্য। যবানের মাধ্যমে আমরা মনের
