বীমা কাকে বলে – আমরা আজকাল কেমন যেন একটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে জীবন পার করছি। নিজেকে নিজে বিশ্বাস করি না।

সর্বদা আমাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে যে, আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তানদের কি হবে? এই ভয়টা থেকেই আজকের বীমার উদ্ভাবন।

বর্তমানে জীবন বীমা খুবই পরিচিত একটা বিষয়। এ ছাড়াও আরো অনেক বীমা আছে।

যেমন, Coods insurance, Third party insurance. প্রথমত আমরা বীমার সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করি।

বীমার সংজ্ঞা – বীমা কাকে বলে

বীমার আভিধানিক অর্থ হলো, গ্যারান্টি দেয়া বা নিশ্চয়তা প্রদান করা। পরিভাষায় বীমা হলো এক ধরণের অর্থ লেনদেনের চুক্তি।

যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়ার গ্যারান্টির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কিস্তিতে টাকা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

আর যেই সংস্থা এই ক্ষতিপূরণ প্রদান করার শর্তে টাকা গ্রহণ করে তাদের বলা হয় বীমা কোম্পানী।

বীমার সূচনা – বীমা কাকে বলে

বলা হয়ে থাকে, চতুর্দশ শতকের সময় বীমা পদ্ধতি শুরু হয়। তখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সাগর পথে মালামাল প্রেরণ করা হত।

অনেক সময় পণ্যবাহী জলজাহাজ ডুবে গিয়ে মালামাল সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যেত। আর ব্যবসায়ীরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেত।

এ ধরণের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের জন্য সর্বপ্রথম বীমা পদ্ধতির সূচনা হয়।

বীমার প্রকার – বীমা কাকে বলে

১. দ্রব্যসামগ্রীর বিপরীতে বীমা

গাড়ি, বাড়ি, জাহাজ, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদির বীমা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। দ্রব্যসামগ্রীর বীমা করার পদ্ধতি হলো,

বীমাকারী যে দ্রব্যের বীমা করতে চায়, বীমা কোম্পানী উক্ত দ্রব্য পরীক্ষা করে দেখে যে, সেটি স্বাভাবিকভাবে কত বছর পর্যন্ত চলতে পারে।

অতঃপর উক্ত সময় পর্যন্ত কোম্পানী এ্ই গ্যারান্টি প্রদান করবে যে,

এই সময়ের মধ্যে এটা নষ্ট হলে এটা ঠিক করার দায়িত্ব বা নতুন একটা কেনার দায়িত্ব কোম্পানী নিজে বহন করবে।

ভোক্তা কোম্পানীকে এই বীমার টাকা মাসিক, ত্রিমাসিক বা বার্ষিক কিস্তিতে দিতে পারে। এটাকে তারা বলে থাকে প্রিমিয়াম।

আর এই অর্থের পরিমাণ বীমা কোম্পানী এবং ভোক্তার আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধানিত হয়।

বীমা কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের পরও যদি উক্ত পণ্য বহাল থাকে তাহলে ভোক্তা তার প্রদানকৃত অর্থ ফেরৎ পায় না। তখন ভোক্তার লস হয় এবং বীমা কোম্পানীর লাভ হয়।

২. দায়-দায়িত্বের বিপরীতে বীমা

ধরা যাক, আপনারা দ্বারা ভবিষ্যতে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে। এই আশংকায় বীমা করাকে দায়-দায়িত্বের বিপরীতে বীমা বলা হয়।

যেমন, আপনি নতুন ড্রাইভিং শিখেছেন। এখন রাস্তায় আপনি গাড়ি নামাবেন।

আপনার রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় যদি কোনো ধরণের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সেটার ক্ষতিপূরণও বীমা কোম্পানী দিবে।

একটা কথা মনে রাখা আবশ্যক যে, বীমার ক্ষেত্রে প্রতিটা জিনিষই একটা নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তি হয়।

আপনি যদি উক্ত চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেন আর আপনার কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে তাহলে আপনি বীমা কোম্পানীকে প্রদানকৃত অর্থ ফেরৎ পাবেন না।

৩. জীবন বীমা

কোনো ব্যক্তির যদি এই আশংকা হয়, আমার সন্তানরা ছোট। আর আমারও জীবন হারানোর ভয় আছে, সেই ব্যক্তি জীবন বীমা করে থাকে।

জীবন বীমা করার জন্য উক্ত ব্যক্তি বীমা কোম্পানীর নিকট আবেদন করার পর  কোম্পানী একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে বীমাকারী ব্যক্তির বডি চেক আপ করায়।

এরপর ডাক্তার একটা রিপোর্ট লিখে, ‘আনুমানিক এই ব্যক্তি অমুক সময় পর্যন্ত বাঁচবে’।

এরপর উক্ত ব্যক্তি কিস্তিতে বীমা কোম্পানীকে টাকা প্রদান করে থাকে।

যদি এই ব্যক্তি সেই সময়ের আগেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে বীমা কোম্পানী সেই ব্যক্তির পরিবারকে উক্ত ব্যক্তির টাকাগুলো প্রদান করে থাকে।

আর যদি উক্ত ব্যক্তি সেই সময়ের বেশি সময় বেঁচে থাকে তাহলে সে বীমা কোম্পানীর থেকে কোনো টাকা ফেরৎ পায় না।

বীমার সুফল – বীমা কাকে বলে

উপরোক্ত প্রকারভোদের কারণে আমাদের নিশ্চয়ই বীমার সুফল এবং কুফল কিছুটা হলেও বুঝে আসছে। যে, বীমা হলো একটা অনিশ্চয়তার বন্ধন।

হতে হতেও পারে আবার না হলে নাও হতে পারে। তবে অর্থনীতিতে বীমার আরো কিছু সুফল ও কুফল রয়েছে।

প্রথমত বীমার সুফল নিয়েই আলোকপাত করি।

১. পুঁজি গঠনে সহযোগীতা

বীমার মাধ্যমে জনগণের নিকট বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুঁজিসমূহ একত্রিত বৃহত্তর উৎপাদনী কাজে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য মূলধন হিসেবে মওজুদ হয়।

ফলে এই মূলধন ব্যবহার করে উৎপাদন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখা যায়।

২. উৎপাদনী উপরণসমূহ সচল থাকা

যখন কোনো কারখানা অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায় কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয়ের শিকার হয়

তখন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তির কাছে পূনরায় আবার একটা কারখানা স্থাপন করার টাকা থাকে না।

তাই  সে বীমার টাকা দিয়ে কারখানাটি আবার পূনরায় প্রতিষ্ঠিত করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারে।

৩. বিপদ-আপদে নির্ভরতা

যদি কোনো বিনিয়োগকারী কোম্পানী এই শঙ্কায় থাকে যে, তাকে যে কোনো সময় সর্বস্ব হারাতে হয়।

তাহলে সে বীমা করে রাখতে পারে।

এতে সে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়লে পথে বসতে হবে না। সে আবার অন্য কোনো ব্যবসা দাড় করাতে পারবে।

এবার আলোচনা করি বীমার কুফল নিয়ে।

বীমার কুফল – বীমা কাকে বলে

১. দ্বীনি এবং ধর্মীয় ক্ষতি

সুদের কারবারে লিপ্ত হওয়া: সাধারণত ব্যবসায়ী বীমাসমূহে সুদের কারবার বেশি হয়ে থাকে। আর এই সুদের লেনদেন যতই লাভজনক হোক তা কখনো কারো সুফল বয়ে আনতে পারে না।

জুয়ায় লিপ্ত হওয়া

জুয়া হলো এমন লেনদেন যাতে লাভবান হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। এখানের মূল থিমই হলো,

এক পক্ষ লাভবান হবে আর অপরপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর বীমাতে তেমটাই ঘটে থাকে। বীমার ক্ষেত্রে কখনো কোম্পানী জিতে যায়,

যখন ভোক্তা স্বাভাবিক সুস্থ থাকে এবং তার কোনো ক্ষতি না হয়। আবার ভোক্তা জিতে যায় যখন ভোক্তা বিপদে পড়ে। এর দ্বারা অর্থনীতিতে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়।

প্রতারণার আশ্রয় নেয়া

বীমাতে অসংখ্য প্রতারণার শিকার হয় ভোক্তারা। প্রথমত প্রতারণা হলো, বীমার প্রচারকরা এমনভাবে বীমাকে সমাজের সামনে দাঁড় করায় যে,

যে কোনো মুহুর্তে আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আপনি বিপদে পড়তে পারেন। এর দ্বারা সরলমনা মানুষ তাদের কষ্টে উপার্জিত টাকা-পয়সা বীমা কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়।

আর এই প্রতারক বীমা কোম্পানীগুলো মানুষকে কিছু নির্দিষ্ট শর্তের শিকলে আবদ্ধ করে ফেলে। ফলে সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়।

কখনো কখনো দেখা যায়, বীমা কোম্পানীর শর্তের মারপ্যাচে পড়ে সেই টাকা ফেরৎ পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সাধারণ ভোক্তারা।

কারণ, বীমা কোম্পানী চায় টাকা তারা না দিতে। না দিলেই বীমা কোম্পানীর লাভ। তাই তারা অনেক শর্ত দেখিয়ে এবং ছলচাতুরী করে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়।

ফলে অনেক ভোক্তারা সহজেই ধোঁকা ও প্রতারণার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

২. অর্থনৈতিক ক্ষতি

যারা বীমা করে তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে মারাত্মকভাবে শোষিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বীমা করে লাভবান হয় এ ধরণের লোকের সংখ্যা খুবই কম।

অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, যেই ক্ষতির আশঙ্কায় উক্ত ব্যক্তি বীমা করে থাকে তার ১০% ও কখনো সংগঠিত হয় না।

এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাধারণ ভোক্তারা। আর বীমা কোম্পানী পেশাদার ডাকাতি করে হাতিয়ে নেয় ভোক্তাদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ।

৩. বীমার নৈতিক ক্ষতি

কখনো কখনো দেখা যায়, ভোক্তারা টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য এমন এমন কাজ-কাজবার করে থাকে যা একজন সভ্য মানুষ করতে পারে না।

যেমন, ধরা যাক কেউ ফ্রিজের জন্য বীমা করলো। মেয়াদ ৫ বছর। আর সে বীমা বাবদ ৬০,০০০ টাকা বীমা কোম্পানীর নিকট রাখলো।

ভোক্তা ব্যক্তিটি উক্ত ফ্রিজ যেই ব্যান্ড থেকে কিনেছে তারা বলেছে, এই ফ্রিজ ১০ বছর অনায়েসে যাবে।

৫ বছর পর দেখা গেল এই ফ্রিজটি দিব্যি ভালো আছে। কোনো সমস্যা নেই। এটা দেখে ভোক্তা পড়লো বিপদে। তার মাথায় তখন চিন্তা ডুকে গেল,

যদি আমার এই ফ্রিজটি ৫ বছরের বেশি সময় যায় তাহলে তো আমার ৬০,০০০ টাকা লস। তাই সে নিজেই ফ্রিজটি নষ্ট করে ফেললো।

এর ফলে সে একটা ভালো পণ্যকে নিজেই নষ্ট করে ফেললো। এটা কখনো একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাজ হতে পারে না।

আবার দেখা যায়, যারা জীবন বীমা করে থাকে, তারা সময় শেষ হওয়ার আগে পাগলামী শুরু করে। কারণ, সে লক্ষ লক্ষ টাকা বীমাতে দিয়ে রেখেছে।

তাই সে বাবাকে, মাকে, স্ত্রীকে, সন্তানকে হত্যা করে। ফলে সমাজে হত্যার মতো জগণ্য অপরাধ এই বীমার কারণে সংগঠিত হচ্ছে। তাই বীমার দ্বারা যে মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, সেটা কিছুটা হলেও আমরা বুঝতে পারলাম।

বীমার শরীয়াহ্ মাসআলা

পূর্বে আমরা বলেছি যে, বীমাতে জুয়া, সুদ এবং ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। তাই ইসলামে এ ধরণের সকল লেনদেন হারাম।

আবার এই বীমার কারণে মানুষ হত্যার মতো জগণ্য কাজ করা হয়। আর মানুষ হত্যা করা ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ।

তাই ইসলামে বীমাকে উলামায়ে কেরাম হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন।

অতএব দেশে প্রচলিত বীমা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ। আমাদের যদি এতটাই নিশ্চয়তায় ভুগতে হয় তাহলে প্রথমত অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করা উচিৎ।

তাদেরকে জানান আপনার সমস্যা। তারপর দেখুন তারা কি বলে। আর আপনি যদি কোনো আলেমের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ইতস্ততবোধ করেন তাহলে ব্যাংকে আপনি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

যেখানে কোনোরকম সুদ দেয়া হয় না। ব্যাংকিং সিস্টেমটা বর্তমানে চলে সুদের উপর। এর মধ্যে শুধুমাত্র কারেন্ট অ্যাকাউন্টেই আমার জানামতে,

কোনোরকম সুদ গ্রাহককে প্রদান করা হয় না। এতে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি টাকা রাখতে পারেন। যেহেতু ব্যাংকের কোনো নির্ধারিত মেয়াদ নেই তাই আপনার এখানে বীমার মতো টাকা হারানোর ভয় নেই।

এই হলো আজকের বীমা সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত।

আপনি যদি এই সম্পর্কে আলো কিছু জানতে আগ্রহী হন তাহলে মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া রহ. এর লিখিত “ইসলামী অর্থনীতির আধুনিক রূপায়ণ” বইটি পড়তে পারেন।

উক্ত বইয়ের ৪১৪ থেকে ৪২৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত বিস্তারিত বীমা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে আপনি পড়তে পারেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সৎপথে পরিচালিত করার তাওফিক দান করুন।

আরো পড়ুন

আসওয়াদ আনাসির ফেতনা

হাজরে আসওয়াদ নবীজি কিভাবে স্থাপন করেন?

কতভাবে ওহী নাজিল হয়

যাতুস সালাসিল যুদ্ধ

বীমা কি ?

বীমার আভিধানিক অর্থ হলো, গ্যারান্টি দেয়া বা নিশ্চয়তা প্রদান করা। পরিভাষায় বীমা হলো এক ধরণের অর্থ লেনদেনের চুক্তি।

যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়ার গ্যারান্টির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কিস্তিতে টাকা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

আর যেই সংস্থা এই ক্ষতিপূরণ প্রদান করার শর্তে টাকা গ্রহণ করে তাদের বলা হয় বীমা কোম্পানী।

জীবন বীমা কি ?

কোনো ব্যক্তির যদি এই আশংকা হয়, আমার সন্তানরা ছোট। আর আমারও জীবন হারানোর ভয় আছে, সেই ব্যক্তি জীবন বীমা করে থাকে।

জীবন বীমা করার জন্য উক্ত ব্যক্তি বীমা কোম্পানীর নিকট আবেদন করার পর  কোম্পানী একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে বীমাকারী ব্যক্তির বডি চেক আপ করায়।

এরপর ডাক্তার একটা রিপোর্ট লিখে, ‘আনুমানিক এই ব্যক্তি অমুক সময় পর্যন্ত বাঁচবে’।

এরপর উক্ত ব্যক্তি কিস্তিতে বীমা কোম্পানীকে টাকা প্রদান করে থাকে। যদি এই ব্যক্তি সেই সময়ের আগেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে বীমা কোম্পানী সেই ব্যক্তির পরিবারকে উক্ত ব্যক্তির টাকাগুলো প্রদান করে থাকে।

আর যদি উক্ত ব্যক্তি সেই সময়ের বেশি সময় বেঁচে থাকে তাহলে সে বীমা কোম্পানীর থেকে কোনো টাকা ফেরৎ পায় না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top