পরিবারের দায়িত্ব ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততার পাশাপাশি নবীজি বনু হাশিম এর গুরুত্বপূর্ণ সকল কাজে অংশগ্রহণ করতেন।

সে সময় বনু হাশিমের খুঁটি হিসেবে ছিলেন নবীজির চাচা আবু তালেব, আবু লাহাব, আব্বাস ও হামজা।

চাচাদের সাথে নবীজির সম্পর্ক

আবু তালিব ছিলেন বয়স্ক এবং নবীজি সা. এর অভিবাবক। আবু লাহাব ছিল কঠোর প্রকৃতির ব্যক্তি। কিন্তু তারপরও নবীজির সাথে তার ভালো সম্পর্ক ছিল।

নবীজির দুই কন্যা হযরত রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুমের বিয়ে হয় আবু লাহাবের দুই ছেলে উতবা ও উতাইবার সাথে।

নবীজির চাচা আব্বাস ছিলেন নবীজির থেকে তিন বছরের বড়। তিনি মক্কার প্রভাবশালীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তার পেশা ছিল জমিদারি। সচ্ছল ছিলেন তিনি।

আব্দুল মুত্তালিবের পর কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, কাবার পূনঃনির্মাণ ও সংষ্কার, হাজিদের পানি পান করানোর দায়িত্ব তিনি আঞ্জাম দিতেন।

নবীজির চাচা হামজা ছিলেন নবীজির থেকে দুই বছরের বড়। তিনি আবু লাহাবের বাঁদি সুওয়াইবার দুধ পান করেছিলেন।

এদিক থেকে তিনি নবীজির দুধভাই ছিলেন। মানুষের সাথে সদ্ব্যব্যবহার করতেন। অভাবীদের সাহায্যে এগিয়ে আসতেন।

তীরন্দাজী ও তরবারি চালনায় তার কোনো জুড়ি ছিল না। সফর ও শিকারেই সর্বদা লিপ্ত থাকতেন।

ফুফুদের সাথে নবীজির সম্পর্ক

রাসূলের ‍ফুফু সাফিয়া রা. বনু হাশিমের বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি নবীজির সমবয়সী ছিলেন। তার বাহাদুরি ও সাহসিকতা ছিল প্রবাদতুল্য।

বনু হাশিম গোত্রে নবীজির মর্যাদা

বনু হাশিমের মতো এত বড় খান্দানের মধ্যে নবীজির মর্যাদা ছিল সূর্যের ন্যায়। অন্তত এটা সকলেই ধারণা করেছিল, এই গোত্রের নেতৃত্ব একসময় মুহাম্মাদের হাতে অর্পিত হবে।

কিন্তু কেউ এটা জানতো না যে, তাকে ছোট একটি গোত্রের নয়, বরং উভয়জাহানের নেতৃত্ব দান করা হবে।

তথ্যসুত্র

মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খন্ড ১। পৃষ্ঠা ২৭৭

আরো পড়ুন

মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের ভয়ঙ্কর ফেতনা

গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো কিভাবে

আবু আব্দুল্লাহ শিয়ায়ীর পরিচয় ও হত্যা

হালিমার বাড়িতে নবীজির শৈশবকাল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top