হিলফুল ফুজুল চুক্তি – মক্কার কিছু সম্মানিত ব্যক্তির উদ্যোগে তৎকালীন সময়ের সুপ্রসিদ্ধ চুক্তি সম্পূর্ণ হয়। সে সময় নবীজির বয়স ছিল ২০ বছর।

এই চুক্তির মাধ্যমে একটা শান্তিচুক্তি করা হয়। এই শান্তিচু্ক্তির আওতায় ছিল কুরাইশ, বনু মুত্তালিব, বনু আসাদ, বনু যোহরা, বনু তাইমসহ আরো অনেক গোত্র।

কেন এই চুক্তি করা হয়

কুরাইশরা কখনো কখনো অহেতুক রক্তপাতে লিপ্ত হতো। তাই এই মাধ্যমে সমাজ থেকে এমন অশ্লীল কর্মকান্ড দূরিভূত করতে চাচ্ছিলেন।

এটা ছাড়াও এই সন্ধির পেছনে আরো একটি প্রত্যক্ষ কারণ ছিল। সেটা হলো,

বনু জুবাইদ গোত্রের এক ব্যবসায়ী তার পণ্য নিয়ে মক্কায় আসে। জনৈক কুরাইশ সরদার আস বিন ওয়াইল তার সব পণ্য ক্রয় করে নেয়। কিন্তু সে কোনো মূল্য পরিশোধ করে না।

জুবাইদ গোত্রের ব্যবসায়ী বারবার মূল্য চেয়ে কোনো ফল পাচ্ছিল না। তাই সে মক্কাবাসীদের নিকট সাহায্য চায়।

তখন নবীজির চাচা যুবাইর ইব আব্দুল মুত্তালিব বলতে লাগলেন, এই লোকটির কি কোনো সাহায্যকারী নেই?

তখন আরো বেশ কিছু সরদার আব্দুল্লাহ বিন জুদআন নামক  এক সরদারের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সেখানে তাদের মাঝে একটি চুক্তি সম্পাদন হয়।

জালিমের মোকাবেলায় এবং মজলুমের সাহায্যে সকলেই এগিয়ে আসবে।

উক্ত মজলিসে ফযল, ফাযালা এবং মুফাযযাল নামে তিনজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিল। তাই এই চুক্তির নামকরণ করা হয়, হিলফুল ফুজুল নামে।

নবীজির অংশগ্রহণ

নবী সা. ও উক্ত চুক্তির মসলিসে উপস্থিত ছিলেন। তাদের এই ইনসাফপূর্ণ কথা ও স্বীকারোক্তিতে তিনি অনেক খুশী হন।

পরবর্তীতে নবীজি বলেছিলেন, এই সন্ধির পরিবর্তে যদি আমাকে লাল উট দেয়া হতো তাহলেও আমি তা গ্রহণ করতাম না।

আজও যদি কেউ আমাকে এমন সন্ধির জন্য আহবান করে, তাহলে আমি উক্ত ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত।

তথ্যসুত্র

মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খন্ড ১। পৃষ্ঠা ২৬৮

আর রাহিকুল মাখতুম। পৃষ্ঠা ৬৭

আরো পড়ুন

মহানবীর সিরিয়া সফর

মুসায়লামাতুল কাজ্জাব এর ফেতনা

আবু বকরের যুগে ফেতনার আত্মপ্রকাশ

শিয়া মতবাদ ও আকীদাগত বিচ্যুতি

Scroll to Top