মহানবীর সিরিয়া সফর – শিশু বয়সে মা আমেনার মৃত্যুর পর মুহাম্মাদ তার দাদার নিকট লালিত-পালিত হন। তবে দাদাও বেশিদিন বেঁচে থাকেন নি।
দাদা মারা যাওয়ার পর তিনি তার চাচা আবু তালেবের নিকট লালিত পালিত হতে থাকেন। আবু তালেব মুহাম্মাদকে অন্যান্য সন্তানদের ন্যায় স্নেহ করতেন।
যাকে দেখলে বৃষ্টি হয়
একবার মক্কায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। অনাবৃষ্টির কারণে চারিদিকে হাহাকার অবস্থা। কুরাইশরা বারবার দোয়া করেও কোনো ফল পাচ্ছিল না।
তারা কা’বার রক্ষক আবু তালেবের নিকট আসলো। মক্কার লোকেরা আবু তালেবকে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করলো।
আবু তালেব তখন এক বালককে (শিশু মুহাম্মাদকে) সাথে নিয়ে বের হলেন। আবু তালেব বালকটিকে নিয়ে কা’বা গৃহের সামনে উপস্থিত হলেন।
তিনি বালকটির পৃষ্ঠদেশ কা’বাগৃহের সাথে লাগিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর আকাশে মেঘ জমতে লাগলো। খানিকবাদেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো।
শাম সফর
মহানবীর সিরিয়া সফর – রাসূল সা. এর বয়স যখন বারো বছর তখন তিনি তার চাচার সাথে শাম সফরের জন্য বের হন। সে সময় আবু তালেবের কাফেলা সীমান্ত নিকবর্তী এলাকা বুসরার পাশে যাত্রা বিরতি করে।
জায়গার পাশেই ছিল এক পাদরীর সাধনাগৃহ। তাতে এক পাদ্রী বসবাস করতো। সাধারণত এই পাদ্রী গির্জা থেকে বের হতেন না।
পাদ্রী বুহাইরা
সেদিন পাদ্রী কাফেলার সকলের মেহমানদারীর আয়োজন করলো। তখন তিনি বালক মুহাম্মাদকে দেখে বললেন,
এই ছেলেটি রাহমাতুল্লিল আলামিন। সাইয়্যিদুল মুরসালিন। বিশ্বপ্রতিপালকের রাসূল।
আবু তালিব বুহাইরাকে বললো, আপনি কিভাবে জানলেন?
বুহাইরা বললো, যখন তোমরা এই স্থানে আসলে তখন এখানকার প্রতিটি বৃক্ষ কিংবা পাথর এই ছেলেটির সম্মানে অবনত হচ্ছে। আর তার কাঁধে রয়েছে মহরে নবুওতের চিহ্ন।
এরপর পাদ্রী তাকে বললেন, এই ছেলেটিকে শামে নিবেন না। সেখানকার ইহুদীরা যদি এই ছেলেকে দেখে তাহলে তাকে হত্যা করে ফেলবে।
ফলে আবু তালেব নবীজিকে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মক্কায় পাঠিয়ে দেন।
তথ্যসুত্র
১. মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খন্ড ১
২. আর রাহিকুল মাখতুম