এক ঢিলে দুই পাখি

এক ঢিলে দুই পাখি – আবু হাফস ।

শুক্রবারে হাতে তেমন কোনো কাজ থাকে না। আলসামো করেই দিনটি কাঁটিয়ে দেই। তাকের উপরো পুরোনো ডায়েরীটি শেষ কবে রেখেছিলাম মনে নেই। কি মনে করে যেন আজ ডায়েরীটা হাতে নিলাম।

আনমনে পৃষ্ঠা উল্টাতে লাগলাম একটার পর একটা। তেমন উৎসাহ পাচ্ছি না লেখাগুলো দেখে। হঠাৎ ১১২ নং পেজে এসে চোখ আঁটকে গেল একটা লেখায়।

এক ঢিলে দুই পাখি

লেখা তাতে

২০১৯ সালের কথা। আমি তখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। আমি আমার ইনস্টিটিউট এর কাছাকাছি একটা মেসে থাকতাম।

যেহেতু আমি আমার জীবনে প্রতিটি কাজে ইসলামকে ফলো করতাম সেহেতু নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করতাম।

গায়রে মাহরাম থেকে দূরে থাকতাম এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলতাম না। গালিগালাজ ও করতাম না।

মোটকথা আমি ইসলামিক বিধানগুলোকে মেনে চলার সর্বদা চেষ্টা করতাম। এখনো আলহামদুলিল্লাহ করে থাকি।

আমি কলেজ এলাকায় প্রায় দুই-আড়াই বছর কাটিয়ে ফেলেছি।

মানুষের সাথে তেমন একটা মিশি না আমি। তাই ওই এলাকার কম মানুষই আমাকে চিনে।

আমি যেই মসজিদে নামাজ পড়ি ওই মসজিদে এক মুরুব্বি নামাজ পড়তো। ঐ মুরুব্বি সামনে কখনো পড়লে শুধু সালাম দিতাম।

এর বেশি কোন কথা বলতাম না।  ঐ মুরুব্বির ছেলেও নামাজ পড়তে আসতো মসজিদে।

আমি প্রতিদিন নামাজ পড়ার পর সকালে হাঁটতে বের হতাম। তার ছেলেও হাঁটতে বের হতো।

এরপর একদিন

হঠাৎ করে একদিন সে আমার সাথে কথা বলতে লাগলো। আমি অবাক হয়ে গেলাম, কারণ যে মানুষটার সাথে আমার দুই আড়াই বছর ধরে দেখা হচ্ছিল কিন্তু তার সাথে কোন কথা হয়নি আজ সে আমার সাথে কথা বলছে। স্বাভাবিক হতে খানিকটা সময় লাগলো।

তার নাম জানা হলো। বাবা-মায়ের দেয়া নাম উসমান। আর সে আমার থেকে দুই বছরের বড়।

আস্তে আস্তে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক হয়ে গেল।

সেদিনের পর থেকে ওসমান ভাই আর আমি একসাথে সকালে হাঁটতাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতাম।

আস্তে আস্তে সে আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে গেল আমিও তার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে গেছিলাম।

জানা বলতে সে কি করে? তার চিন্তা ভাবনা কি? চরিত্র কেমন? তার লক্ষ্য কি? এইসব।

মাসখানেক পর  ফজরের নামাজের পর ওসমান ভাই এবং তার বাবা আমাকে দাওয়াত দিলেন।

বলে রাখা ভালো

ওসমান ভাই এলাকায় স্থানীয়। তার বাবা পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। যদি শুধু ওসমান ভাই দাওয়াত দিতো তাহলে আমি মানা করে দিতাম।

কিন্তু তার বাবাও ছিল তাই আমি দাওয়াত গ্রহণ করলাম।

আমি ভাবলাম ওসমান ভাই তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করবে, তাই আমাকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।

এ জন্য ঠিক কি কারণে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি।

রাতে দাওয়াত খেতে আমি ইচ্ছে করে একটু দেরি করে গিয়েছিলাম কারণ খেয়েই তাড়াতাড়ি চলে আসব কিন্তু গিয়ে দেখি তার বাসায় কোন মেহমান নাই।

আমি তাকে আস্তে আস্তে ওসমান ভাই কে বললাম, সব মেহমান কি খেয়ে চলে গেছে। সে হেসে হেসে বলল, চলো খেতে যাই।

খাওয়ার পরে ড্রয়িং রুমে বসলাম দুই চার মিনিট যেতে না যেতেই এক এক করে ওসমান ভাইয়ের আত্মীয়রা আসতে লাগলো আত্মীয় বলতে শুধুমাত্র তার দুই চাচা।

আমি একটু লজ্জাবোধ করলাম মনে মনে বললাম, এত তাড়াতাড়ি চলে আসলাম। বলে রাখা ভালো তার দুই চাচাই আলেম।

তার চাচারা আমার সাথে কথা বলতে লাগলো আস্তে আস্তে তার চাচারা এবং তার বাবা আমার পরিবার সম্পর্কে বলতে লাগলো।

আমি অবাক হয়ে গেলাম তারা কিভাবে আমার পরিবার সম্পর্কে এত কিছু জানলো?

কিংকর্তব্যবিমুঢ়

ওসমান ভাই কে তো আমি এতকিছু বলিনি। তারা বলল, চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা তোমার ইনস্টিটিউট এ গিয়ে তোমার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি।

তোমার গ্রামে গিয়েছি, তোমার স্কুলও গিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি তারা বলতে লাগলো।

আমি তখন বুঝতে পারছিলাম না কি বলবো? কি হচ্ছে আমার সাথে?

আমি ওসমান ভাইয়ের দিকে তাকালাম ওসমান ভাই হাত দিয়ে ইশারা দিল সমস্যা নাই।

আরো কতক্ষণ কথোপকথন হলো তারাও তাদের সম্পর্কে বলল।

হঠাৎ একটা প্রস্তাব আসলো। যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। এমনটি কখনো ভাবিও নি।

প্রস্তাবটা হলো

ওসমান ভাইয়ের ছোট বোনকে বিয়ে করার। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম।

ওসমান ভাই এক গ্লাস পানি আমার সামনে এগিয়ে দিল আমি ঢক ঢক এক গ্লাস পানি নিমিষেই শেষ করে ফেললাম।

আমি স্বভাবগতই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভাবতেছিলাম কি হচ্ছে আমার সাথে? আমি নিজেকে সামলে নিয়ে সাথে সাথে বললাম,

আমাকে একটু সময় দিন আমি চিন্তা ভাবনা করে মতামত দিব।

সালাম দিয়ে সবার অনুমতি নিয়ে কোনমতে তাদের ঘর থেকে বের হলাম মেসে গিয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লাম। মাথা ঠিকভাবে কাজ করছে না।

খানিকক্ষণ বাদে ভাবলাম যখন সুযোগ যখন পেয়েছি বিয়েটা এবার করেই ফেলবো। সকালে আবার ওসমান ভাইয়ের সাথে দেখা হল।

আমি বললাম, যদি আমি মেয়েকে পছন্দ করি এবং মেয়ে যদি আমাকে পছন্দ করে তাহলে আমি বিয়ে করবো।

কিন্তু একটা সমস্যা আমার বাবা-মা কোনমতেই রাজি হবে না।

তিনি বললেন, তুমি চিন্তা করো না আমরা সবাই ভালো করেই জানি রাজি হলে ভালো রাজি না হলে সমস্যা নেই যদি তোমার সাহস থাকে তাহলে তোমাকে বিয়ে করাব।

আমি বললাম, আমার তো সেই সাহস আছে। সব কথাবার্তা তো আর উল্লেখ করা সম্ভব হয় না আর আমার অনেক কিছু মনেও নেই সেই দিন সকালে উনার সাথে অনেক কথা হয়েছিল।

সব মিলিয়ে বলা যায় আমার বাবা-মা রাজি না থাকলেও যদি আমাদের দুজনের মত থাকে আমাদের বিয়ে  দিবেন।

আবার আমার কোন ইনকামও নেই তারপরও তারা রাজি।

সেদিনই আমরা একজন আরেকজনের সাথে কথা বলার সুযোগ পেলাম দুজনেই একজন আরেকজনকে পছন্দ করলাম।

আমার পরিবারের মতামত ও বিয়ে

ওসমান ভাই ও তার বাবা মিলে আমার বাবাকে ফোন দিল। তারা সব কথা বলিনি তারা শুধু বলেছিল,

আমাদের আপনার ছেলেকে পছন্দ হয়েছে জবাবে আমার বাবা বলেছিল, আমার ছেলে এখনো ছোট মানুষ তার বিয়ের বয়স হয়নি বলে ফোনটি রেখে দিল।

তারা কতক্ষণ হাসলো। ওসমান ভাই বলল, কালকে সকাল সকাল রেডি হয়ে এসো আমি ভাবলাম তাদের আত্মীয় আসবে আমাকে পরিচয় করাবে।

সকালে রেডি হয়ে গেলাম কি ভাবলাম আর কি হলো। দেখলাম কাজী বসা আমিও বসে গেলাম বিয়ের পিঁড়িতে।

চিন্তা করছিলাম বিয়ের মোহরানা কি দিব এই গরিবের কাছে তো কিছুই নেই। তারা প্রস্তাব দিল এক বছর  তাদের দোকানে খাটতে হবে আমি তো রাজি।

থাকবো কোথায় তারা প্রস্তাব দিল তারা প্রথম থেকেই তাদের বাসার একটা ফ্লাট খালি করে রেখেছে। আমি বললাম, আমি যৌতুক নিব না।

তারা বলল, এটা যৌতুক  না এটা ধার হিসেবে থাকবে তোমার কাছে যখন তোমার হাতে টাকা আসবে তখন ফ্লাট ভাড়া ফেরত দিয়ে দিবে।

আমি তখন বললাম আমার খাবারের সমস্যা নেই আল্লাহর রহমতে প্রতি মাসে যে টাকা বাসা থেকে পাই তা দিয়ে দুজনে চলে যাবে অনায়াসেই।

আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হল আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আল্লাহর রহমতে দিনগুলো ভালই কাটছিল।

আমি ভেবে রেখেছিলাম

যখন আমার বাবা-মা বিয়ের কথা বলবে তখন আমি আমার কাজ ফাঁস করব।

আর আমি ভালো করেই জানতাম চাকরি হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার বিয়ে নিয়ে কোন কথা আমাদের ঘরে চলবে না।

প্রতি মাসে দুই-তিন দিনের জন্য আমি বাসায় যাই। বিয়ের কয়েক মাস পর আমার বাবা-মা খেয়াল করল আমি আগের থেকে অনেক বদলে গেছি।

আগে তো গায়রে মাহরাম থেকে দূরে থাকতাম এখন দশ কদম দূরে থাকি। ইসলামের বিধান গুলোর প্রতি তাদের জ্ঞান না থাকার ফলে তারা ভাবল আমি মেয়েদেরকে ঘৃণা করি।

বিয়ের পরে বাবার কান্ড

আমি যতটুকু জানতে পেরেছি বাবা অনেকের সাথে পরামর্শ করেছিল। তারা সবাই বলেছে তাকে বিয়ে করিয়ে দেও আমার বাবা মা সিদ্ধান্ত নিল আমাকে বিয়ে করিয়ে দিবে।

কিন্তু কিভাবে দিবে? আমি কি এত সহজেই তাদের কথা মানবো?

হঠাৎ একদিন আমার মা ফোন করে বলল তাড়াতাড়ি বাসায় আয় আর সাথে সাথে ফোনটা কেটে দিল আর কেউ আমার ফোন ধরছিল না।

আমি বুঝেছিলাম কোন একটা সমস্যা হয়েছে। বাসায় এসে দেখি এত এক মহা কান্ড।

আমি ভেবেছিলাম আমার বাবা মারা গেছে কারন আমার পরিবারের মুরব্বিরা এবং আমার চাচাতো  ভাইয়েরা সেখানে উপস্থিত ছিল।

হঠাৎ উপস্থিত জনতা ভিড় থেকে আমার বাবা আমার কাছে আসলো এবং আমাকে তার রুমে নিয়ে গেল। আস্তে আস্তে সবাই সেই রুমে জড়ো হল।

আমাকে একটা চেয়ারে বসতে দিল আমি ভয় পেয়ে গেছি কারণ আমি ভাবলাম তারা জেনে গেছে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।

আমি কোন মতে মাথাটা ঠান্ডা করলাম বললাম, কি হয়েছে? সবাই বলল, আজকে তোমার বিয়ে হবে। আমি বললাম,কি? মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।

আমার চাচাতো ভাইয়েরা বলল, বুঝোনাই চাচায় তোমার জন্য মেয়ে ঠিক করছে এবং মেয়ের বাপের সাথে ওয়াদা করছে আজকে তোমার সাথে তার বিয়ে দিয়ে দিবে। আমি বললাম আমি পারবো না।

প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন হবে আমাকে বুঝালো। আমি আবার বললাম, আমি পারবো না। তারপর সবাই রেগে গেল যা ইচ্ছা তাই কর বলে চলে গেল।

বাবা-মায়ের করুণ অবস্থা

আমার এই সিদ্ধান্ত দেখে আমার বাবা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেল। কোথা থেকে যেন আমার মা কাঁদতে কাঁদতে রুমে আগমন করলো।

আমার মা কাঁদতে কাঁদতে বলল, আজকে যদি আমার জামাই মারা যায় তাহলে এর জিম্মাদার হবি তুই।

আর শোন, “”তোর কারণে একটা মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। এমনিতেই এই বাংলাদেশে মেয়ে বিয়ে দেওয়া যে কষ্ট। তার ওপর বিয়ের দিন রিজেক্ট করা মেয়ে। তাকে কে বিয়ে করবে?””

শেষ পর্যন্ত হ্যাঁ বললাম

আমি আবার হালকা আবেগি শুধুমাত্র সেই মেয়ের চিন্তা করে আমি নিরুপায় হয়ে হ্যাঁ বললাম। তারপর সবাই মিলে আমার ওয়াদা নিল যে, আমি ভাগবো না এবং সেই মেয়ের সাথে বিয়ে করব।

আমি আমার এক চাচাতো ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, বিয়ে কখন হবে? সে বলল,

বিয়ে আরো দুদিন পরে হবে। আমি কিছুই বুঝলাম না সবাই মিলে আমাকে বলেছিল আজকে তোর বিয়ে।

আমি এই রহস্য উদঘাটনে অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আর এদিকে প্রথম আহলিয়া বারবার ফোন দিচ্ছে। অনেকক্ষণ পর যখন একলা থাকার সুযোগ পেলাম।

তখন আহলিয়া কে ফোন দিলাম সাথে সাথে তার বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম।

আমি সত্যের আশ্রয় নিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে তার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলাম এবং তাকে বুঝতে দেইনি যে আমার দ্বিতীয় বিয়ে হবে।

কঠিন সত্য কথা

দুইদিন পর বিয়ে করলাম। বিয়ের পর তিন দিন কেটে গেল। আমার দ্বিতীয় আহলিয়া কাছে “দুইদিন পরে বিয়ের” রহস্যটা জানতে চাইলাম।

সে বলল, “সব সাজানো নাটক। আমার পরিবারের শুধু কয়েকজন জানতো আপনার সাথে আমার বিয়ে হবে।

যদি আপনি রাজি হন তাহলে আমার আর আপনার বিয়ে হত আপনি রাজি না হলে বিয়ে হত না।

আপনি রাজি হওয়ার সাথে সাথে আমরা বিয়ের প্রস্তুতি নিলাম এজন্য দুইদিন পর আমাদের বিয়ে হল”।

আমার বুঝতে আর দেরি হলো না তারা আমার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে।

তারপর কয়েকদিন উঠে পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি।

আল্লাহ আমাকে বুদ্ধি দাও, আমি কিভাবে দুই পরিবারকে বলবো,

আমি যেন দুই আহলিয়ার মধ্যে ইনসাফ কাইম করতে পারি, আমি যেন একজনের জন্য আরেকজনকে তালাক না দেই ইত্যাদি ইত্যাদি।

হঠাৎ একদিন মাথায় বুদ্ধি আসলো কয়েক  দিনের জন্য নিজেকে আত্মগোপন করতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ আত্মগোপনের আগে দুই পরিবারকে সত্যতা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলাম।

যদি তারা নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে ফেলে আমি চলে আসবো। আর না হলে আর কোনদিনই আসবো না। আল্লাহর কসম।

আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া তারা বুঝতে পেরেছে। দুই পরিবার আমার দুই বিয়ের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। তারা সময় নিয়ে ছিল প্রায় ২০-২৫ দিনের মতো।

আমি যখন এতোদিন পর বাসায় গেলাম আমার বাবা আমাকে দেখে একটাই কথা বলেছিল,” এক ঢিলে দুই পাখি ”

আরো পড়ুন

গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়

রিযিক সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

বিবাহের সুন্নত ও অন্যান্য কাজ

বিবাহের বিধান ও শর্তাবলী

ইসলামে বহুবিবাহ

১. এক ঢিলে দুই পাখি

২. এক ঢিলে দুই পাখি

৩. এক ঢিলে দুই পাখি

৪. এক ঢিলে দুই পাখি

Abdur Rahman Al Hasan
Scroll to Top