একাকী সময় উপভোগ – হয়তো আপনি ভাবছেন, সবকিছুতেই বিরক্তি ধরে গেছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বাবা-মা, ভাই-বোন কাউকেই সহ্য হচ্ছে না।

তাদেরকে দেখলেই আপনার রাগ কয়েকশত ডিগ্রি বেড়ে যায়। সেটা হতে পারে,

তাদের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে মনমালিন্য হওয়ায় এমনটা হয়েছে। অথবা হতে পারে, আপনি নিঃসঙ্গতার রোগে আক্রান্ত।

কারো সাথে কথা বলতে, কাজ করতে আপনি পছন্দ করেন না। আপনি নিজের ভুবনেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এমন অভ্যাস বিভিন্ন কারণে হতে পারে।

আমাদের একাকী থাকার সময়গুলোকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে পারি।

ভালো কাজের তুলনায় আমরা একাকী থাকলে খারাপ কাজটাই বেশি করার চেষ্টা করি।

এটা থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ। বর্তমান সময়টা হলো টেকনোলজির যুগ। যত দিন যাচ্ছে, নতুন নতুন জিনিষ উদ্ভাবন হচ্ছে।

নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। নতুন নতুন বিজনেস আসছে। এমনকি নতুন নতুন প্ল্যানও আসছে। আমাদের উচিৎ সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আপগ্রেড করা।

একাকী থাকার সময়টাতে আপনি স্কিল বাড়াতে পারেন। আপনার যেই বিষয়ে আগ্রহ আছে, সেটিতে আরো দক্ষতা অর্জন করুন।

আপনার যদি কম্পিউটারের কাজ শিখতে আগ্রহ থাকে, তাহলে আজই শুরু করে দিন।

যেটি আপনি জানেন না, সেটি জানার চেষ্টা করুন। নোট করুন।

যদি আপনার রান্নাবান্না পছন্দ থাকে, তাহলে পছন্দের খাবারটি রান্না করে নিজে চেখে দেখুন।

একাকী থাকা সময়টাতে আমরা যত ব্যস্ত থাকবো, তত আমাদের জন্য সুবিধা।

একজন মুসলিম হিসেবে একাকী থাকা সময়টাতে আমরা কুরআন তেলওয়াত শুনতে বা পড়তে পারি। আল্লাহকে স্বরণ করা উচিৎ বেশি বেশি।

যদি হালালপন্থায় অর্জনকৃত আপনার প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে, তাহলে কাঁধে মাথা রেখে তাকে আপনার একাকিত্বের কথা বলুন।

পরষ্পর পরষ্পরকে বুঝুন। কথা বলুন। নিজেদের সোনালী শৈশব, ভবিষ্যত প্ল্যান, উম্মাহকে নিয়ে ভাবনা পরষ্পরের নিকট শেয়ার করতে পারেন।

এটি নিজেকে অনেক হালকা করবে। প্রয়োজনে কোথাও দুজন মিলে ঘুরতে যান। আর যদি আপনি অবিবাহিত হোন তাহলে বইকে নিজের সঙ্গী বানান।

ভালো বই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে। খারাপ বই আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। এখন সিদ্ধান্ত নিন, কোনটি আপনি গ্রহণ করবেন?

একাকী সময় উপভোগ করুন বই পড়ে কিংবা কুরআন তেলওয়াত শুনে।

Scroll to Top