শামে প্লেগ এবং সাহাবীগণ – বাইতুল মাকদিস তখন সবেমাত্র মুসলমানদের হাতে আসলো। ১৭ হিজরীর শেষের দিকে শাম ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় কয়েকমাস পর্যন্ত রোগ সংক্রমণ হতে থাকে। বহুলোক এতে আক্রান্ত হয়। অনেকেই মৃত্যুবরণ করে। মহামারি মারাত্মক আকারে ধারণ করে।
মহামারিতে সাহাবীগণ
সে সময় শামে অবস্থিত মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীও এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন একটি করে জানাযা অনুষ্ঠিত হতো।
মুসলিম সেনাপতি আবু উবাইদা রাঃ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে উক্ত এলাকায় অবস্থান করছিলেন। কেননা নবীজি বলেছেন,
কেন ওমর রাঃ খালিদ রাঃ কে পদচ্যুত করলেন? পড়ুন এখান থেকে
তোমরা যদি মহামারি কবলিত এলাকায় অবস্থান করো তাহলে উক্ত এলাকা থেকে বের হইয়ো না।
আর যদি তোমরা উক্ত এলাকার বাহিরে থাক তাহলে তাতে প্রবেশ করিও না।
খলিফা হযরত ওমর রাঃ মহামারিতে আক্রান্ত সাহাবীদের ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন।
তিনি নিজে শামে গিয়ে মুজাহিদদেরকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু সেনাপতি আবু উবাইদা রাঃ বললেন, এটা তো তাকদীর থেকে পলায়নের নামান্তর।
হযরত ওমর রাঃ সেনাপতি আবু উবাইদাকে সেখান থেকে বের করতে চাইলেন।
তাই তিনি তার নিকট মদীনা থেকে চিঠি লিখেন, জরুরি প্রয়োজনে তুমি আমার নিকট চলে আস। কিন্তু সেনাপতি বুঝতে পারলেন উমর রাঃ এর উদ্দেশ্য।
তাই তিনি জবাব দিলেন, আমি এমন এক বাহিনীর সাথে আছি। যাদের থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হতে চাই না।
ওমরের দ্বিতীয় চিঠি – শামে প্লেগ
ওমর রাঃ পূনরায় চিঠি পাঠালেন আবু উবাইদা রাঃ এর নিকট। বললেন, আপনারা উঁচু কোনো ভূমিতে চলে যান।
তখন সেনপতি আবু উবাইদা রাঃ মুসা আশআরী রাঃ কে দায়িত্ব দিলেন।
কিন্তু মুসা আশআরী রাঃ এর স্ত্রী তখন প্লেগে আক্রান্ত ছিল। তাই আবু উবাইদা নিজেই ভূমির খোঁজে বের হন।
কিন্তু পথিমধ্যেই তিনি প্লেগে আক্রান্ত হন।
জীবন বীমা কাকে বলে? ইসলামে জীবন বীমা করা জায়েজ আছে নাকি? জানুন এখান থেকে
এর কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই মহামারিতে অনেক বড় বড় সাহাবীর মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন,
মুআজ বিন জাবাল রাঃ, ইয়াজিদ বিন আবু সুফিয়ান রাঃ, হারিস বিন হিশাম রাঃ, সুহাইল বিন আমর রাঃ , উকবা বিন সুহাইল রাঃ, আমের বিন গায়লান রাঃ সহ আরো অনেক সাহাবী।
এই মহামারিতে প্রায় ২৫ হাজার মুসলমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়। এরপর আল্লাহ মুসলমানদের এই মহামারি থেকে মুক্তি দান করেন।