বাইতুল মাকদিস বিজয়ের কিছুদিন পরেই হযরত ওমর রাঃ বিখ্যাত সাহাবী খালিদ বিন ওয়ালিদের পদচ্যুত করেন। এটি ১৭ হিজরীর ঘটনা।

খালিদ রাঃ কে পদচ্যুতি করার পর একটি ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। অনেকেই ভেবে বসেন, হয়তো ওমর রাঃ খালিদ রাঃ কে পছন্দ করতেন না।

অথবা তিনি তার বিজয়ের ধারাকে ভালো চোখে দেখতেন না। এটি নিঃসন্দেহে একজন সাহাবীর উপর অপবাদ স্বরুপ।

কেন ওমর রাঃ খালিদ বিন ওয়ালিদের পদচ্যুত

হযরত ওমর রাঃ খলিফা হওয়ার পর পর শামের সেনাপ্রধান হিসেবে আবু উবাইদা রাঃ কে নির্বাচন করেন।

কারণ, আবু উবাইদা রাঃ যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন অভিজ্ঞ ছিলেন তেমনি রাজনীতিতেও তেমনি অভিজ্ঞ ছিলেন।

এরপর খালিদ রাঃ আবু উবাইদা রাঃ এর নেতৃত্বে অনেক যুদ্ধ করেন। এরপর ওমর রাঃ ১৭ হিজরীতে খালিদ রাঃ কে পদচ্যুত করেন।

মুসলমানদের দামেষ্ক অবরোধ ও রোমানদের সাথে যুদ্ধ, পড়ুন

কারণ, ততদিনে তিনি বয়ষ্ক হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি যেই যুদ্ধেই থাকতেন সেটিতেই বিজয় অর্জন হতো। এতে নওমুসলিমদের মাঝে ভুল প্রভাব পড়তে পারে।

তারা খালিদ রাঃ কে অপরাজেয় হিসেবে ভেবে নিজের ঈমান আকীদা নষ্ট করতে পারে ভেবে ওমর রাঃ তাকে পদচ্যুত করেন।

কারণ ওমর রাঃ কোনো ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও ইসলামের বাহিরের কোনো কিছুকে আমদানি করা বরদাশত করতে পারতেন না।

খালিদ বিন ওয়ালিদের পদচ্যুত

ওমর রাঃ এর ঘোষণা

হযরত ওমর রাঃ সে সময় সাহাবাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, হয়তো তোমরা ভাবছো যে, আমি ইর্ষাবশত খালিদকে অব্যহতি দিয়েছি।

কিন্তু সত্য হলো, আমি শঙ্কাবোধ করি মানুষ তার সামরিক কীর্তির কারণে ধোঁকায় পড়ে যাবে।

বিখ্যাত রোমান সম্রাট কিসরার মুকুট কিভাবে মুসলমানদের হস্তগত হলো, পড়ুন

এতে তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কারণ, বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। কোনো মানুষের কৌশলের কারণে নয়।

খালিদ রাঃ এর মৃত্যু

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রাঃ মৃত্যুবরণ করেন পদচ্যুতির ৪ বছর পর। তখন তিনি এমোসা নামক শহরে থাকতেন।

সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর পূর্বে তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন যে, তিনি শহীদ হতে পারেন নি। তখন তার স্ত্রী বললো,

আপনাকে তো আল্লাহর তরবারি উপাধী দেয়া হয়েছে।

আর আল্লাহর তরবারী তো কখনো ভাঙ্গতে পারে না। তাই আপনি শহীদ হিসেবে নয়। বরং বিজয়ী হিসেবে মৃত্যুবরণ করছেন।

BTS ব্রান্ডের সমকামিতা ছড়ানো ও বাঙালী নারীদের উথাল পাথাল মন

আরো পড়ুন, আল্লাহ কি আমাদের সম্মতি না নিয়েই আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন?

Scroll to Top