ইংরেজিতে (Transgender) ট্রান্সজেন্ডার আর বাংলায় রূপান্তরকামিতা বা রূপান্তরিত লিঙ্গ একই জিনিষ। একজন পুরুষ যদি নিজেকে মহিলা দাবী করে বা একজন মহিলা যদি নিজেকে পুরুষ দাবী করে, তাহলেই তাকে রুপান্তরকামিতা বা ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়।
এখন কোনো ট্রান্সপুরুষ তথা যেই মহিলা নিজেকে পুরুষ বলে দাবী করছে,
তার যদি মাসিকও হয়, সন্তানও হয়, যৌনাঙ্গ থাকে তাতেও কোনো সমস্যা নেই। তাকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আবার কোনো ট্রান্সমহিলা তথা যেই পুরুষ নিজেকে মহিলা বলে দাবী করছে,
সে যদি তিন/চার বাচ্চার বাপও হয়, লিঙ্গও থাকে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাকেও ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
ট্রান্সজেন্ডারবাদের প্রধান দাবী হলো, জন্ম যেই শরীরেই হোক না কেন,
যে নিজেকে পুরুষ বলে দাবী করবে, সে পুরুষ হিসেবে আইনি ও সামাজিকভাবে বিবেচিত হবে।
আর যে নিজেকে নারী বলে দাবী করবে, সে নারী হিসেবে আইনি ও সামাজিকভাবে বিবেচিত হবে। চাই সে শারিরীকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকুক!
ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামিতা আন্দোলন একটা সময় পশ্চিমাবিশ্বে শুরু হলেও এখন তা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে। এর বিষ মুসলিম দেশগুলোতেও পড়ছে।
বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে সুকৌশলে চক্রান্ত করে এই মানসিক ভারসাম্যহীন চিন্তাধারা প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে এবং একবার করেও ছিল।
ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন
ট্রান্সজেন্ডাররা এমন এমন শব্দ ব্যবহার করে তাদের নীতি প্রচার করছে যে,
প্রথমে একজন ব্যক্তির মনে হবে এটা হয়তো হিজড়াদের কোনো আইন।
বিভিন্নভাবে ধোঁয়াশায় ফেলে এই নীতিমালা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে সর্বত্র। বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়াগুলো তো আরো একধাপ এগিয়ে।
কুরুচিপূর্ণ হেডলাইন এবং বাস্তবতাবিবর্জিত টাইটেল দিয়ে তারা খবর প্রচার করছে। প্রথমে দেখে মনে হবে, আসলেই কি এটা ঘটেছে?
ভেতরে মূল খবর পড়ার পর বুঝবেন, হেডলাইনের সাথে খবরের কোনো মিল নেই। দেশের জাতীয় একটি পত্রিকার শিরোনাম ছিল এমন,
“প্রথম মা হলেন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ”। দেখে তো মনে হচ্ছে কোনো পুরুষ হয়তো মা হয়েছে। কিন্তু ভেতরের মূল খবর দেখলে দেখবেন,
কোনো মহিলা নিজেকে পুরুষ বলে দাবী করেছে, তাই সে ট্রান্সপুরুষ হয়ে গেছে। এখন তার বাচ্চা হয়েছে। মহিলাদের তো বাচ্চা হবেই!
কিন্তু তারা এমনভাবে জিনিষটা ফোকাস করছে, যেন পুরুষ বাচ্চা দিয়েছে!
তথ্যসুত্র
ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ, আসিফ আদনান। বইটির পিডিএফ পড়ুন
সন্তান প্রতিপালনে এ যুগের চ্যালেঞ্জ, ড. সরোয়ার হোসেন