বদরের যুদ্ধে ওমর রাঃ এর অবদান

বদরের যুদ্ধে ওমর রাঃ – বদর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে হযরত ওমর রাঃ রাসূল সাঃ এর সাথে আলোচনাসভায় বসলেন। আলোচনাসভার শুরুতে আবু বকর রা. সারগর্ভ ভাষণ দেন।

এরপর ওমর রাঃ দাঁড়িয়ে হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য দেন এবং কাফেরদের সাথে যুদ্ধের আহবান জানান। যুদ্ধে ওমর রাঃ এর আজাদকৃত গোলাম মিহজা মুসলমানদের প্রথম শহীদ হন।

যুদ্ধে ওমর রাঃ তার মামা আস বিন হিশামকে হত্যা করেন। তার নিকট ঈমানের দায়বদ্ধতার তুলনায় আত্মীয়তার সম্পর্ক খুব নগণ্য ছিল।

এ নিয়ে তিনি গর্ববোধ করতেন। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নবীজি মুশরিক যুদ্ধবন্দীদের কি করা হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসলেন।

যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে ওমর রাঃ এর সিদ্ধান্ত

যখন বদরের সময় যুদ্ধবন্দী হিসেবে নবীজির চাচা আব্বাস যুদ্ধবন্দী হলেন তখন ওমর রাঃ খুব করে চাচ্ছিলেন যে, তিনি যেন মুসলিম হয়ে যান।

তিনি বললেন, আব্বাস তুমি মুসলমান হয়ে যাও। আল্লাহর কসম! যদি তুমি মুসলমান হও তাহলে সেটি আমার নিকট খাত্তাবের মুসলমান হওয়ার চাইতেও বেশি ভালো লাগবে।

কারণ, আমি আল্লাহর রাসূল সা. কে দেখেছি তিনি চাচ্ছেন – যেন তুমি মুসলিম হয়ে যাও।

বদর যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে কুরাইশদের বক্তা বা মুখপাত্র সুহায়েল বিন আমর ছিলেন। উমর রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

সুহাইলের সামনের দাঁত ভেঙ্গে দেই? এতে তার জিহ্বা বের হয়ে যাবে। তখন আর সে কোথাও দাঁড়িয়ে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না।

তখন নবীজি বললেন, আমি নবী হওয়া সত্ত্বেও তা করবো না। কারণ, যদি সে আমার অঙ্গহানী করতো তাহলে আমি বদলাস্বরুপ তার অঙ্গহানি করতাম।

যেহেতু সে আমার অঙ্গহানি করে নি, তাই আমিও তার অঙ্গহানি করবো না।

হয়তো এমন একদিন আসবে, যেদিন তুমি তার সমালোচনা করবে না। তাকে উত্তম মানুষ হিসেবে পাবে। – বদরের যুদ্ধে ওমর

সুহাইল বিন আমর – বদরের যুদ্ধে ওমর

নবীজির এই কথা সত্য হলো। সুহাইল বিন আমর এক সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। নবীজির মৃত্যুর পর মক্কার কিছু লোক ইসলাম ত্যাগ করতে চাইছিল।

তাদের তৎপরতার কথা জানতে পেরে সুহাইল রা. লোকজনকে একত্রিত করলেন। এরপর বললেন,

কেউ যদি কখনো ইসলামের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে ইসলামের তাতে কোনো ক্ষতি হয় না। উল্টো লাভ হয়।

উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ যদি ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমি তার গর্দান নামিয়ে দিব।

ফলে লোকজন বিদ্রোহ করা ও ইসলাম ত্যাগ করার ইচ্ছা থেকে সরে আসে।

তথ্যসুত্র

জীবন ও কর্ম: ওমর রা.। পৃষ্ঠা ৯২ -৯৫

ওমর রা. কোন মামাকে হত্যা করেন?

আস বিন হিশাম

ওমর রা. নবীজিকে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে কিসের পরামর্শ দিয়েছিলেন

হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top