নারীর ফাঁদ কতটা ভয়ঙ্কর

নারীর ফাঁদ কতটা ভয়ঙ্কর – সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ নারীদের দুর্বল প্রকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাই কখনো কখনো ইচ্ছায় আবার কখনো অনিচ্ছায় তারা পুরুষদেরকে ফিতনার মধ্যে ফেলে দেন।

নারীর ফাঁদ ও শয়তানের ফাঁদের মধ্যে নারীঘটিত ফাঁদকেই কুরআন বড় হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সাধারণত নারীরা বাহ্যিকভাবে কোমল, নাজুক ও অবলা হয়ে থাকে।

এর ফলে তাদের কথা ও অঙ্গভঙ্গিমায় দ্রুত পুরুষরা তাদের বিশ্বাস করে ফেলে।

কিন্তু অভ্যাসের কারণে সেটি তাদের ছলনা হিসেবেই ধরা যায়। পবিত্র কুরআনে সূরা ইউসুফের ২৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,

اِنَّ کَیۡدَکُنَّ عَظِیۡمٌ অর্থ: নিশ্চয় তোমাদের কথা নারীদের ফাঁদ বড়ই মারাত্মক।

কিন্তু শয়তানের ফাঁদের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলা সূলা নিসা এর ৭৬ নং আয়াতে বলেছেন,

اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا অর্থ: নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত বড়ই দুর্বল।

আল্লামা শানকিতি রহ. সূরা ইউসুফের তাফসিরে বর্ণনা করেন,

উপরোক্ত আয়াতদ্বয় খেয়াল করলেই বুঝা যাবে শয়তানের ফাঁদ থেকেও নারীর ফাঁদ বড়ই ভয়ঙ্কর বিষয়।

হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে একটি হাদীস বর্ণিত আছে। যাতে বলা হয়, নিশ্চয়ই নারীর ফাঁদ শয়তানের ফাঁদের চেয়েও গুরুতর।

আবু লাইস সমরকন্দি রহ. বলেন, বিজ্ঞরা শয়তানের ফাঁদ থেকেও নারীর ফাঁদকে মারাত্মক বলেন এই জন্য যে, শয়তান তো ওয়াসওয়াসা আর ধোঁকার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে।

অথচ নারীরা সরাসরি অঙ্গভঙ্গি ও চাক্ষুষ ফিতনার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে অন্যকে ফাঁদে ফেলে। যদিও শয়তানই নারীকে ওয়াসওয়াসা দেয়!

এছাড়াও নারীর ফাঁদ কতটা ভয়ঙ্কর তা আমরা হযরত ইউসুফ আ. এর ঘটনার মাধ্যমে বুঝতে পারি। একজন নবী হয়েও তাকে নারীঘটিত কারণে জেলে যেতে হয়েছে।

আরো বিভিন্ন ঘটনা কিতাবে নারীর ফাঁদ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।

Scroll to Top