খারেজিদের সাথে বিতর্ক – হযরত আলী রা. যখন তার বাহিনী নিয়ে সিফফিন যুদ্ধ হতে কুফা নগরীতে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন খারেজিরা এক বড় দল নিয়ে আলী রা. হতে পৃথক হয়ে যায়।
তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার। তবে এটি নিয়ে বিভিন্ন ইতিহাসগ্রন্থে বিভিন্নরকম বর্ণনা রয়েছে।
আল বিদায়া ওয়ান নিহায় গ্রন্থে বলা হয়েছে, তাদের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থে বলা হয়েছে, তাদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার।
তারিখুল খুলাফা গ্রন্থে তাদের সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ হাজার। তবে এটি ভিত্তিহীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হযরত আলী রা. এর উদ্বেগ
কুফায় পৌঁছার পূর্বেই তাদের এভাবে দলত্যাগ করাটা হযরত আলী রা. কে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। তিনি তার সাথে থাকা বাকীদের নিয়ে কুফায় পৌঁছলেন।
সেখানে পৌঁছার পর হযরত আলী রা. খারেজিদের দল গঠনের খবর পেলেন।
খারেজিরা সালাত বা নামাজের জন্য একজন আমির ও যুদ্ধের জন্য আরেকজন আমির নিযুক্ত করেছে।
তারা তখন খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে তাদের দলে আহবান করছিল।
তারা বলতে লাগলো, এটা আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের পথ।
পড়ুন: খারেজি কারা এবং তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস কি?
অর্থাৎ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের পথে তারা আহবান করছিল।
হযরত আলী রা. তাদের এমন কর্মকান্ড দেখে আরো বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, তারা সৎ কথার মাধ্যমে মানুষকে ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করছিল।
এ ছাড়াও তাদের এসব কর্মকান্ডের দ্বারা মুসলিম জামাতের মধ্যে ফাঁটল দেখা দেয়ার আশংকা ছিল।
তারা যতই অন্যায় করুক, এরপরও আলী রা. চেয়েছিলেন, এরা যেন মুসলিম বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
এই লক্ষ্যে তিনি খারেজিদের সাথে বিতর্ক করার জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. কে তাদের কাছে পাঠান।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এর সাথে খারেজিদের বিতর্ক
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, আমি তাদের নিকট অর্থাৎ খারেজিদের নিকট গেলাম।
তাদের নিকট যাওয়ার আগে আমি ইয়ামেনের তৈরি সুন্দর জামা পরিধান করলাম।
মাথা আচঁড়িয়ে বের হলাম। দুপুরের সময়ে আমি তাদের নিকট পৌঁছলাম। তখন তারা একটি ঘরে সমাবেত হয়ে ছিল।
তারা আমাকে (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. কে) দেখে সম্ভাষণ জানিয়ে বললো, হে ইবনে আব্বাস! এই জামাটি কেমন?
আমি বললাম, এই জামার কারণে আমাকে দোষী ভেব না। আমি রাসূল সা. কে উত্তম হতে উত্তম জামা পরিধান করতে দেখেছি।
কুরআনের সূরা আরাফের ৩২ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
قُلۡ مَنۡ حَرَّمَ زِیۡنَۃَ اللّٰهِ الَّتِیۡۤ اَخۡرَجَ لِعِبَادِهٖ وَ الطَّیِّبٰتِ مِنَ الرِّزۡقِ ؕ قُلۡ هِیَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا خَالِصَۃً یَّوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ کَذٰلِکَ نُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
হে নবী! আপনি বলুন, আল্লাহ্ নিজের বান্দাদের জন্য যেসব শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করেছেন তা কে হারাম করেছে? হে নবী! তাদেরকে বলে দিন, ‘পার্থিব জীবনে, বিশেষ করে কেয়ামতের দিনে এ সব তাদের জন্য, যারা ঈমান আনে। এভাবে আমরা জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করি।
খারেজিরা বললো, হে ইবনে আব্বাস! আপনি কেন এসেছেন?
আমি (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস) বললাম, রাসূলের চাচাতো ভাই ও তার জামাতা এবং তার উপর প্রাথমিক পর্যায়ে ঈমান আনয়নকারী আলী রা. এর প্রতি আপনারা এমন চরমপন্থি মনোভাব পোষণ করছেন কেন?
অথচ তাদের সামনে কুরআন অবতীর্ণ হতো। তারা আপনাদের চেয়েও কুরআনের অর্থ ও মর্ম ভালো বুঝেন। আপনাদের মাঝে তো তার মতো ব্যক্তি নেই।
আমি আপনাদের ও তার চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হতে এসেছি। এ কথা শুনে তাদের মধ্যে ফিসফিসানি শুরু হলো।
কেউ বলছিল, তার কথা শোনা উচিৎ নয়। কেউ বলছিল, তার কথা শোনা উচিৎ। একটু পর সবাই চুপ হয়ে গেল।
পড়ুন: নীলনদের নিকট হযরত ওমর রাঃ এর চিঠি
তখন আমি বললাম, রাসূলের সাহাবী এবং আলীর মধ্যে আপনারা কি কি ভুল দেখতে পাচ্ছেন?
তারা (খারেজিরা) বললো, আমরা তার তিনটি কাজের বদলা নিতে চাই।
আমি বললাম, সেই তিনটি কাজ কি কি?
তারা বললো,
- সিফফিনের যুদ্ধক্ষেত্রে আবু মুসা আশআরী রা. ও আমর ইবনুল আস রা. কে সালিশ নিযুক্ত করে তিনি আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে মানুষকে বিচারক নিযুক্ত করেছেন। অথচ আল্লাহ বলেছেন, একমাত্র আল্লাহর শাসনই চলবে।
- আয়েশা রা. ও মুআবিয়া রা. এর বিপক্ষে তিনি যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তিনি তাদের ধন-সম্পদকে গনিমত হিসেবে ও যুদ্ধবন্দীদের দাস হিসেবে গ্রহণ করেন নি।
- মুসলমানেরা তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে তাকে আমির হিসেবে মেনে নেওয়া সত্ত্বেও তিনি আমিরুল মুমিনিন উপাধী পরিত্যাগ করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বললেন, যদি আমি আপনাদের নিকট আল্লাহর কিতাব ও নবীজির হাদীস থেকে এমন কিছু কথা বর্ণনা করি, যা আপনারা অস্বীকার করতে পারবেন না, তাহলে আপনারা যে বিশ্বাসের উপর আছেন তা থেকে প্রত্যাবর্তন করবেন কি?
তারা সম্মতিসূচক জবাব দিলে আমি (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস) বললাম, আপনাদের অভিযোগ – তিনি দ্বীনের ব্যাপারে মানুষকে বিচারক নিযুক্ত করে অপরাধ করেছেন।
অথচ আল্লাহ সূরা মায়েদার ৯৫ নং আয়াতে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡتُلُوا الصَّیۡدَ وَ اَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ وَ مَنۡ قَتَلَهٗ مِنۡکُمۡ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثۡلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ یَحۡکُمُ بِهٖ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ هَدۡیًۢا بٰلِغَ الۡکَعۡبَۃِ اَوۡ کَفَّارَۃٌ طَعَامُ مَسٰکِیۡنَ اَوۡ عَدۡلُ ذٰلِکَ صِیَامًا لِّیَذُوۡقَ وَبَالَ اَمۡرِهٖ ؕ عَفَا اللّٰهُ عَمَّا سَلَفَ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَیَنۡتَقِمُ اللّٰهُ مِنۡهُ ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیۡزٌ ذُو انۡتِقَامٍ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহরাম থাকা অবস্থায় শিকার করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে শিকার করে, তাহলে তার অনুরূপ গৃহপালিত পশু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোক- কুরবানীর জন্তু হিসাবে কা’বায় পৌঁছতে হবে। অথবা মিসকীনকে খাবার দানের কাফফারা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন, যাতে সে নিজ কর্মের শাস্তি আস্বাদন করে। যা গত হয়েছে তা আল্লাহ ক্ষমা করেছেন। যে পুনরায় করবে আল্লাহ তার থেকে প্রতিশোধ নেবেন। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, চার দিরহাম মূল্যের (প্রায় ৫২০ টাকা) একটি নিহত খরগোশের ব্যাপারে বিচারক নিয়োগ করার তুলনায় মানুষের রক্ত ও জীবন রক্ষা এবং তাদের পারষ্পরিক ঝগড়া-বিবাদ মীমাংসার উদ্দেশ্যে মানুষকে বিচারক করা অধিক যুক্তিসঙ্গত নয় কি?
আর আল্লাহ তো সূরা নিসার ৩৫ নং আয়াতে বলেছেন,
وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ شِقَاقَ بَیۡنِهِمَا فَابۡعَثُوۡا حَکَمًا مِّنۡ اَهۡلِهٖ وَ حَکَمًا مِّنۡ اَهۡلِهَا ۚ اِنۡ یُّرِیۡدَاۤ اِصۡلَاحًا یُّوَفِّقِ اللّٰهُ بَیۡنَهُمَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلِیۡمًا خَبِیۡرًا
যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত।
আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, মুসলমানদের মাঝে সমঝোতা এবং পারস্পরিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ রোধে বিচারক নির্ধারণ করা উত্তম, নাকি মহিলার লজ্জাস্থানের ক্ষেত্রে বিচারক নির্ধারণ করা উত্তম?
তারা (খারেজিরা) বললো, হ্যাঁ এটা ঠিক। মানুষের রক্তের নিরাপত্তা ও তাদের পারস্পরিক বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য বিচারক নিয়োগ করা অধিক যুক্তিসংগত।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি কি আমার প্রমাণ দ্বারা আপনাদের যুক্তি খন্ডন করতে পারলাম?
তারা বললো, হ্যাঁ আপনি পেরেছেন।
এরপর আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বললেন, আপনারা বলেছেন – আলী রা. যুদ্ধ করেছেন আয়েশা ও মুআবিয়া রা. এর বিরুদ্ধে।
কিন্তু তিনি তাদের বন্দি করে দাস-দাসী বানান নি। আপনারা কি চান, আপনাদের মা আয়েশাকে দাসী বানানো হোক আর অন্য দাসীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়, তার সাথেও তেমন আচরণ করা হোক?
উত্তরে যদি হ্যাঁ বলেন তাহলে কাফের হয়ে যাবেন। কারণ শরীয়তে দাসীর সঙ্গে স্ত্রী-সুলভ আচরণ বৈধ। আর যদি বলেন, আয়েশা আমাদের মা নয়। তাহলেও কাফির হয়ে যাবেন।
কারণ আল্লাহ সুরা আহযাবের ৬ নং আয়াতে বলেছেন,
اَلنَّبِیُّ اَوۡلٰی بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ مِنۡ اَنۡفُسِهِمۡ وَ اَزۡوَاجُهٗۤ اُمَّهٰتُهُمۡ
নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর। আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতাস্বরূপ।
এবং আল্লাহ সূরা নিসার ২৩ নং আয়াতে বলেছেন,
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ
তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে।
এখন এই দুটি জবাবের যে কোনো একটি আপনারা বেছে নিন। এরপর আমি (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস) বললাম, আমি কি যুক্তি প্রমাণ দ্বারা আপনাদের কথা খন্ডন করতে পেরেছি?
তারা (খারেজিরা) বললো, হ্যাঁ আপনি পেরেছেন।
সর্বশেষে আমি তাদেরকে বললাম, আপনারা এই অভিযোগ তুলছেন যে, আলী রা. আমিরুল মুমিনীন উপাধী পরিহার করেছেন।
অথচ হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়ে রাসূল সা. ও মক্কার মুশরিকদের মধ্যে যে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়,
তাতে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্যটি লেখা হলে কুরাইশরা বলেছিল,
আমরা যদি বিশ্বাসই করতাম আপনি আল্লাহর রাসূল, তাহলে আমরা আপনার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতাম না এবং আপনাকে বাধাও দিতাম না।
আপনি বরং এই বাক্যের বদলে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ লিখুন।
সেদিন কিন্তু রাসূল সা. এই কথা বলতে বলতে তাদের দাবী মেনে নিয়েছিলেন,
আল্লাহর কসম! আমি সুনিশ্চিতভাবেই বলছি, আমি আল্লাহর রাসূল। তোমরা আমাকে যতই অস্বীকার করো না কেন।
আলী রা. ঠিক একই কারণে আমিরুল মুমিনীন উপাধী পরিত্যাগ করেছেন।
পড়ুন: একজন মুসলমানের পরিবার ভাবনা কেমন হওয়া উচিৎ?
যদি মুআবিয়া রা. হযরত আলীকে আমিরুল মুমিনীন স্বীকারই করে নিতেন, তাহলে তো আর কোনো বিরোধ হতো না।
এ কথা বলার পর আমি (আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস) বললাম, আমি কি যুক্তির মাধ্যমে আপনাদেরকে বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি?
তারা (খারেজিরা) বললো, হ্যা আপনি পেরেছেন।
খারেজিদের সাথে বিতর্ক এর পর প্রায় ২০ হাজারের ও অধিক ব্যক্তি (যারা পরে খারেজিদের দলে যোগ দিয়েছিল) খারেজিদের দল ত্যাগ করে সত্যকে গ্রহণ করলো।
অবশিষ্ট ব্যক্তিরা আলী রা. এর শত্রুতায় তাদের গোমরাহিতে অটল থাকলো।
তারা যখন নিজেদের ভ্রষ্ট মতবাদ নিয়ে যুদ্ধ শুরু করলো, মুহাজির ও আনসার সাহাবারা তাদেরকে ময়দানে হত্যা করেন।
ফুটনোট
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. তাদের সাথে আলোচনা করার পর তাদের কতজন সঠিক পথে ফিরে আসে,
এটি নিয়ে ইতিহাসের গ্রন্থে মতানৈক্য রয়েছে।
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস গ্রন্থের তথ্যানুযায়ী, ২০ হাজার ব্যক্তি সঠিক পথে ফিরে আসে।
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থের তথ্যানুযায়ী, ৪ হাজার ব্যক্তি সঠিক পথে ফিরে আসে।
খারেজি বইয়ের তথ্যানুযায়ী, ২ হাজার ব্যক্তি সঠিক পথে ফিরে আসে।
তথ্যসুত্র
খারেজি। ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবী। কালান্তর প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৪-২৮
মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খন্ড ৫। মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ। পৃষ্ঠা ৮৭-৯২
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। খন্ড ৭। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ৫০৩-৫১০