ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা. এর ঘটনার পর আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা শামে চলে যায়। সেখানে পৌঁছে সে মুয়াবিয়া রা. এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করতে থাকে।

যেন এসব বিরোধ সাহাবায়ে কেরামের মধ্য থেকে শুরু হয়, আর তার উপর যেন সন্দেহ না হয়, এমনটাই চাচ্ছিল সে।

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু দারদা রা. এই প্রতারণা ধরে ফেললেন। তখন তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাকে লক্ষ্য করে বললেন,

আসলে তুমি কে? আমার তো মনে হয়, তুমি এখনো ইহুদী ই রয়ে গেছ।

এরপর ইবনে সাবা উবাদা বিন সামেত রা. এর উপর নির্ভর করে।

কিন্তু তিনিও তার প্রতারণা ধরে ফেললেন। তাই তিনি শামে থাকাবস্থায় আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা কে বন্দী করে সোজা হযরত মুয়াবিয়া রা. এর নিকট নিয়ে গেলেন।

যেহেতু তার চক্রান্তের প্রকাশ্য কোনো প্রমাণ ছিল না, তাই তিনি তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দিলেন।

এই লেখায় যা যা থাকছে :

সাবায়ী ষড়যন্ত্রের মূল কারা?

প্রথমত কিছু লোক ছিল, মূল পরিকল্পনাকারী। এরা ছিল সেসব ইহুদী,

যারা শুরু থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এদের মধ্যে কেবল আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার নাম পাওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত ওই সমস্ত মানুষ, যাদের স্বভাব ছিল বিদ্রোহাত্মক। এদের অধিকাংশ ছিল আরব গোত্রের সদস্য। যারা কুরাইশদের নেতৃত্বের কারণে হিংসায় জ্বলছিল।

তৃতীয়ত ওই সকল মুসলমান, যারা দ্বীনদারির গর্ব ও অহঙ্কারের শিকার ছিল, যাদের মধ্যে সমালোচনার স্বভাব ছিল। এরা খারেজি নামে পরিচিতি।

চতুর্থত ওই সকল লোক, যাদেরকে কোনো অপরাধের কারণে মুসলিম শাসক শাস্তি দিয়েছিল। তারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এই চক্রান্তে যুক্ত হয়েছিল।

পঞ্চমত ওই সকল মানুষ, যারা সম্পদ চাইতো। ষষ্ঠ নম্বরে ওই সকল যুবক, যারা কাঙ্খিত পদবী না পেয়ে খলিফার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিল।

এই চক্রান্তের মূল হোতাদেরকে সাবায়ি বা সাবাইয়্যাহ বলা হয়। তৎকালীন সময়ের আলোচনায় সাবাইয়্যাহ শব্দটি খুব বেশি ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসুত্র

মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস, খন্ড ৪, মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬৪

Scroll to Top