উসমান রা. এর ভাই-বোন – হযরত উসমান রা. এর ৩ ভাই ও ৪ বোন ছিল। তার সকল ভাই আপন সহোদর ছিলেন না। বৈপিত্রীয় এবং বৈমাত্রিয় ভাই-বোন ছিল উনার। তাদের পরিচয় যথাক্রমে আলোচনা করা হলো।

এই লেখায় যা যা থাকছে :

ভাই

১. ওয়ালিদ ইবনে উকবা রা.। তার পিতা উকবা ইবনে মুয়িত বদরযুদ্ধে নিহত হয়।

হুদায়বিয়ার সন্ধির পর ওয়ালিদ তার ভাই আমারাকে নিয়ে বোন উম্মে কুলসুমকে ফিরিয়ে নিতে মদীনায় আসেন।

উম্মে কুলসুম ইতিপূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে মদীনায় হিজরত করেন। কিন্তু নবীজি তাকে ফেরত দেন নি।

ওয়ালিদ মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেন।

২. আমরা ইবনে উকবা রা.। তিনি বেশ বিলম্বে ইসলাম গ্রহণ করেন।

৩. খালিদ ইবনে উকবা।

উসমান রা. এর ভাই-বোন

বোন

১. আমেনা বিনতে আফফান রা.। তিনি ছিলেন উসমান রা. এর সহোদর বোন। জাহেলি যুগে তিনি বিনুনি বাঁধার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

হিশাম ইবনে মুগিরার আজাদকৃত গোলাম হাকিম বিন কায়সানের সাথে তার বিয়ে হয়।

আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ রা. এর সেনাদল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে মদীনায় নিয়ে আসে।

এরপর তিনি মুসলিম হয়ে মদীনাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। চতুর্থ হিজরীতে বীরে মাউনার যুদ্ধে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।

আমেনা তখনো মক্কায় মুশরিক অবস্থায় ছিলেন। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি তার মা ও বোনদের সাথে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেন।

তিনি আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ বিনতে উতবার সাথে রাসূলের নিকট বাইয়াত হন।

তখন তিনি হিন্দের মতো শিরক, চুরি এবং জিনা না করার অঙ্গীকার করেন।

২. উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা রা.। তিনি মক্কায় ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন।

এরপর মদিনায় হিজরত করে রাসূলের বায়আত হন। তিনি ছিলেন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করা প্রথম নারী।

৩. উম্মে হাকিম বিনতে উকবা।

৪. হিন্দ বিনতে উকবা রা.। তিনি মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এককালে মক্কার কুরাইশদের সর্দার আবু সুফিয়ানের স্ত্রী।

হযরত হামজা রা. কে ওহুদের ময়দানে শহীদ করার পর তিনি তার কলিজা চিবিয়েছিলেন।

এরপরও নবীজি ইসলাম গ্রহণের পর তাকে মাফ করে দিয়েছেন।

আবু সুফিয়ানও মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত আব্বাস রা. তাকে নবীজির নিকট নিয়ে আসেন। সেখানেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।

আবু সুফিয়ানের মেয়ে হাবিবা রা. নবীজির সম্মানিতা স্ত্রী ছিলেন।

তথ্যসুত্র

উসমান ইবনে আফফান রা.। পৃষ্ঠা ৩৬

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top