সাহাবীদের খোরাসান বিজয় – হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমের রা. সারখাস এলাকাকে শক্তিমক্তার মাধ্যমে এবং তুস শহরকে সন্ধির মাধ্যমে জয় করেন।

এরপর হেরাত ও বাগদিস এলাকাও নত হতে বাধ্য হয়। মার্ভের অগ্নিপূজক শাসক বার্ষিক ২২ লক্ষ দিরহাম (৯৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা প্রায়) জিযিয়া প্রদানের শর্তে সন্ধি করে।

এরপর হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমের রা. বিখ্যাত তাবেয়ী আহনাফ বিন কায়েস রহ. কে সামনে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন।

তিনি বলখ, জুযাজান, ফারইয়াব, তাখারা এবং তালিকানের মতো দুর্গম অঞ্চলে যু্দ্ধবাজ তুর্কি ও অগ্নিপূজকদের সাথে লড়াই করে বিজয়ী হন।

এর মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় সন্ধির মাধ্যমে জয় অর্জিত হয়। তেমনিভাবে কিরমান, সিজিস্তান, যারানজ,

কান্দাহার, যাবুল, গজনি ও কাবুল সাহাবী ও মুজাহিদদের নিকট পদানত হয়।

এই বিজয়াভিযানে হযরত আকরা বিন হাবেস, হযরত আব্দুর রহমান বিন সামুরা, হযরত মুজাশি বিন মাসউদ,

হযরত আব্দুল্লাহ বিন খাযেম রা. দের মধ্যো সাহাবারা অংশ নিয়েছিলেন।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমের রা. এবং তার সেনাপতিগণ এক-দেড় বছরের মধ্যেই পূর্বাঞ্চলে ইসলামি শাসন হিন্দুস্থানের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

তেমনিভাবে হযরত উসমান রা. এর শাসনামলে ইসলামী সাম্রাজ্যের সীমানা হিন্দুস্থান থেকে উত্তর আফ্রিকার উপকূল এবং রোম উপসাগরে পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

হযরত উমর রা. এর আমলে মুসলিম সাম্রাজ্যের সীমানা ছিল ২২ লক্ষ বর্গমাইল আর উসমান রা. এর সময়ে ছিল ৪৪ লক্ষ বর্গমাইল।

সাহাবীদের খোরাসান বিজয়
সাহাবীদের খোরাসান বিজয়

তথ্যসুত্র

মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৯৯-৩০০

১ দিরহাম = ৩ গ্রাম রুপা

এক গ্রাম রুপা = ১৪৮৳ (বাসুস, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি)

১ দিরহাম = ৪৪১৳

২২ লক্ষ দিরহাম = 97,02,00,000৳

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top