মাদানী ক্যালেন্ডার কী

মাদানী ক্যালেন্ডার – পৃথিবীর শুরুতে এমনকি সাহাবাদের যামানা পর্যন্ত মানুষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য বড় কোনো যুদ্ধ বা প্রসিদ্ধ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর দিকে সম্মোধন করে তারিখ উল্লেখ করতো।

শুরুর যুগে মানুষ আদম আ. এর দুনিয়াতে আগমনের সময়কাল থেকে তারিখ গণনা করতো। পরবর্তীতে নূহ আ. এর প্লাবন থেকে তারিখ গণনা শুরু হয়।

একটা সময় নূহ আ. এর বংশধরেরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তখন মানুষ ইব্রাহিম আ. এর আগুনে নিক্ষেপ করার দিন থেকে তারিখ গণনা শুরু করে।

এভাবে তৎকালীন আরবে বছর গণনা করা হতো কাব বিন লূওয়াইয়ের মৃত্যু থেকে।
মাদানী ক্যালেন্ডার

চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ

প্রাচীনকালে থেকে চলে আসা পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডারগুলোর মধ্যে দুইটি ক্যালেন্ডার পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়। একটা হলো,

ঈসায়ী বা গ্রেগরি ক্যালেন্ডার। যা খৃষ্টান পাদ্রী বা শাসকরা ঈসা আ. এর জন্মসন থেকে বছর গণনা শুরু করে। এটা মূলত ছিল সৌরপঞ্জিকা।

অপর ক্যালেন্ডারটি ছিল হিজরী পঞ্জিকা। এই ক্যালেন্ডারকে মাদানী ক্যালেন্ডার ও বলা হতো।

যা মুসলমানরা নবীজির মদীনায় হিজরত থেকে গণনা করে থাকে। এটা মূলত চান্দ্রপঞ্জিকা।

নিরেট চন্দ্রবর্ষ ও বিকৃত চন্দ্রবর্ষ

চান্দ্রপঞ্জিকা মুলত নবীজির মদীনায় আগমণের পর থেকে গণনা শুরু হয় নি, আরো অনেক আগে প্রাচীনকাল থেকেই আরবে এই চান্দ্রপঞ্জিকা প্রচলন ছিল।

আরবে নিরেট চন্দ্রপঞ্জিকার প্রচলন ছিল ইয়াসরিব তথা মদীনাতে। তারা চন্দ্রবর্ষ অনুযায়ী তারিখ ও মাস গণনা করতো।

এ জন্য রমজান কখনো হতো শীতকালে আবার কখনো হতো গরমকালে।

কিন্তু মক্কার মানুষেরা নিরেট চন্দ্রপঞ্জিকা ব্যবহার করতো না। তারা আননাসি নামে একটা পদ্ধতি অনুসরণ করতো।

এটাকে মক্কী ক্যালেন্ডারও বলা হয়।

আননাসি ক্যালেন্ডারটি ছিল চন্দ্র ও সৌরবর্ষের মিশ্রিত একটি ক্যালেন্ডার।

তারা তারিখ গণনা করতো চন্দ্র মোতাবেক। কিন্তু মাস গণনা করতো সৌরবর্ষ মোতাবেক।

এ জন্য মাসগুলোতে ঋতু পরিবর্তন হতো না। যেমনটা ইংরেজি ক্যালেন্ডারে হয়ে থাকে। এতে জানুয়ারীতে আজীবন শীতকালই হয়ে থাকে।

জুন মাসের দিকে গরমকাল হয়ে থাকে। অক্টোবরের দিকে শরৎকাল হয়ে থাকে।

তথ্যসুত্র

১. মুসলিম ‍উম্মাহর ইতিহাসইসমাইল রেহান। মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ। খণ্ড ১। পৃষ্ঠা ৭০

২. মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খণ্ড ১। পৃষ্ঠা ৭১

৩. মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস। খণ্ড ১। পৃষ্ঠা ৭৪-৮০

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top