ওমর রাঃ এর হিজরত – রাসূল সা. মদীনায় হিজরতের অনুমতি প্রদানের পর হযরত ওমর রা. হিজরত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেছেন,

আলী রা. আমাকে বলেছেন যে, একমাত্র ওমর রা. প্রকাশ্যে হিজরত করেছেন। এছাড়া সকলেই লুকিয়ে হিজরত করেছেন।

যখন হযরত ওমর রা. হিজরতের সিদ্ধান্ত নিলেন তখন তিনি তরবারী কোষবদ্ধ করে, কাঁধে তীর-ধনুক নিয়ে কাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

কুরাইশরা তখন কাবার প্রাঙ্গনে অবস্থান করছিল। হযরত ওমর রা. ধীরে সুস্থে কা’বা ঘর তাওয়াফ করেন।

তারপর মাকামে ইবরাহিমের সামনে গিয়ে নামাজ পড়লেন।

এরপর তিনি একে একে সকলের সামনে গিয়ে বললেন, তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও। আল্লাহ তোমাদের মর্যাদাকে ধূলায় মিশিয়ে দিবেন।

যে তার মাকে সন্তানহারা, তার সন্তানকে এতিম ও তার স্ত্রীকে বিধবা করতে চায় সে যেন এই উপত্যকার পেছনে আমার সাথে মোকাবেলা করতে আসে।

কখন ওমর রা. মদীনায় আসলেন – ওমর রাঃ এর হিজরত

ওমর রাঃ এর হিজরত হয় রাসূল সা. এর মদীনায় হিজরত করার পূর্বেই। তখন হযরত ওমরের সাথে পরিবারের সদস্যরা ছিল।

তার ভাই জায়েদ বিন খাত্তাব, সুরাকা বিন মুতামিরের দুই ছেলে আমর ও আব্দুল্লাহ, তার মেয়ে হাফসার স্বামী খুনায়েস ইবনে হুজাইফা আস সাহমী রা. সহ আরো অনেকে।

 হযরত বারা ইবনে আযিব রা. বলেছেন, মুসআব ইবনে উমাইর রা. সবার আগে মদীনায় আগমন করেন। তিনি আমাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।

এরপর বিলাল, সাদ, আম্মার বিন ইয়াসির রা. মদীনায় আসেন। এরপরই ওমর রা. প্রায় ২০ জনের কাফেলা নিয়ে মদীনায় আগমন করেন।

ওমর রা. এর পরেই আবু বকর ও রাসূল সা. মদীনায় হিজরত করেন। এতে মদীনাবাসী অত্যন্ত খুশী হয়েছিল।

রাসূল সা. ওমর রা. কে উয়াইম ইবনে সাইদা ও উতবান ইবনে মালিক এবং মুআয ইবনে আফরা রা. এর সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দিলেন।

তথ্যসুত্র

জীবন ও কর্ম: ওমর রা.। পৃষ্ঠা ৫১-৫৪

আরো পড়ুন

আবু বকর রা. জীবনী

আবু তালেবের উপর কুরাইশদের বলপ্রয়োগ

সাহাবাদের উপর কাফেরদের জুলুম নির্যাতন

ওমর রা. এর ইসলামের দাওয়াত

হালিমার বাড়িতে নবীজির শৈশবকাল

বাহ্যিক লিংক থেকে পড়ুন

ইসমাইল রা. কি দাসীর পুত্র ছিলেন?

কুরআনে কি কোনো ব্যাকরণগত ভুল আছে?

হজ্জ্বের রীতিনীতিগুলো কি জাহেলিয়্যাতের আরবদের থেকে নেয়া?

ওমর রাঃ কখন হিজরত করেন

রাসূল সা. এর পূর্বে ওমর রাঃ মদীনায় হিজরত করেন

হিজরতের সময় ওমর রাঃ এর সাথে কারা কারা ছিলেন

তার ভাই জায়েদ বিন খাত্তাব, সুরাকা বিন মুতামিরের দুই ছেলে আমর ও আব্দুল্লাহ, তার মেয়ে হাফসার স্বামী খুনায়েস ইবনে হুজাইফা আস সাহমী রা. সহ আরো অনেকে।

গাজ্জার জন্য অনুদান

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জায় অসংখ্য মানুষ আহত ও শহীদ হয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে গাজ্জার ৯৮% মানুষ অনাহারে জীবন-যাপন করছে। গাজ্জার মানুষের এই দুঃসময়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে কে দাঁড়াবে?

আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে আসছে। এই মহান কাজে আপনিও আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

অনুদান দিন

Scroll to Top