ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা – গতকাল থেকে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে হামাস এখন পর্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আজ রবিবার (৮ অক্টোবর ২০২৩) তারিখের সর্বশেষ পাওয়া ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের বর্তমান সংবাদগুলো একত্রিত করার চেষ্টা করছি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রঈস হামাসের এই প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করেছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, ইহুদিবাদী শাসকই এই অঞ্চলে এমন ঘটনার জন্য দায়ী।
সৌদি আবর পূর্ব থেকেই মুসলমানদের পক্ষে না থেকে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছে। তাদের অবস্থানটা এখনো স্পষ্ট নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে ইসরাইলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান করেছে। এটি খুবই মারাত্মক একটি চক্রান্ত।
ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা ৩৭০ এর অধিক। আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ২০০ জনের মতো।
ইসরাইলে এখন পর্যন্ত ৬০০ জনের মতো নিহত হয়েছে। আহত ২ হাজারের উপর।
যুদ্ধের নতুন আপডেট জানতে ক্লিক করুন
ফিলিস্তিন
গাজা অঞ্চলে বর্তমান অবস্থা আরো অধঃপতনের দিকে। যেহেতু ইসরাইল অনেকটা টার্গেট করে আক্রমণ করছে গাজা শহরকে।
গাজার প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও হামাস সেখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের বিজয়টা অনেকটা চোখে পড়ার মতোই। এছাড়াও হামাস অনেক মুসলিম বন্দীকে ইসরাইলের হাত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে।
এরইমাঝে সংবাদ পাওয়া গেছে, ইসরাইলের ভূমিকে অবস্থিত বেশ কিছু মার্কিন নাগরিকও নিজেদের জাহান্নামে প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়েছেন (নিহত)।
গাজায় ইসরাইল বেশ কিছু বাড়িতে হামলা করে তা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে আহতদের বের করার জন্য বেসামরিকরা লোকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করছে।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম বিগ্রেড ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণকে এই পবিত্র যুদ্ধে আহবান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এখানে ট্যাঙ্ক ও বন্দুক যুদ্ধ চলছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি মিডিয়া।
ইসরাইল
গতকাল থেকেই ইসরাইলের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতোই। গতকাল তাদের গোয়েন্দা সংস্থা হামাসের এই আক্রমণের কথা আগাম জানতে পারে নি।
আজও তারা তাদের কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছে,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব তাড়াতাড়ি ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিবে। এমনকি রাষ্ট্রপতি জো-বাইডেন বলেছে, হামাসের আক্রমণ ঠেকাতে ইসরাইলকে যা দেওয়া প্রয়োজন, সব প্রদান করা।
এই হামলায় ইসরাইলে অবস্থিত দুইজন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে ইসরাইল কনস্যুলেট নিহতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে।
বর্তমানে ইসরাইলের মধ্যেই এই হামলা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দল-উপদল তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই অনেক কারণে নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছে।
কারণ, পূর্ব থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার মারমুখী মনোভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়টা নিয়ে আলোকপাত করে বামপন্থী দলের সদস্য ওফার ক্যাসিফ সংবাদ মাধ্যমকে বিবৃতি দিয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী গাজার অধিবাসীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমরা অচিরেই গাজাকে মরুভূমিতে রূপান্তর করবো। তাই যেখানে ইচ্ছা তোমরা চলে যাও।
তুরষ্কে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত তুরষ্ককে মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্তু তুরষ্ক খুব সম্ভবত কোনো আগ্রহ দেখায় নি এই বিষয়ে।
মিসরের আলেকজান্দ্রিয়াতে এক ইসরায়েলি নাগরিক মিসরের এক গাইডকে নির্মমভাবে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় হত্যা করে। বিষয়টা প্রশ্নবিদ্ধ।
নেতানিয়াহু হামাসের হাতে বন্দী হওয়া ইসরায়েলিদের বিষয়ে আলোচনার জন্য একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে নিযু্ক্ত করেছেন।